অনলাইন থেকে-ইরানের নির্বাচনে রোহানি
ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মধ্যপন্থী
নেতা হাসান রোহানি একটি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন। মনে হচ্ছে, তিনি সরল
সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাবেন এবং দ্বিতীয় দফা নির্বাচন এড়িয়ে যেতে পারবেন।
৫০
মিলিয়ন ভোটের মধ্যে ৫.২ মিলিয়ন ভোট গণনা হয়েছে, যার মধ্যে রোহানি পেয়েছেন
৫২.৩ শতাংশ। রোহানির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রক্ষণশীল তেহরানের মেয়র
মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ অনেক পেছনে ১৭.৮ শতাংশ ও কট্টরপন্থী পরমাণু
প্রবক্তা সাঈদ জালিলি পেয়েছেন ১৩ শতাংশ। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার সাত
ঘণ্টা পর ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তফা মোহাম্মদ নাজ্জার রাষ্ট্র
পরিচালিত একটি টেলিভিশনে উপস্থিত হয়ে ফলের কথা জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ
জানিয়েছিল, তারা ভোটের ফলাফল স্থানীয় সময় শনিবার রাত ২টা থেকে জানাতে শুরু
করবে। কিন্তু প্রথম ফলাফল এসেছে তার চার ঘণ্টা পর। এ বিষয়টি ২০০৯ সালের
নির্বাচনের সময় থেকে ব্যতিক্রম। সে সময়ের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা
হয়েছিল মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। সেই নির্বাচনকে কারচুপির নির্বাচন বলে মনে
করা হয়ে থাকে।
ফেসবুকের মাধ্যমে তেহরানে বসবাসকারী একজন ইরানি বলেছেন, 'প্রায় আট লাখ ভোট গুনতে তাদের সময় লেগেছে সাত ঘণ্টা। অথচ চার বছর আগের সেই নির্বাচনে তিন কোটি ভোট গণনা করা হয়েছে মাত্র কয়েক ঘণ্টায়। এটি একটি ভালো ইঙ্গিত যে তারা অন্তত ভোট গণনা করছে এটা বোঝা যায়।'
২০০৯ সালে ইরানের সংস্থাগুলো অনেক সময় নিয়েছে ফল পর্যবেক্ষণ ও বেসরকারি গণনা করতে। শুক্রবার সারা দেশের লাখ লাখ মানুষ আহমাদিনেজাদের উত্তরসূরি নির্বাচিত করতে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছেন। গত সপ্তাহে সংস্কারবাদী নেতারা রোহানিকে সমর্থন দেওয়ায় আগামী শুক্রবারের দ্বিতীয় দফার সুযোগ বেড়েছে ও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চমক এসেছে। ৬৫ বছর বয়স্ক রোহানি হলেন আটজনের মধ্যে একমাত্র প্রার্থী, যাঁকে সংস্কারবাদী মধ্যপন্থী মনে করা হয়। তিনি ইরানের সাবেক পরমাণুবিষয়ক আলোচক। তিনি ১৬ বছর ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটির সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামির সময় রোহানির ওপর দায়িত্ব ছিল ইরানের পরমাণু বিষয় নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার। রোহানির দৃষ্টিতে, ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করেছে এবং আইএইওর তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে। তিনি পশ্চিমের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের অবনতির অবস্থা থেকে উত্তরণে আগ্রহী খোলামেলা রাজনীতি চান।
তেহরানে নিজের ভোট দিয়ে ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি জনগণকে আমেরিকার কর্মকর্তারা নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছেন, তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিয়ে তাকে মিথ্যা প্রমাণ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেছেন, 'আমি শুনেছি, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলে কেউ একজন বলেছেন যে আমরা ইরানের নির্বাচনকে গ্রহণ করি না। আমরা এসব পাত্তা দিই না।' এ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন এব্রাহিম ইয়াজদি। তিনি ইরানের নিষিদ্ধ ঘোষিত ফ্রিডম মুভমেন্ট অব ইরানের মহাসচিব। ভোট দিয়ে তিনি ইরানের আধা-সরকারি মেহের নিউজকে বলেছেন, 'আজকের নির্বাচন ভালো ও মন্দের মধ্যে থেকে পছন্দ করে নেওয়ার নির্বাচন। ভোট প্রদান হচ্ছে জাতীয় দায়িত্ব ও আল্লাহ প্রদত্ত আপনার অধিকার।'
