ব্যর্থতার দায় মেনে নিল জাতিসংঘ-* বেসামরিক শ্রীলঙ্কানদের রক্ষায় ব্যর্থতার অভিযোগ -* কমনওয়েলথ সম্মেলনে যোগ না দিতে ক্যামেরনের প্রতি ব্রিটিশ এমপিদের আহবান
শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধের শেষ দিকে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিয়েছে জাতিসংঘ। মহাসচিব বান কি মুন গত বুধবার বলেন, এ তদন্ত প্রতিবেদন জাতিসংঘের জন্য 'গভীর তাৎপর্যপূর্ণ'। এ থেকে অনেক বিষয়ে শিক্ষা নেওয়ার আছে।
জাতিসংঘের অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনার খসড়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধের শেষদিকে নিরাপত্তা পরিষদ ও মানবাধিকার পরিষদের মতো জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে চরম ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের আগেই তার সারসংক্ষেপ বিবিসির হাতে পেঁৗছে।
প্রতিবেদনটি প্রকাশ না করার দাবি জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তবে মহাসচিব বান কি মুন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, জাতিসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতার জায়গা ঠিক রাখতেই তাঁরা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করবেন। তিনি বলেন, 'বিশ্বব্যাপী আমরা যে কাজ করছি তার জন্য এসব তথ্য গভীর তাৎপর্যপূর্ণ। তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা যথাযথ শিক্ষা নিতে পারবেন বলে আমি দৃঢ় বিশ্বাসী। এ ছাড়া বিশ্বের মানুষ বিশেষ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার মানুষের আস্থা অর্জনে জাতিসংঘ সক্ষম হবে বলেও আমি আশা করছি।' তবে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের প্রধান জন হোমস প্রতিবেদনটির সমালোচনা করে বলেছেন, 'ওই সময় জাতিসংঘ কঠিন সংকটের মুখে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এসব সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা যেতে পারে। তবে ওই সময় আমাদের বা শ্রীলঙ্কা সরকারের ভিন্ন আচরণ নিয়ে কখনই তৎকালীন বাস্তবতা অনুধাবন করার ধারণাটি ঠিক নয়।' জাতিসংঘের এ প্রতিবেদন সম্পর্কে আন্তর্জাতিক তদন্ত করার দাবি জানিয়েছে প্রধান তামিল দল 'তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স'।
শ্রীলঙ্কায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধ শেষ হয় ২০০৯ সালের মে মাসে। গৃহযুদ্ধের শেষ কয়েক মাসে কমপক্ষে এক লাখ লোক মারা যায়। শ্রীলঙ্কা সরকার ও বিচ্ছিন্নতাবাদী তামিল গেরিলা_উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এদিকে আগামী বছর কলম্বোয় অনুষ্ঠেয় কমনওয়েথ সম্মেলনের যোগ না দিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের প্রতি আহবান জানিয়েছে হাউস অব কমনসের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটি। কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার ইতিমধ্যে ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
প্রতিবেদনটি প্রকাশ না করার দাবি জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তবে মহাসচিব বান কি মুন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, জাতিসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতার জায়গা ঠিক রাখতেই তাঁরা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করবেন। তিনি বলেন, 'বিশ্বব্যাপী আমরা যে কাজ করছি তার জন্য এসব তথ্য গভীর তাৎপর্যপূর্ণ। তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা যথাযথ শিক্ষা নিতে পারবেন বলে আমি দৃঢ় বিশ্বাসী। এ ছাড়া বিশ্বের মানুষ বিশেষ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার মানুষের আস্থা অর্জনে জাতিসংঘ সক্ষম হবে বলেও আমি আশা করছি।' তবে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের প্রধান জন হোমস প্রতিবেদনটির সমালোচনা করে বলেছেন, 'ওই সময় জাতিসংঘ কঠিন সংকটের মুখে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এসব সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা যেতে পারে। তবে ওই সময় আমাদের বা শ্রীলঙ্কা সরকারের ভিন্ন আচরণ নিয়ে কখনই তৎকালীন বাস্তবতা অনুধাবন করার ধারণাটি ঠিক নয়।' জাতিসংঘের এ প্রতিবেদন সম্পর্কে আন্তর্জাতিক তদন্ত করার দাবি জানিয়েছে প্রধান তামিল দল 'তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স'।
শ্রীলঙ্কায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধ শেষ হয় ২০০৯ সালের মে মাসে। গৃহযুদ্ধের শেষ কয়েক মাসে কমপক্ষে এক লাখ লোক মারা যায়। শ্রীলঙ্কা সরকার ও বিচ্ছিন্নতাবাদী তামিল গেরিলা_উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এদিকে আগামী বছর কলম্বোয় অনুষ্ঠেয় কমনওয়েথ সম্মেলনের যোগ না দিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের প্রতি আহবান জানিয়েছে হাউস অব কমনসের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটি। কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার ইতিমধ্যে ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments