স্কাউটিংয়ের শিক্ষা by পঙ্কজ সূত্রধর
গত ১০০ বছরে পৃথিবীর তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি
সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে। মেরু অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্রের উচ্চতা যাচ্ছে
বেড়ে। এতে হুমকির মুখে রয়েছে মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ।
এখনই ঘুরে না দাঁড়ালে সামনে অপেক্ষমাণ অজানা আশঙ্কার ভবিষ্যৎ।
এশিয়া-প্যাসিফিক
অঞ্চলের ১৮টি দেশের অংশগ্রহণে ২ থেকে ৬ জুন, ২০১৩ অনুষ্ঠিত স্কাউটিংয়ে
পরিবেশ শিক্ষাবিষয়ক কর্মশালায় এসব বার্তাই উঠে এল। দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানের
সর্ব দক্ষিণের শহর কাওশিউংয়ে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালার মূল প্রতিপাদ্য ছিল
‘পরিবেশের প্রতি স্কাউটসদের দায়বদ্ধতা’। কর্মশালায় এই বার্তাগুলোই আমাদের
জানানো হলো নতুন ও মজার উপায়ে। পরিবেশ রক্ষায় এখনই উদ্যোগী হওয়ার
প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করলাম তাইওয়ানে গিয়ে। কর্মশালায় বাংলাদেশের তরুণ
প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয় আমার। আর এর ফলে খেলতে খেলতে,
বেড়াতে বেড়াতে আমাদের পরিবেশ আর এর বিপর্যস্ত ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানার সুযোগ
পেয়ে গেলাম।
অংশগ্রহণকারীদের ১২ জন করে মোট চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। কর্মশালার পুরো সময়জুড়ে থাকে গ্রুপগুলোর মধ্যে নানা ধরনের প্রতিযোগিতা ও মজার মজার খেলা। উদ্দেশ্য, প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর মননে পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং পরিবেশ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখার ইচ্ছার বীজ বপন করে দেওয়া।
আইস ব্রেকিং সেশনে চারটি গ্রুপকে দুই ভাগে ভাগ করে মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়। এতে উভয় দিকে থাকে ২৪ জন করে। একপাশের সদস্যদের করা হয় খাদ্য উৎস এবং অপর পাশের সদস্যদের খাদক। খেলাটা এমন ছিল যে খাদকদের প্রয়োজন অনুযায়ী উৎস থেকে খাদ্য, আশ্রয় কিংবা পানি সংগ্রহ করতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় খাদ্য উৎস ও খাদক শ্রেণীর সদস্য সমান হওয়ায় তেমন সমস্যা হয়নি। কিন্তু একপর্যায়ে উৎস থেকে অর্ধেক সদস্য কেটে ফেলা হলো। এতে খাদক শ্রেণীতে দেখা দিল খাদ্য-সংকট এবং খাদক শ্রেণীর সদস্যরা খাদ্যাভাবে মারা যেতে লাগলেন। এই খেলার মাধ্যমে জীবন ধারণে বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তার বার্তাই আমাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
কর্মশালার তৃতীয় দিনে অংশগ্রহণকারী দেশসগুলোর সদস্যরা পরিবেশ সংরক্ষণে উদ্যোগ ও পরিবেশ শিক্ষা সম্পর্কে নানা বিষয় উপস্থাপন করেন। উপস্থাপনাগুলোতে উঠে আসে দেশগুলোতে বিদ্যমান পরিবেশ-সংকট, বর্তমান চিত্র, বিভিন্ন কর্মপদক্ষেপ পরিকল্পনা ও ভবিষ্যৎ করণীয়সমূহ। এ ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশ শিক্ষা কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মতো। ইন্দোনেশিয়ার স্কাউট ইকরা বিরতামা বাতাসে সিসা নিয়ন্ত্রণের নিজস্ব প্রযুক্তি ও কৌশল উপস্থাপন করেন। নেপালের দেবরাজ ঘিমরির উপস্থাপনায় উঠে আসে এসসিইএনই প্রতিষ্ঠার কথা। এসসিইএনই হচ্ছে ‘স্কাউটস সেন্টার ফর এক্সিলেন্স ইন নেচার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ২৬টি দেশের পর্যায়ক্রমে এসসিইএনই সেন্টার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ব স্কাউটস সংস্থা। বাংলাদেশের বরগুনায় এ রকম একটি সেন্টার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে। এর বিশেষত্ব হচ্ছে, এটি সম্পূর্ণরূপে পরিবেশবান্ধব একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান, যাতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বজায় রেখে কার্যকর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার মাধ্যমে পরিবেশ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদ্যাপনে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়। আমরা দল বেঁধে যাই কোরাল রিফ জাদুঘরে ও শোয়া-লিউ ফরেস্ট ন্যাচার সেন্টারে। সেখানে প্রতিটি দেশের সদস্যরা বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য ও ভারসাম্য রক্ষায় তাইওয়ানের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব মেরিল বায়োলজি ও অ্যাকোরিয়ামের কর্মযজ্ঞ দেখে বিস্মিত হই আমরা।
