বুয়েট-ক্যাম্পাসগুলো মুক্ত হোক by কল্লোল মোস্তফা ও নিলয় দাশ
২০০৯ সালে বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ছাত্রলীগের নাম বারবার আলোচনায় আসে। গত তিন বছরে প্রতিপক্ষ কিংবা অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে হামলা, ভাঙচুরসহ বিভিন্ন ঘটনার নায়ক এই ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটি। গত এক সপ্তাহে বুয়েট, কুয়েট ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করে। কুয়েট ইতিমধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চলছে আর বুয়েটে ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের
দাবি আদায় করে নিয়েছেন। এই হতাশ করা সময়ে, অন্যায় মেনে নিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়া সমাজে অন্যায়ের বিরুদ্ধে এই বিজয় নিঃসন্দেহে প্রেরণাদায়ক। তাই বুয়েট শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন। এ ঘটনা আবারও প্রমাণ করল, আন্দোলন ছাড়া অন্য পথ নেই।
সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের এই কীর্তি কারও অজানা নয়। আধিপত্য বিস্তার, চাঁদা ও টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে শুধু প্রতিপক্ষ নয়, নিজেদের মধ্যেও বারবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে তারা। সারা দেশের মতো বুয়েটেও ছাত্রলীগ এসব কর্মকাণ্ডে জড়াতে থাকে। হলের দোকান, ক্যান্টিন-ক্যাফেটেরিয়াসহ পলাশীর বাজারে চাঁদাবাজি শুরু করে তারা। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় তারা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতা-কর্মীদের ওপর দফায়-দফায় হামলা করে গত বছর। গত বছর ৮ মার্চ ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক গৌতম কুমার দের ওপর অস্ত্রসহ হামলা করে। হামলায় গৌতমের দুই হাত ভেঙে যায়, এখনো পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি তিনি। বলাবাহুল্য নতজানু প্রশাসন কাউকে শাস্তি দেয়নি। এর আগে ফুটবল বিশ্বকাপের সময় ছুটি আদায়কে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী হামলা করে সাধারণ ছাত্রদের ওপর। এ ঘটনায় হামলাকারীদের রক্ষা করার জন্য বুয়েট বন্ধ ঘোষণা করা হয় এক মাসের জন্য। শুধু প্রতিপক্ষ নয়, নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মে মাসে আহসানউল্লা হলের দোতলা থেকে ফেলে দেওয়া হয় প্রতিপক্ষ গ্রুপের এক কর্মীকে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে মেয়েদের উক্ত্যক্ত করার ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনার একটারও বিচার হয়নি। প্রশাসনের প্রত্যক্ষ প্রশ্রয় পেয়ে ছাত্রলীগও হয়ে ওঠে বেপরোয়া। এসব ঘটনায় ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ জমা হতে থাকে, যার বিস্ফোরণ ঘটে গত ৩১ ডিসেম্বর।
ঘটনার সূত্রপাত
০৬ ব্যাচের র্যাগ বা বিদায় উৎসব উপলক্ষে কনসার্ট ছিল গত ২৯ ডিসেম্বর। রীতি অনুযায়ী র্যাগ ব্যাচ আলাদা এলাকার মধ্যে কনসার্ট দেখে, অন্যান্য ব্যাচের জন্য কিছুটা দূরে ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু ২৯ ডিসেম্বরের কনসার্টে ছাত্রলীগের কিছু জুনিয়র ব্যাচের ছাত্র, র্যাগ ব্যাচের জন্য নির্ধারিত এলাকায় ঢুকতে চায়। তাদের ঢুকতে বাধা দেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরে তারা নজরুল ইসলাম হলে ০৬ ব্যাচের ছেলেদের খোঁজ করতে থাকে, দুপুরে তারা এক রুমে পেয়ে যায় তৌসিফ আহমেদ ঈশানকে। রড, হকিস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে ঈশানের হাত ও পা থেঁতলে দেয় তারা।
৪৮ ঘণ্টায় বিজয়
