বুয়েটের ছাত্র গ্রেপ্তার-মেধাবীরা যেন বিপথগামী না হয়
দেশের মেধাবী তরুণদের কি বিপথগামী করার
ষড়যন্ত্র হচ্ছে? গত এক দশকে বাংলাদেশে জঙ্গি উত্থানের অপচেষ্টা, সেই সঙ্গে
গোপন সংগঠনের সঙ্গে তরুণদের সংশ্লিষ্টতার কিছু ঘটনা স্পষ্টতই ভাবিয়ে তোলার
মতো।
নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহ্রীরের সঙ্গে যুক্ত অনেক
তরুণ বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া, সেই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের
কয়েকজনের নামও পত্রিকান্তরে এর আগে প্রকাশিত হয়েছে। সাম্প্রতিককালে একজন
ব্লগারকে খুনের অভিযোগে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী
জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকার জয়কালী মন্দির
রোড এলাকার একটি হোটেল থেকে ৭২ জন মেধাবী ছাত্রকে আটক করা হয়েছিল। তাদের
মধ্য থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করার তথ্য পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী। উপস্থিত সবাই
সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র হওয়ায় সংগত কারণেই প্রশ্ন আসে, এমন কোনো
অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আলামত কি এটা? হেফাজতে ইসলামের শাপলা
চত্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে যে সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, সেখানেও
বুয়েটের শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আবার
বহিরাগত সন্ত্রাসীর হাতে বুয়েটের এক শিক্ষার্থী ছাত্রাবাসের ভেতরেই
মারাত্মক জখম হওয়ার পর সেখানে জঙ্গি কিংবা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর উপস্থিতির
আশঙ্কাই বড় আকারে দেখা দেয়।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতের ওই বৈঠকের ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু এখনো নিশ্চিত হওয়া না গেলেও সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা প্রমাণ করে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠী থেমে নেই। আর তারা বেছে বেছে মেধাবী তরুণদের নিয়োগ করতে সচেষ্ট। বইমুখী মেধাবী শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসমুখী করার অপচেষ্টা দেশের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার জঘন্য উদ্যোগ। জঙ্গি কিংবা নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো দল বা গোষ্ঠী যাতে তাদের ব্যবহার করতে না পারে, সেই প্রচেষ্টা নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে সরকারি কিংবা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক কোনো কর্মকাণ্ড আছে বলেও জানা নেই। যেহেতু একের পর এক ঘটনা প্রমাণ করছে, তরুণদের বিপথগামী করার জন্য একটি গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে, তাই দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দ্রুত তাদের দমনের ব্যবস্থা করতে হবে। জেএমবি, হিযবুত তাহ্রীর, হুজির মতো জঙ্গি সংগঠনের কয়েকজনকে শাস্তি ও বিচারের আওতায় আনা হলেও তাদের অসংখ্য কর্মী-অনুসারী এখনো মুক্ত অবস্থায় আছে। তারা নিজেদের পথ প্রশস্ত করার চেষ্টা করবে, এটাই স্বাভাবিক। সরকারকেই তা প্রতিহত করার ব্যবস্থা নিতে হবে। আর আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীরা যাতে বিপথগামী না হয়, সেদিকেও নজর দিতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারকে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতের ওই বৈঠকের ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু এখনো নিশ্চিত হওয়া না গেলেও সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা প্রমাণ করে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠী থেমে নেই। আর তারা বেছে বেছে মেধাবী তরুণদের নিয়োগ করতে সচেষ্ট। বইমুখী মেধাবী শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসমুখী করার অপচেষ্টা দেশের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার জঘন্য উদ্যোগ। জঙ্গি কিংবা নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো দল বা গোষ্ঠী যাতে তাদের ব্যবহার করতে না পারে, সেই প্রচেষ্টা নেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে সরকারি কিংবা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক কোনো কর্মকাণ্ড আছে বলেও জানা নেই। যেহেতু একের পর এক ঘটনা প্রমাণ করছে, তরুণদের বিপথগামী করার জন্য একটি গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে, তাই দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দ্রুত তাদের দমনের ব্যবস্থা করতে হবে। জেএমবি, হিযবুত তাহ্রীর, হুজির মতো জঙ্গি সংগঠনের কয়েকজনকে শাস্তি ও বিচারের আওতায় আনা হলেও তাদের অসংখ্য কর্মী-অনুসারী এখনো মুক্ত অবস্থায় আছে। তারা নিজেদের পথ প্রশস্ত করার চেষ্টা করবে, এটাই স্বাভাবিক। সরকারকেই তা প্রতিহত করার ব্যবস্থা নিতে হবে। আর আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীরা যাতে বিপথগামী না হয়, সেদিকেও নজর দিতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারকে।
No comments