তোমাদের জন্য বই- কত অজানা রে! by আলতাফ শাহনেওয়াজ
ম্যান-ইটার্স অব কুমায়ুন, বাংলা অনুবাদে যার নাম কুমায়ুনের মানুষখেকো—এ রকম বই সম্পর্কে তোমরা হয়তো অনেকেই জানো। হিমালয়ের পাদদেশে কুমায়ুনবাসী ও মানুষখেকো বাঘের মধ্যকার লড়াই-কাহিনিতে ভরপুর বইটি।
পড়তে পড়তে চোখ না বুজেও মুহূর্তেই যে কেউ চলে যেতে পারে সেই গা ছমছম করা অরণ্যের শিকারজীবনে। আর এই বইয়ের সূত্রে এর লেখক জিম করবেটের নামও বোধ হয় অজানা নয় তোমাদের। এবার কুমায়ুনের মানুষখেকোর লেখক জিম করবেট সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য চটজলদি বলে যাচ্ছি:
জিম করবেটের পূর্বপুরুষ আয়ারল্যান্ডের অধিবাসী হলেও করবেটের বাবা ও তাঁর জন্ম হয়েছিল ভারতবর্ষে। বাবার মতো তিনিও ছিলেন দুঃসাহসী। ভারতের পাহাড়ি শহর নৈনিতালে বোন ম্যাগিসহ বাস করতেন তিনি। তাঁদের বাড়ির নাম গুর্নি হাউস। পরে ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার সন্ধিক্ষণে তিনি কেনিয়ার নায়ারিতে চলে যান। এরপর আবাস গড়ে তোলেন লন্ডনে। ভারতবর্ষ ছাড়ার পর লেখালেখির পাশাপাশি জিমের ভেতর দেখা দেয় ফটোগ্রাফির নেশা। এ সময় রাজকুমারী এলিজাবেথ ও তাঁর স্বামী প্রিন্স ফিলিপের ছবিও তোলেন তিনি।
জিম করবেটের পোষা কুকুর রবিন, যার কথা কুমায়ুনের মানুষখেকোতে অনেকবার লেখা হয়েছে, সেই কুকুরকে তিনি কিনেছিলেন মাত্র ১৫ রুপিতে। এই কুকুরকে নানাভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে একে শিকারসঙ্গী করেছিলেন জিম। ১৯৩০ সালে এক অজানা রোগে মারা যায় কুকুরটি।
আমরা এখন যে বইকে কুমায়ুনের মানুষখেকো নামে চিনি, প্রথমে এ বইয়ের নাম ছিল জাঙ্গল স্টোরিজ। ১৯৪৪ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়। ভারতীয় মুদ্রায় দাম ছিল পাঁচ রুপি। কুমায়ুনের মানুষখেকো প্রবলভাবে জনপ্রিয় হওয়ার পর জিম করবেট আরও ছয়টি বই লেখেন। সেগুলোও দারুণ পাঠকপ্রিয়তা পায়।
জিম করবেট সম্পর্কে এ রকম আরও অনেক অজানা তথ্য পাওয়া যাবে জিম করবেট: ব্যাঘ্রপ্রেমিক শিকারির জীবনকথা নামের আলোচ্য এই বইয়ে। এটি তোমাদের জন্য লিখেছেন আবুল মনজুর। তোমাদের উপযোগী করে অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় লেখা বইটি কেবল জিমের জীবনী নয়, ভারতবর্ষের সে সময়কার প্রকৃতি-পরিবেশ এবং অনেক অজানা তথ্য জানা যাবে এ থেকে। জানা যাবে জিম ও বাঘকে কেন্দ্র করে নানা চিত্তাকর্ষক ঘটনা। যেমন, জিমের প্রথম শিকার ছিল নেপালের এক বাঘিনী। সে প্রায় ২০০ মানুষকে হত্যা করেছিল। বহুদিন তক্কে তক্কে থাকার পর এই দুর্ধর্ষ বাঘকে জিম করবেট একাই কুপোকাত করেছিলেন। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, বাঘের দ্বারা মানুষ আক্রান্ত না হলে জিম অহেতুক বাঘ শিকার করতেন না। তিনি ছিলেন তোমাদের মতোই প্রকৃতি এবং পশুপাখিপ্রেমিক। আলোচ্য এই বইয়ে সেসব কথা লেখা আছে বিস্তারিত। বইটিতে মোট ছয়টি প্রবন্ধ রয়েছে। রয়েছে করবেট জাদুঘর ও করবেট ন্যাশনাল পার্কের মজার সব ছবি।
জিম করবেট: ব্যাঘ্রপ্রেমিক শিকারির জীবনকথার লেখক আবুল মনজুর অনেক দিন ধরেই শিকার কাহিনির পোকা। এবার তিনি গল্পের মতো করে লিখেছেন জিম করবেটের জীবনী, যা পড়তে পড়তে তোমাদের মনে হতে পারে ‘কত অজানা রে’!