ঈশানের ওপর হামলার খবর শুনেই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকে। উপাচার্য অনুপস্থিত থাকায় সহ-উপাচার্যকে ঘেরাও করে রাখে ছাত্রছাত্রীরা বিকেল থেকেই। তাদের দাবি, আজীবন বহিষ্কার করতে হবে অভিযুক্তদের। কিন্তু দলীয় বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত সহ-উপাচার্য বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। উল্লেখ্য, বুয়েটে সহ-উপাচার্যের কোনো পদ ছিল না, নতুন পদ সৃষ্টি করে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয় এই সরকারের আমলে। কিন্তু ছাত্ররা ঘোষণা দেয় হামলাকারীদের আজীবন বহিষ্কারাদেশ নিশ্চিত না করে তারা ক্যাম্পাস ছেড়ে যাবে না এবং সারা রাত সহ-উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে। অবশেষে চাপের মুখে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয় সহ-উপাচার্য। পরদিন তদন্ত কমিটি গঠন, কমিটির রিপোর্ট প্রদান, স্বাক্ষ্য গ্রহণ, ডিসিপ্লিনারি কমিটির মিটিং, শাস্তি প্রদান—এসব কাজ সম্পন্ন হয় মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। অথচ আগের কোনো ঘটনায় তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি। এখানেই এ আন্দোলনের সার্থকতা।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে যায়নি মুহূর্তের জন্যও। টানা ৪৮ ঘণ্টা ক্যাম্পাসে অবস্থান করে বিজয় অর্জন করে ফেরে তারা।
বুয়েটে শিক্ষার্থীদের এই প্রতিবাদ এবারই প্রথম নয়। ২০০২ সালের ৮ জুন, টেন্ডার দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির একপর্যায়ে মারা যান সাবেকুন নাহার সনি। তখনো শিক্ষার্থীরা সেই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল, যা পুরো দেশেই আলোড়ন তুলেছিল। এবারও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীরা একজোট হয়ে প্রতিবাদ করল।
প্রসঙ্গত, কুয়েট (খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ ও ৩ জানুয়ারি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সমর্থনে এ হামলা চালায় ছাত্রলীগ। বুয়েটে ছাত্ররা সফল হলেও কুয়েটে হামলার পর একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা এখনো লড়ছে। কুয়েটে নিম্নমানের ফিস্ট সরবরাহ করার প্রতিবাদ করায় হামলা করা হয় তাদের ওপর। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের অতিরিক্ত ভর্তি ফি প্রত্যাহারের আন্দোলনে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এখন সময় এসেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এসব অন্যায়-অবিচার রুখে দাঁড়ানোর। বুয়েটের শিক্ষার্থীদের এ বিজয় নিঃসন্দেহে সারা দেশের ছাত্রসমাজকে অনুপ্রাণিত করবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে।
লেখকেরা বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
গতকাল এই পাতায়‘শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস’ শীর্ষক নিবন্ধের ছবির ক্যাপশনে ‘বুয়েটে ছাত্রলীগের হামলায়আহত শিক্ষার্থীরা’ ছাপা হয়েছে। আসলেহবে ‘হামলার প্রতিবাদে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের অবস্থান ধর্মঘট’। বি.স.
সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের এই কীর্তি কারও অজানা নয়। আধিপত্য বিস্তার, চাঁদা ও টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে শুধু প্রতিপক্ষ নয়, নিজেদের মধ্যেও বারবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে তারা। সারা দেশের মতো বুয়েটেও ছাত্রলীগ এসব কর্মকাণ্ডে জড়াতে থাকে। হলের দোকান, ক্যান্টিন-ক্যাফেটেরিয়াসহ পলাশীর বাজারে চাঁদাবাজি শুরু করে তারা। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় তারা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতা-কর্মীদের ওপর দফায়-দফায় হামলা করে গত বছর। গত বছর ৮ মার্চ ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক গৌতম কুমার দের ওপর অস্ত্রসহ হামলা করে। হামলায় গৌতমের দুই হাত ভেঙে যায়, এখনো পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি তিনি। বলাবাহুল্য নতজানু প্রশাসন কাউকে শাস্তি দেয়নি। এর আগে ফুটবল বিশ্বকাপের সময় ছুটি আদায়কে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের কিছু কর্মী হামলা করে সাধারণ ছাত্রদের ওপর। এ ঘটনায় হামলাকারীদের রক্ষা করার জন্য বুয়েট বন্ধ ঘোষণা করা হয় এক মাসের জন্য। শুধু প্রতিপক্ষ নয়, নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মে মাসে আহসানউল্লা হলের দোতলা থেকে ফেলে দেওয়া হয় প্রতিপক্ষ গ্রুপের এক কর্মীকে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে মেয়েদের উক্ত্যক্ত করার ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনার একটারও বিচার হয়নি। প্রশাসনের প্রত্যক্ষ প্রশ্রয় পেয়ে ছাত্রলীগও হয়ে ওঠে বেপরোয়া। এসব ঘটনায় ছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ জমা হতে থাকে, যার বিস্ফোরণ ঘটে গত ৩১ ডিসেম্বর।
