রাখাইনে দাঙ্গা 'আন্তর্জাতিক ট্র্যাজেডি' : সু চি
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সাম্প্রতিক দাঙ্গাকে বড় ধরনের 'আন্তর্জাতিক ট্র্যাজেডি' বলে অভিহিত করেছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু চি। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ভারত সফররত সু চি গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
রাখাইন রাজ্যে বৌদ্ধ-মুসলিম দাঙ্গাকে 'আন্তর্জাতিকভাবে বড় ধরনের শোকাবহ ঘটনা' উল্লেখ করে সু চি বলেন, 'উভয় পক্ষেই সহিংসতা হয়েছে। এ কারণেই আমি কোনো পক্ষের হয়ে কথা বলছি না। আমি সমস্যার সমাধানে কাজ করতে চাই।' রোহিঙ্গা ইস্যু মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয় নয় বলেও মন্তব্য করেন সু চি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'বাংলাদেশ সীমান্তে কি এখনো ব্যাপক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে? তা হলে সেটা বন্ধ করতে হবে। না হলে সমস্যার সমাধান কোনো দিনই সম্ভব হবে না।' রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয়ে সরকারের একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা জরুরি বলে জানান তিনি।
রাজনৈতিকভাবে সংকটাপন্ন মিয়ানমারে সাম্প্রদায়িক সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয় দেশকেই আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে দায়িত্ব নিতে হবে বলে সু চি মত দেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আসন্ন মিয়ানমার সফর উপলক্ষে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। এই উদ্যোগ দেশটির গণতান্ত্রিক সংস্কার প্রক্রিয়ারই অংশ। ওবামা আগামী ১৯ নভেম্বর মিয়ানমারে পেঁৗছবেন। মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্টের এটাই প্রথম সফর। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে কারাবন্দিদের মুক্তি দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে ৪৫২ জনের মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণ ক্ষমার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও ওবামার সফরের সময়টিকে বেছে নেওয়ার বিষয়টির সমালোচনা করেছেন। তারা দেশটির সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তির দাবি করেন। দেশটিতে এই মুহূর্তে ২৮৩ জন রাজনৈতিক বন্দি রয়েছে বলে থাইল্যান্ডভিত্তিক এক সংগঠন সূত্রে জানা যায়। সূত্র : এএফপি।
রাজনৈতিকভাবে সংকটাপন্ন মিয়ানমারে সাম্প্রদায়িক সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয় দেশকেই আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে দায়িত্ব নিতে হবে বলে সু চি মত দেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আসন্ন মিয়ানমার সফর উপলক্ষে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। এই উদ্যোগ দেশটির গণতান্ত্রিক সংস্কার প্রক্রিয়ারই অংশ। ওবামা আগামী ১৯ নভেম্বর মিয়ানমারে পেঁৗছবেন। মিয়ানমারে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্টের এটাই প্রথম সফর। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে কারাবন্দিদের মুক্তি দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে ৪৫২ জনের মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণ ক্ষমার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও ওবামার সফরের সময়টিকে বেছে নেওয়ার বিষয়টির সমালোচনা করেছেন। তারা দেশটির সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তির দাবি করেন। দেশটিতে এই মুহূর্তে ২৮৩ জন রাজনৈতিক বন্দি রয়েছে বলে থাইল্যান্ডভিত্তিক এক সংগঠন সূত্রে জানা যায়। সূত্র : এএফপি।
No comments