মহররম মাসের তাৎপর্য by মাওলানা শাহ আবদুস সাত্তার
মহররম হিজরি বর্ষের প্রথম মাস। ইসলামের ইতিহাসে এ মাসটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব নানা কারণে তাৎপর্যবহ। এ মাসের ১০ তারিখে আশুরা পালিত হয়ে থাকে। হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) শাহাদাতবরণের হৃদয়বিদারক শোকাবহ ঘটনার পাশাপাশি ইসলামের ইতিহাসে ১০ মহররমের অসংখ্য তাৎপর্যময় ঘটনা উজ্জ্বল হয়ে আছে।
অসংখ্য ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে মহররমের ১০ তারিখ একটি মর্যাদাপূর্ণ দিন হিসেবে স্মরণীয়।
অন্ধকার যুগের আগেও মহররমের পবিত্র ঐতিহ্য ছিল। হজরত ইমাম হোসাইনের (রা.) শাহাদাতবরণের মধ্য দিয়ে এ দিনটি সত্য, ন্যায়, আদর্শ ও আত্মত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) এ দিনে ইয়াজিদের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন, বলিষ্ঠ প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
১০ মহররমের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে এ কথা বলা যায়, মুসলিম জাহান এ দিনটিতে কারবালা ময়দানের বিষাদময় স্মৃতি ব্যথিতচিত্তে যেমন স্মরণ করে, তেমনি এ দিন এ শিক্ষাই গ্রহণ করে যে, মানবজাতির জন্য অন্যায়কারীর সাময়িক বিজয় ইতিহাসে কোনোদিনই মর্যাদা পায়নি। অন্যায়কারীর প্রতি মানুষের প্রবল ঘৃণা এবং শাহাদাতবরণকারী শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি ইমাম হোসাইন (রা.) ও ইতিপূর্বে বিষ প্রয়োগে নিহত হজরত হাসানের (রা.) প্রতি অপার শ্রদ্ধা আজও আমরা দেখতে পাই এ মহান দিনটিতে। ১০ মহররম শুধু শোকের কালো দিবসই নয়, এর মধ্যে রয়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য কঠিন শপথ নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা। কাজী নজরুল ইসলাম তাই বলেছেন_ 'ত্যাগ চাই মর্সিয়া ক্রন্দন চাহি না।' কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে আমরা এ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে জীবনপণ সংকল্প গ্রহণ মানবতার প্রতি চরম মূল্য দেওয়ারই নামান্তর। এ মহৎ প্রাণদের জন্য শোকাশ্রু ও বেদনার্ত বিলাপ হৃদয়ের গভীর ভালোবাসা ও মানবতার প্রতি অবিচল বিশ্বাস থেকে উৎসারিত।
মুসলিম জাহানের কাছে ঐতিহ্যমণ্ডিত 'আশুরা'র দিন অত্যাচারীরা মানুষের জীবনের আনন্দকে হত্যা করতে চেয়েছে। পবিত্রতাকে কলুষিত করতে চেয়েছে। কিন্তু তাদের খঞ্জর হজরত ইমাম হোসাইনের (রা.) শিরশ্ছেদ করলেও মানুষের মহত্ত্ব, মহানুভবতা এবং পবিত্র ধ্যান-ধারণাকে হত্যা করতে পারেনি। ন্যায়ের জন্য ত্যাগ, এমনকি জীবন বিসর্জন দেওয়ার অপূর্ব দৃষ্টান্ত হিসেবে ১০ মহররম সব মানুষের কাছে অনুসরণীয় আদর্শ হিসেবে গণ্য হবে অনাগত যুগ-যুগান্তর ধরে। ঐতিহাসিক ১০ মহররম চিরকাল নির্যাতিত মানুষের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার অনুপ্রেরণা জোগাবে।
সত্যের জন্য শাহাদাতবরণের এ দৃষ্টান্ত সব আনুষ্ঠানিকতার গণ্ডি ছাড়িয়ে এর অন্তর্গত ত্যাগ ও তিতিক্ষার তাৎপর্য তুলে ধরার মধ্যেই রয়েছে ১০ মহররমের ঐতিহাসিক তাৎপর্য। ১০ মহররম এ শিক্ষা দিয়েছে যে, সত্য কখনোই অবনত শির হতে জানে না। জীবনের চেয়ে সত্যের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য হজরত ইমাম হোসাইনের (রা.) অভূতপূর্ব আত্মবিসর্জন মুসলিম বিশ্বে এক ঐতিহাসিক নজির। আশুরার এ পবিত্র দিনে আর শোক নয়, প্রতিবাদের সংগ্রামী চেতনা নিয়ে এবং প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই, প্রয়োজনে আত্মবিসর্জন_ এটাই মহররমের তাৎপর্যমণ্ডিত শিক্ষা।