ঘটনার সূত্রপাত
০৬ ব্যাচের র্যাগ বা বিদায় উৎসব উপলক্ষে কনসার্ট ছিল গত ২৯ ডিসেম্বর। রীতি অনুযায়ী র্যাগ ব্যাচ আলাদা এলাকার মধ্যে কনসার্ট দেখে, অন্যান্য ব্যাচের জন্য কিছুটা দূরে ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু ২৯ ডিসেম্বরের কনসার্টে ছাত্রলীগের কিছু জুনিয়র ব্যাচের ছাত্র, র্যাগ ব্যাচের জন্য নির্ধারিত এলাকায় ঢুকতে চায়। তাদের ঢুকতে বাধা দেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরে তারা নজরুল ইসলাম হলে ০৬ ব্যাচের ছেলেদের খোঁজ করতে থাকে, দুপুরে তারা এক রুমে পেয়ে যায় তৌসিফ আহমেদ ঈশানকে। রড, হকিস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে ঈশানের হাত ও পা থেঁতলে দেয় তারা।
৪৮ ঘণ্টায় বিজয়
ঈশানের ওপর হামলার খবর শুনেই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকে। উপাচার্য অনুপস্থিত থাকায় সহ-উপাচার্যকে ঘেরাও করে রাখে ছাত্রছাত্রীরা বিকেল থেকেই। তাদের দাবি, আজীবন বহিষ্কার করতে হবে অভিযুক্তদের। কিন্তু দলীয় বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত সহ-উপাচার্য বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। উল্লেখ্য, বুয়েটে সহ-উপাচার্যের কোনো পদ ছিল না, নতুন পদ সৃষ্টি করে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয় এই সরকারের আমলে। কিন্তু ছাত্ররা ঘোষণা দেয় হামলাকারীদের আজীবন বহিষ্কারাদেশ নিশ্চিত না করে তারা ক্যাম্পাস ছেড়ে যাবে না এবং সারা রাত সহ-উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে। অবশেষে চাপের মুখে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয় সহ-উপাচার্য। পরদিন তদন্ত কমিটি গঠন, কমিটির রিপোর্ট প্রদান, স্বাক্ষ্য গ্রহণ, ডিসিপ্লিনারি কমিটির মিটিং, শাস্তি প্রদান—এসব কাজ সম্পন্ন হয় মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। অথচ আগের কোনো ঘটনায় তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি। এখানেই এ আন্দোলনের সার্থকতা।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে যায়নি মুহূর্তের জন্যও। টানা ৪৮ ঘণ্টা ক্যাম্পাসে অবস্থান করে বিজয় অর্জন করে ফেরে তারা।
বুয়েটে শিক্ষার্থীদের এই প্রতিবাদ এবারই প্রথম নয়। ২০০২ সালের ৮ জুন, টেন্ডার দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির একপর্যায়ে মারা যান সাবেকুন নাহার সনি। তখনো শিক্ষার্থীরা সেই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল, যা পুরো দেশেই আলোড়ন তুলেছিল। এবারও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীরা একজোট হয়ে প্রতিবাদ করল।
প্রসঙ্গত, কুয়েট (খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ ও ৩ জানুয়ারি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সমর্থনে এ হামলা চালায় ছাত্রলীগ। বুয়েটে ছাত্ররা সফল হলেও কুয়েটে হামলার পর একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা এখনো লড়ছে। কুয়েটে নিম্নমানের ফিস্ট সরবরাহ করার প্রতিবাদ করায় হামলা করা হয় তাদের ওপর। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের অতিরিক্ত ভর্তি ফি প্রত্যাহারের আন্দোলনে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এখন সময় এসেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এসব অন্যায়-অবিচার রুখে দাঁড়ানোর। বুয়েটের শিক্ষার্থীদের এ বিজয় নিঃসন্দেহে সারা দেশের ছাত্রসমাজকে অনুপ্রাণিত করবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে।
লেখকেরা বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
গতকাল এই পাতায়‘শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস’ শীর্ষক নিবন্ধের ছবির ক্যাপশনে ‘বুয়েটে ছাত্রলীগের হামলায়আহত শিক্ষার্থীরা’ ছাপা হয়েছে। আসলেহবে ‘হামলার প্রতিবাদে বুয়েটের শিক্ষার্থীদের অবস্থান ধর্মঘট’। বি.স.
No comments