কবিতা- নব্যপুরাণ by ময়ুখ চৌধুরী
আইজ্যাক, বিশ্বাস করো আমি সেই স্বর্গচ্যুত তরু
মাধ্যাকর্ষণের বশে একাই পড়েছি খসে আদমবিহীন।
মাধ্যাকর্ষণের বশে একাই পড়েছি খসে আদমবিহীন।
অস্তিত্বের আকুলতা অনেক শাখায় মেলে ধরে
আমার নেপথ্য থেকে পাঠিয়েছি প্রতীকী আপেল।
তুমি নাকি উঁকি দিতে উত্তাল সমুদ্রতীরে ঝিনুকের বুকের ভেতর,
অথচ তুমিই কিনা আপেলের নাভিকেন্দ্রে শিকড়ের
তৃষ্ণা দেখলে না!
ছুঁয়ে দেখলে না তুমি তোমার পায়ের কাছে পড়ে
থাকা আমার পতন।
জ্ঞানশিল্পে তৃণমূলে সেই কবে লিখে রেখেছিলে এই বনে—
মাটিতে আপেল নামে নিয়মের তীব্র আকর্ষণে।
যে কথা বোঝাতে পারো, সে কথা নিজেই বুঝলে না!
পতনে উত্থান ঘটে কখনো কি দেখোনি আইজ্যাক,—
জীববিজ্ঞানের বনে তরু আর তরুণীরা এক?
—এই মন্ত্র শিখে ছায়ার পোশাকে আমি সমর্পিত আপাদমস্তক,
চোখের নেপথ্য থেকে আমি তাই ছড়িয়েছি বেশি
কালো চোখের বিদ্যুৎ;
তবু তুমি জেগে-ওঠা গল্পটুকু পড়ে দেখলে না।
এ কেমন নবজন্ম, এ কেমন পার্থিব জীবন!
আগেই ছিলাম ভালো দৃষ্টিহীন চোখের আড়ালে,
বড় বেশি ভুল ছিল—তোমার পায়ের কাছে গড়িয়ে পড়েছি।
তুমি তো আদম নও!—মাকড়সার জালে অন্য তাঁতি,
অন্ধকারে দেখো নাই কীভাবে আলোর দেখা পায় মোমবাতি।
আমি তাই ফিরে যাই আমার নিজস্ব অন্ধকারে;
জেগে থাক ঘুণপোকা কেটে যাক নিশীথের ঘড়ি,
তোমার চিন্তিত ছায়া দীর্ঘতর হোক এই আশীর্বাদ করি।
হঠাৎ কখনো যদি স্নায়ুগুচ্ছে সুর জেগে ওঠে, যদি
শিহরিত অন্ধকারে টের পাই উত্তেজিত শরীরের ঘাম,—
তার বিপরীতে আমি বুকে বেঁধে চাঁদের পাথর
নরম অক্ষর দিয়ে সে পাথরে লিখে রাখি তোমার বদনাম।
আমার নেপথ্য থেকে পাঠিয়েছি প্রতীকী আপেল।
তুমি নাকি উঁকি দিতে উত্তাল সমুদ্রতীরে ঝিনুকের বুকের ভেতর,
অথচ তুমিই কিনা আপেলের নাভিকেন্দ্রে শিকড়ের
তৃষ্ণা দেখলে না!
ছুঁয়ে দেখলে না তুমি তোমার পায়ের কাছে পড়ে
থাকা আমার পতন।
জ্ঞানশিল্পে তৃণমূলে সেই কবে লিখে রেখেছিলে এই বনে—
মাটিতে আপেল নামে নিয়মের তীব্র আকর্ষণে।
যে কথা বোঝাতে পারো, সে কথা নিজেই বুঝলে না!
পতনে উত্থান ঘটে কখনো কি দেখোনি আইজ্যাক,—
জীববিজ্ঞানের বনে তরু আর তরুণীরা এক?
—এই মন্ত্র শিখে ছায়ার পোশাকে আমি সমর্পিত আপাদমস্তক,
চোখের নেপথ্য থেকে আমি তাই ছড়িয়েছি বেশি
কালো চোখের বিদ্যুৎ;
তবু তুমি জেগে-ওঠা গল্পটুকু পড়ে দেখলে না।
এ কেমন নবজন্ম, এ কেমন পার্থিব জীবন!
আগেই ছিলাম ভালো দৃষ্টিহীন চোখের আড়ালে,
বড় বেশি ভুল ছিল—তোমার পায়ের কাছে গড়িয়ে পড়েছি।
তুমি তো আদম নও!—মাকড়সার জালে অন্য তাঁতি,
অন্ধকারে দেখো নাই কীভাবে আলোর দেখা পায় মোমবাতি।
আমি তাই ফিরে যাই আমার নিজস্ব অন্ধকারে;
জেগে থাক ঘুণপোকা কেটে যাক নিশীথের ঘড়ি,
তোমার চিন্তিত ছায়া দীর্ঘতর হোক এই আশীর্বাদ করি।
হঠাৎ কখনো যদি স্নায়ুগুচ্ছে সুর জেগে ওঠে, যদি
শিহরিত অন্ধকারে টের পাই উত্তেজিত শরীরের ঘাম,—
তার বিপরীতে আমি বুকে বেঁধে চাঁদের পাথর
নরম অক্ষর দিয়ে সে পাথরে লিখে রাখি তোমার বদনাম।
No comments