এভাবে কর্মশালাটি একদিকে যেমন বিশ্ব পরিবেশ রক্ষায় আমাদের নিজস্ব অঙ্গীকার তৈরি করল, তেমনি পারস্পরিক সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যমে বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব চর্চা ও বিকাশের একটি দ্বার খুলে দিল।
অংশগ্রহণকারীদের ১২ জন করে মোট চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। কর্মশালার পুরো সময়জুড়ে থাকে গ্রুপগুলোর মধ্যে নানা ধরনের প্রতিযোগিতা ও মজার মজার খেলা। উদ্দেশ্য, প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর মননে পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং পরিবেশ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখার ইচ্ছার বীজ বপন করে দেওয়া।
আইস ব্রেকিং সেশনে চারটি গ্রুপকে দুই ভাগে ভাগ করে মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়। এতে উভয় দিকে থাকে ২৪ জন করে। একপাশের সদস্যদের করা হয় খাদ্য উৎস এবং অপর পাশের সদস্যদের খাদক। খেলাটা এমন ছিল যে খাদকদের প্রয়োজন অনুযায়ী উৎস থেকে খাদ্য, আশ্রয় কিংবা পানি সংগ্রহ করতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় খাদ্য উৎস ও খাদক শ্রেণীর সদস্য সমান হওয়ায় তেমন সমস্যা হয়নি। কিন্তু একপর্যায়ে উৎস থেকে অর্ধেক সদস্য কেটে ফেলা হলো। এতে খাদক শ্রেণীতে দেখা দিল খাদ্য-সংকট এবং খাদক শ্রেণীর সদস্যরা খাদ্যাভাবে মারা যেতে লাগলেন। এই খেলার মাধ্যমে জীবন ধারণে বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তার বার্তাই আমাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
কর্মশালার তৃতীয় দিনে অংশগ্রহণকারী দেশসগুলোর সদস্যরা পরিবেশ সংরক্ষণে উদ্যোগ ও পরিবেশ শিক্ষা সম্পর্কে নানা বিষয় উপস্থাপন করেন। উপস্থাপনাগুলোতে উঠে আসে দেশগুলোতে বিদ্যমান পরিবেশ-সংকট, বর্তমান চিত্র, বিভিন্ন কর্মপদক্ষেপ পরিকল্পনা ও ভবিষ্যৎ করণীয়সমূহ। এ ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার পরিবেশ শিক্ষা কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মতো। ইন্দোনেশিয়ার স্কাউট ইকরা বিরতামা বাতাসে সিসা নিয়ন্ত্রণের নিজস্ব প্রযুক্তি ও কৌশল উপস্থাপন করেন। নেপালের দেবরাজ ঘিমরির উপস্থাপনায় উঠে আসে এসসিইএনই প্রতিষ্ঠার কথা। এসসিইএনই হচ্ছে ‘স্কাউটস সেন্টার ফর এক্সিলেন্স ইন নেচার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’। এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ২৬টি দেশের পর্যায়ক্রমে এসসিইএনই সেন্টার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ব স্কাউটস সংস্থা। বাংলাদেশের বরগুনায় এ রকম একটি সেন্টার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে। এর বিশেষত্ব হচ্ছে, এটি সম্পূর্ণরূপে পরিবেশবান্ধব একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান, যাতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বজায় রেখে কার্যকর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার মাধ্যমে পরিবেশ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদ্যাপনে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়। আমরা দল বেঁধে যাই কোরাল রিফ জাদুঘরে ও শোয়া-লিউ ফরেস্ট ন্যাচার সেন্টারে। সেখানে প্রতিটি দেশের সদস্যরা বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য ও ভারসাম্য রক্ষায় তাইওয়ানের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব মেরিল বায়োলজি ও অ্যাকোরিয়ামের কর্মযজ্ঞ দেখে বিস্মিত হই আমরা।
এভাবে কর্মশালাটি একদিকে যেমন বিশ্ব পরিবেশ রক্ষায় আমাদের নিজস্ব অঙ্গীকার তৈরি করল, তেমনি পারস্পরিক সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যমে বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব চর্চা ও বিকাশের একটি দ্বার খুলে দিল।
No comments