ব্যক্তিত্ব-দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ
দেশবন্ধুর মৃত্যুতেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ
লিখেছিলেন, 'এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ/মরণে তাহাই তুমি করে গেলে
দান।' তাঁকে যথার্থই দেশবন্ধু বলে ডাকা হয়। কৃষক নেতা জিতেন ঘোষ লিখেছেন,
'একবার দেশবন্ধু যাচ্ছিলেন ট্রেনে ময়মনসিংহে।
কর্মীরা
তাঁকে প্রথম শ্রেণীর কামরায় নিয়ে যেতে চাইলেন। তিনি বললেন, আমি তো আর
পঞ্চাশ হাজারি সি আর দাশ নই। কোনো মামলাও পরিচালনা করতে যাচ্ছি না। যাচ্ছি
দেশের জনগণের সেবা করতে।' সত্যিই তিনি আমৃত্যু দেশের মানুষের জন্য সংগ্রামে
লিপ্ত ছিলেন। তাঁর সময়ে তিনি একজন প্রখ্যাত উকিল হয়েও নিজের উপার্জিত অর্থ
সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৮৭০ সালের ৫ নভেম্বর বিক্রমপুরের টঙ্গিবাড়ীতে। ১৮৯৪ সালে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে ব্যারিস্টার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯০৮ সালে তিনি অরবিন্দ ঘোষের মামলায় জিতে সবার নজরে আসেন। এ মামলায় আদালত অরবিন্দ ঘোষকে বেকসুর খালাস দিতে বাধ্য হন। ১৯১০-১১ সালে ঢাকা ষড়যন্ত্র মামলায় তিনি বিবাদী পক্ষের আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর বাবাও একজন স্বনামধন্য আইনজীবী ও কলকাতা হাইকোর্টের অ্যাটর্নি ছিলেন। হিন্দু-মুসলমান সবার প্রতি উদারতার কারণে তিনি দেশবন্ধু উপাধিতে ভূষিত হন। দেশবন্ধু স্বরাজ পার্টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯২৫ সালের ১৬ জুন চিত্তরঞ্জন দাশ মৃত্যুবরণ করেন।
ম. হা.
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৮৭০ সালের ৫ নভেম্বর বিক্রমপুরের টঙ্গিবাড়ীতে। ১৮৯৪ সালে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে ব্যারিস্টার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯০৮ সালে তিনি অরবিন্দ ঘোষের মামলায় জিতে সবার নজরে আসেন। এ মামলায় আদালত অরবিন্দ ঘোষকে বেকসুর খালাস দিতে বাধ্য হন। ১৯১০-১১ সালে ঢাকা ষড়যন্ত্র মামলায় তিনি বিবাদী পক্ষের আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর বাবাও একজন স্বনামধন্য আইনজীবী ও কলকাতা হাইকোর্টের অ্যাটর্নি ছিলেন। হিন্দু-মুসলমান সবার প্রতি উদারতার কারণে তিনি দেশবন্ধু উপাধিতে ভূষিত হন। দেশবন্ধু স্বরাজ পার্টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯২৫ সালের ১৬ জুন চিত্তরঞ্জন দাশ মৃত্যুবরণ করেন।
ম. হা.
No comments