মার্কিন হস্তক্ষেপে সিরীয় যুদ্ধের মোড় ঘোরার সম্ভাবনা কম
দীর্ঘ ২৭ মাস ধরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। যুক্তরাষ্ট্র এত দিন এই যুদ্ধে সরাসরি জড়ানো থেকে বিরত ছিল। শেষ পর্যন্ত গত বৃহস্পতিবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহীদের সরাসরি সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আসাদ সরকার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে ‘লাল রেখা’ অতিক্রম করাতেই তারা হস্তক্ষেপ করছে। বিদ্রোহীদের সামরিক সহায়তা দেওয়ার কথা বললেও কী ধরনের অস্ত্র দেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখনো মুখে কুলুপ এঁটে আছে বারাক ওবামার প্রশাসন। এমনকি সামরিক সহায়তার কৌশলগত ধরন কেমন হবে, সে বিষয়েও খোলাখুলি কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিদ্রোহীদের যে ধরনের সামরিক সহায়তা দেবে বলে এখন পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছে, যুদ্ধের গতিপথ ঘোরাতে তা একেবারেই অপ্রতুল। ফিলিস্তিনবিষয়ক আমেরিকান টাস্কফোর্সের জ্যেষ্ঠ ফেলো হুসেইন ইবিশ বলেছেন, সিরিয়া ইস্যুতে আরও বেশি কিছু করতে চাওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র দৃশ্যত ঢিমেতেতালায় এগোচ্ছে। বিদ্রোহীদের হাতে সাধারণ হালকা অস্ত্র ও গুলি থেকে শুরু করে বিমানবিধ্বংসী ভারী অস্ত্র সরবরাহের কথা ভেবে থাকতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া সরকারি বিমান হামলা ঠেকাতে ‘উড্ডয়ন নিষিদ্ধ এলাকা’ ঘোষণা, এমনকি সেখানে বিমান হামলা চালানোর কথাও ভাবতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বেন রোডস গত শুক্রবার সিরিয়ার ভেতরে ‘উড্ডয়ন নিষিদ্ধ এলাকা’ প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ন্যাটোর নেতৃত্বে লিবিয়ায় ‘উড্ডয়ন নিষিদ্ধ এলাকা’ ঘোষণা করার তুলনায় সিরিয়ায় একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে অনেক বেশি ‘কষ্টসাধ্য, ভয়ংকর ও ব্যয়সাপেক্ষ’। সামরিক বিশেষজ্ঞ ডেভিড হার্টওয়েল বলেছেন, ইসলামপন্থী জঙ্গিদের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের সতর্কতা হিসেবে তাদের কোনো অত্যাধুনিক ‘গাইডেড অস্ত্র’ দেওয়া হবে না।
No comments