সাবেক নেতাদের প্রভাব থাকছেই নতুন নেতৃত্বে
নতুন নেতাদের নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে তেমন কোনো বিস্ময় তৈরি হয়নি। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) শীর্ষ পদগুলোতে কারা আসছেন, তা অনেকটা আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তবে নেতৃত্বের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর একটা বিষয় আগের চেয়েও পরিষ্কার হয়েছে।
ভাবী নেতাদের মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিনের যে প্রবল প্রভাব থাকবে, তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
জিয়াং জেমিন ১৯৮৯ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত সিপিসির প্রধান ছিলেন। চীনের প্রেসিডেন্টের পদে ছিলেন ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত। প্রেসিডেন্টের পদ ছেড়ে দেওয়ার পরের দুই বছর পর্যন্ত তিনি কেন্দ্রীয় সামরিক পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। মূলত জিয়াং জেমিনের নেতৃত্বেই চীন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য হয়। প্রথমবারের মতো ব্যবসায়ীদের সিপিসির সদস্য হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। কমিউনিস্ট শাসিত চীনে মূলত জেমিনই ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ও মুক্তবাজার অর্থনীতির নীতি গ্রহণ করেন।
অসুস্থতার কারণে মাঝখানে কিছু দিন লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান জেমিন। এ অবস্থায় ২০১১ সালে হংকংয়ের একটি টেলিভিশন চ্যানেল জেমিন মারা গেছেন বলে খবর প্রচার করে। তবে ওই খবরকে মিথ্যা প্রমাণ করে এ বছর বেশ কয়েকটি উপলক্ষে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেন সুস্থ-সবল জেমিন। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে জেমিনের উপস্থিতি বিবেচনা করে সিপিসির ক্ষমতার পালাবদলে তাঁর বড় ধরনের প্রভাব অনুমান করছিলেন বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বৃহস্পতিবার ঘোষিত নেতাদের নতুন তালিকায় তারই রূপায়ণ দেখা গেছে। পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির সাত সদস্যের মধ্যে পাঁচজনই জেমিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ভাবী প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংও এর মধ্যে রয়েছেন। বাকি যে দুজন বর্তমান প্রেসিডেন্ট হু চিনথাওয়ের অনুসারী হিসেবে পরিচিত, তাঁদের একজনের সঙ্গেও জেমিনের গভীর সখ্য রয়েছে। এ কারণে নতুন নেতৃত্ব ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জেমিনের আদর্শই প্রতিফলিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্রুকিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষক চেং লি বলেন, পার্টির কংগ্রেসে একটা স্পষ্ট ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, তা হচ্ছে, হু চিনথাওয়ের সমতাভিত্তিক উন্নয়ন নীতির পরিবর্তে চিনপিং নেতৃত্বাধীন সরকার অর্থনৈতিক সংস্কারে মনোযোগ দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, ব্যাংক ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠন এবং বেসরকারি খাতের উন্নয়নকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। তবে রাজনৈতিক রক্ষণশীলতা এ ক্ষেত্রে চিনপিংয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। রাজনৈতিক সংস্কার ছাড়া অর্থনৈতিক পুনর্গঠন কঠিন হয়ে দাঁড়াবে তাঁর জন্য। ক্ষমতার শীর্ষ পর্যায়ে হু চিনথাওয়ের প্রভাব কমে গেলেও স্থানীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে তাঁর অনুসারিরা গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন। বড় ধরনের সংস্কারের উদ্যোগ নিলে চিনপিং বিরোধিতার মুখে পড়বেন বলেও আশঙ্কা রয়েছে।
সূত্র : ডেইলি টাইমস, সিএনএন।
জিয়াং জেমিন ১৯৮৯ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত সিপিসির প্রধান ছিলেন। চীনের প্রেসিডেন্টের পদে ছিলেন ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত। প্রেসিডেন্টের পদ ছেড়ে দেওয়ার পরের দুই বছর পর্যন্ত তিনি কেন্দ্রীয় সামরিক পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। মূলত জিয়াং জেমিনের নেতৃত্বেই চীন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য হয়। প্রথমবারের মতো ব্যবসায়ীদের সিপিসির সদস্য হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। কমিউনিস্ট শাসিত চীনে মূলত জেমিনই ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ও মুক্তবাজার অর্থনীতির নীতি গ্রহণ করেন।
অসুস্থতার কারণে মাঝখানে কিছু দিন লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান জেমিন। এ অবস্থায় ২০১১ সালে হংকংয়ের একটি টেলিভিশন চ্যানেল জেমিন মারা গেছেন বলে খবর প্রচার করে। তবে ওই খবরকে মিথ্যা প্রমাণ করে এ বছর বেশ কয়েকটি উপলক্ষে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেন সুস্থ-সবল জেমিন। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে জেমিনের উপস্থিতি বিবেচনা করে সিপিসির ক্ষমতার পালাবদলে তাঁর বড় ধরনের প্রভাব অনুমান করছিলেন বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বৃহস্পতিবার ঘোষিত নেতাদের নতুন তালিকায় তারই রূপায়ণ দেখা গেছে। পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির সাত সদস্যের মধ্যে পাঁচজনই জেমিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ভাবী প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংও এর মধ্যে রয়েছেন। বাকি যে দুজন বর্তমান প্রেসিডেন্ট হু চিনথাওয়ের অনুসারী হিসেবে পরিচিত, তাঁদের একজনের সঙ্গেও জেমিনের গভীর সখ্য রয়েছে। এ কারণে নতুন নেতৃত্ব ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জেমিনের আদর্শই প্রতিফলিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্রুকিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষক চেং লি বলেন, পার্টির কংগ্রেসে একটা স্পষ্ট ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, তা হচ্ছে, হু চিনথাওয়ের সমতাভিত্তিক উন্নয়ন নীতির পরিবর্তে চিনপিং নেতৃত্বাধীন সরকার অর্থনৈতিক সংস্কারে মনোযোগ দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, ব্যাংক ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্গঠন এবং বেসরকারি খাতের উন্নয়নকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। তবে রাজনৈতিক রক্ষণশীলতা এ ক্ষেত্রে চিনপিংয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। রাজনৈতিক সংস্কার ছাড়া অর্থনৈতিক পুনর্গঠন কঠিন হয়ে দাঁড়াবে তাঁর জন্য। ক্ষমতার শীর্ষ পর্যায়ে হু চিনথাওয়ের প্রভাব কমে গেলেও স্থানীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে তাঁর অনুসারিরা গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন। বড় ধরনের সংস্কারের উদ্যোগ নিলে চিনপিং বিরোধিতার মুখে পড়বেন বলেও আশঙ্কা রয়েছে।
সূত্র : ডেইলি টাইমস, সিএনএন।
No comments