সাবেক প্রেসিডেন্ট হাশেমি রাফসানজানির অন্তত তিন সন্তান ভোট দিয়েছেন। তিনি নিজে নির্বাচনে দাঁড়াতে অযোগ্য বিবেচিত হয়েছেন। রাফসানজানি প্রকাশ্যে রোহানিকে সমর্থন জানিয়েছেন।
লেখক : সাঈদ কামালি দেহগান
ব্রিটেনের গার্ডিয়ান থেকে ভাষান্তর : মহসীন হাবিব
ফেসবুকের মাধ্যমে তেহরানে বসবাসকারী একজন ইরানি বলেছেন, 'প্রায় আট লাখ ভোট গুনতে তাদের সময় লেগেছে সাত ঘণ্টা। অথচ চার বছর আগের সেই নির্বাচনে তিন কোটি ভোট গণনা করা হয়েছে মাত্র কয়েক ঘণ্টায়। এটি একটি ভালো ইঙ্গিত যে তারা অন্তত ভোট গণনা করছে এটা বোঝা যায়।'
২০০৯ সালে ইরানের সংস্থাগুলো অনেক সময় নিয়েছে ফল পর্যবেক্ষণ ও বেসরকারি গণনা করতে। শুক্রবার সারা দেশের লাখ লাখ মানুষ আহমাদিনেজাদের উত্তরসূরি নির্বাচিত করতে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছেন। গত সপ্তাহে সংস্কারবাদী নেতারা রোহানিকে সমর্থন দেওয়ায় আগামী শুক্রবারের দ্বিতীয় দফার সুযোগ বেড়েছে ও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চমক এসেছে। ৬৫ বছর বয়স্ক রোহানি হলেন আটজনের মধ্যে একমাত্র প্রার্থী, যাঁকে সংস্কারবাদী মধ্যপন্থী মনে করা হয়। তিনি ইরানের সাবেক পরমাণুবিষয়ক আলোচক। তিনি ১৬ বছর ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটির সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামির সময় রোহানির ওপর দায়িত্ব ছিল ইরানের পরমাণু বিষয় নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার। রোহানির দৃষ্টিতে, ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করেছে এবং আইএইওর তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে। তিনি পশ্চিমের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের অবনতির অবস্থা থেকে উত্তরণে আগ্রহী খোলামেলা রাজনীতি চান।
তেহরানে নিজের ভোট দিয়ে ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি জনগণকে আমেরিকার কর্মকর্তারা নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে যে প্রশ্ন তুলেছেন, তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিয়ে তাকে মিথ্যা প্রমাণ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেছেন, 'আমি শুনেছি, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলে কেউ একজন বলেছেন যে আমরা ইরানের নির্বাচনকে গ্রহণ করি না। আমরা এসব পাত্তা দিই না।' এ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন এব্রাহিম ইয়াজদি। তিনি ইরানের নিষিদ্ধ ঘোষিত ফ্রিডম মুভমেন্ট অব ইরানের মহাসচিব। ভোট দিয়ে তিনি ইরানের আধা-সরকারি মেহের নিউজকে বলেছেন, 'আজকের নির্বাচন ভালো ও মন্দের মধ্যে থেকে পছন্দ করে নেওয়ার নির্বাচন। ভোট প্রদান হচ্ছে জাতীয় দায়িত্ব ও আল্লাহ প্রদত্ত আপনার অধিকার।'
সাবেক প্রেসিডেন্ট হাশেমি রাফসানজানির অন্তত তিন সন্তান ভোট দিয়েছেন। তিনি নিজে নির্বাচনে দাঁড়াতে অযোগ্য বিবেচিত হয়েছেন। রাফসানজানি প্রকাশ্যে রোহানিকে সমর্থন জানিয়েছেন।
লেখক : সাঈদ কামালি দেহগান
ব্রিটেনের গার্ডিয়ান থেকে ভাষান্তর : মহসীন হাবিব
No comments