জিম করবেট: ব্যাঘ্রপ্রেমিক শিকারির জীবনকথা—আবুল মনজুর \ টইটুম্বুর প্রকাশনী \ প্রচ্ছদ: জাহিদ হাসান, ইনতিসার হাসনাইন \ দাম ১৩০ টাকা।
জিম করবেটের পূর্বপুরুষ আয়ারল্যান্ডের অধিবাসী হলেও করবেটের বাবা ও তাঁর জন্ম হয়েছিল ভারতবর্ষে। বাবার মতো তিনিও ছিলেন দুঃসাহসী। ভারতের পাহাড়ি শহর নৈনিতালে বোন ম্যাগিসহ বাস করতেন তিনি। তাঁদের বাড়ির নাম গুর্নি হাউস। পরে ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার সন্ধিক্ষণে তিনি কেনিয়ার নায়ারিতে চলে যান। এরপর আবাস গড়ে তোলেন লন্ডনে। ভারতবর্ষ ছাড়ার পর লেখালেখির পাশাপাশি জিমের ভেতর দেখা দেয় ফটোগ্রাফির নেশা। এ সময় রাজকুমারী এলিজাবেথ ও তাঁর স্বামী প্রিন্স ফিলিপের ছবিও তোলেন তিনি।
জিম করবেটের পোষা কুকুর রবিন, যার কথা কুমায়ুনের মানুষখেকোতে অনেকবার লেখা হয়েছে, সেই কুকুরকে তিনি কিনেছিলেন মাত্র ১৫ রুপিতে। এই কুকুরকে নানাভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে একে শিকারসঙ্গী করেছিলেন জিম। ১৯৩০ সালে এক অজানা রোগে মারা যায় কুকুরটি।
আমরা এখন যে বইকে কুমায়ুনের মানুষখেকো নামে চিনি, প্রথমে এ বইয়ের নাম ছিল জাঙ্গল স্টোরিজ। ১৯৪৪ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়। ভারতীয় মুদ্রায় দাম ছিল পাঁচ রুপি। কুমায়ুনের মানুষখেকো প্রবলভাবে জনপ্রিয় হওয়ার পর জিম করবেট আরও ছয়টি বই লেখেন। সেগুলোও দারুণ পাঠকপ্রিয়তা পায়।
জিম করবেট সম্পর্কে এ রকম আরও অনেক অজানা তথ্য পাওয়া যাবে জিম করবেট: ব্যাঘ্রপ্রেমিক শিকারির জীবনকথা নামের আলোচ্য এই বইয়ে। এটি তোমাদের জন্য লিখেছেন আবুল মনজুর। তোমাদের উপযোগী করে অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় লেখা বইটি কেবল জিমের জীবনী নয়, ভারতবর্ষের সে সময়কার প্রকৃতি-পরিবেশ এবং অনেক অজানা তথ্য জানা যাবে এ থেকে। জানা যাবে জিম ও বাঘকে কেন্দ্র করে নানা চিত্তাকর্ষক ঘটনা। যেমন, জিমের প্রথম শিকার ছিল নেপালের এক বাঘিনী। সে প্রায় ২০০ মানুষকে হত্যা করেছিল। বহুদিন তক্কে তক্কে থাকার পর এই দুর্ধর্ষ বাঘকে জিম করবেট একাই কুপোকাত করেছিলেন। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, বাঘের দ্বারা মানুষ আক্রান্ত না হলে জিম অহেতুক বাঘ শিকার করতেন না। তিনি ছিলেন তোমাদের মতোই প্রকৃতি এবং পশুপাখিপ্রেমিক। আলোচ্য এই বইয়ে সেসব কথা লেখা আছে বিস্তারিত। বইটিতে মোট ছয়টি প্রবন্ধ রয়েছে। রয়েছে করবেট জাদুঘর ও করবেট ন্যাশনাল পার্কের মজার সব ছবি।
জিম করবেট: ব্যাঘ্রপ্রেমিক শিকারির জীবনকথার লেখক আবুল মনজুর অনেক দিন ধরেই শিকার কাহিনির পোকা। এবার তিনি গল্পের মতো করে লিখেছেন জিম করবেটের জীবনী, যা পড়তে পড়তে তোমাদের মনে হতে পারে ‘কত অজানা রে’!
জিম করবেট: ব্যাঘ্রপ্রেমিক শিকারির জীবনকথা—আবুল মনজুর \ টইটুম্বুর প্রকাশনী \ প্রচ্ছদ: জাহিদ হাসান, ইনতিসার হাসনাইন \ দাম ১৩০ টাকা।
No comments