অন্ধকার যুগের আগেও মহররমের পবিত্র ঐতিহ্য ছিল। হজরত ইমাম হোসাইনের (রা.) শাহাদাতবরণের মধ্য দিয়ে এ দিনটি সত্য, ন্যায়, আদর্শ ও আত্মত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) এ দিনে ইয়াজিদের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন, বলিষ্ঠ প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তার অন্যায়ের বিরুদ্ধে।
১০ মহররমের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে এ কথা বলা যায়, মুসলিম জাহান এ দিনটিতে কারবালা ময়দানের বিষাদময় স্মৃতি ব্যথিতচিত্তে যেমন স্মরণ করে, তেমনি এ দিন এ শিক্ষাই গ্রহণ করে যে, মানবজাতির জন্য অন্যায়কারীর সাময়িক বিজয় ইতিহাসে কোনোদিনই মর্যাদা পায়নি। অন্যায়কারীর প্রতি মানুষের প্রবল ঘৃণা এবং শাহাদাতবরণকারী শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি ইমাম হোসাইন (রা.) ও ইতিপূর্বে বিষ প্রয়োগে নিহত হজরত হাসানের (রা.) প্রতি অপার শ্রদ্ধা আজও আমরা দেখতে পাই এ মহান দিনটিতে। ১০ মহররম শুধু শোকের কালো দিবসই নয়, এর মধ্যে রয়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য কঠিন শপথ নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা। কাজী নজরুল ইসলাম তাই বলেছেন_ 'ত্যাগ চাই মর্সিয়া ক্রন্দন চাহি না।' কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার মধ্য দিয়ে আমরা এ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে জীবনপণ সংকল্প গ্রহণ মানবতার প্রতি চরম মূল্য দেওয়ারই নামান্তর। এ মহৎ প্রাণদের জন্য শোকাশ্রু ও বেদনার্ত বিলাপ হৃদয়ের গভীর ভালোবাসা ও মানবতার প্রতি অবিচল বিশ্বাস থেকে উৎসারিত।
মুসলিম জাহানের কাছে ঐতিহ্যমণ্ডিত 'আশুরা'র দিন অত্যাচারীরা মানুষের জীবনের আনন্দকে হত্যা করতে চেয়েছে। পবিত্রতাকে কলুষিত করতে চেয়েছে। কিন্তু তাদের খঞ্জর হজরত ইমাম হোসাইনের (রা.) শিরশ্ছেদ করলেও মানুষের মহত্ত্ব, মহানুভবতা এবং পবিত্র ধ্যান-ধারণাকে হত্যা করতে পারেনি। ন্যায়ের জন্য ত্যাগ, এমনকি জীবন বিসর্জন দেওয়ার অপূর্ব দৃষ্টান্ত হিসেবে ১০ মহররম সব মানুষের কাছে অনুসরণীয় আদর্শ হিসেবে গণ্য হবে অনাগত যুগ-যুগান্তর ধরে। ঐতিহাসিক ১০ মহররম চিরকাল নির্যাতিত মানুষের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার অনুপ্রেরণা জোগাবে।
সত্যের জন্য শাহাদাতবরণের এ দৃষ্টান্ত সব আনুষ্ঠানিকতার গণ্ডি ছাড়িয়ে এর অন্তর্গত ত্যাগ ও তিতিক্ষার তাৎপর্য তুলে ধরার মধ্যেই রয়েছে ১০ মহররমের ঐতিহাসিক তাৎপর্য। ১০ মহররম এ শিক্ষা দিয়েছে যে, সত্য কখনোই অবনত শির হতে জানে না। জীবনের চেয়ে সত্যের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য হজরত ইমাম হোসাইনের (রা.) অভূতপূর্ব আত্মবিসর্জন মুসলিম বিশ্বে এক ঐতিহাসিক নজির। আশুরার এ পবিত্র দিনে আর শোক নয়, প্রতিবাদের সংগ্রামী চেতনা নিয়ে এবং প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই, প্রয়োজনে আত্মবিসর্জন_ এটাই মহররমের তাৎপর্যমণ্ডিত শিক্ষা।
No comments