সাংসদ কামাল মজুমদারের বিরুদ্ধে থানায় জিডি-তদন্ত দাবি করেছে টিআইবি
অপর্ণা সিংহসহ অন্য সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় সাংসদ কামাল আহমেদ মজুমদারের বিরুদ্ধে রাজধানীর মিরপুর থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। আরটিভির রিপোর্টার ওসমান গনি বাবুল তাদের ওপর হামলার ঘটনা উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগটি করেন। এদিকে হামলার সঙ্গে জড়িত মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামাল মজুমদারের শাস্তির দাবিতে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা।
ম্যানেজিং কমিটির দুর্নীতি ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবারও উত্তাল ছিল মনিপুর স্কুলের প্রধান শাখা। অন্যদিকে নিজের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করে এক সংবাদ সম্মেলনে কামাল মজুমদার বলেন, মনিপুর স্কুলের সাফল্য দেখে ও নিজেরা দুর্নীতি না করতে পেরে একটি মহল এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। এদিকে সাংসদ ও তার লোকজনের হামলায় সাংবাদিক আহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)সহ বিভিন্ন সংগঠন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া জরুরি বলে মনে করে টিআইবি।
হামলার শিকার সাংবাদিক ওসমান গনি বাবুল সমকালকে জানান, হত্যার হুমকি ও মারধরের কথা উল্লেখ করে তিনি মিরপুর থানায় কামাল মজুমদারের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন। সাংবাদিক অপর্ণা সিংহ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। এ ঘটনার পর থেকে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও বাবুল জানান।
এদিকে গতকাল সকাল থেকেই মনিপুর স্কুলের প্রধান শাখায় অসংখ্য অভিভাবক সমবেত হতে থাকেন। এলাকাবাসীও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে স্কুল পরিচালনা পরিষদের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার ঘটনা সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন। অপরদিকে স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে এক নারী মোহনা টেলিভিশনের ক্যামেরার সামনে সাংসদের পক্ষে সাক্ষাৎকার দিলে অভিভাবকরা তাকে মারধর করেন।
প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকদের মানববন্ধন : সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিধানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা। একই সঙ্গে সরকারের কাছে সাংসদ কামাল আহমেদ মজুমদারের শাস্তির জোর দাবিও তুলেছেন তারা। গণমাধ্যমকর্মীদের মানববন্ধনে তারা এ আহ্বান জানান। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে বক্তারা সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কামাল আহমেদ মজুমদারকে মোকাবেলা করারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, সাংবাদিক নেতা জলিল ভূঁইয়া, ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন খান তপু, ডিআরইউ'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহেদ চৌধুরী, ডিআরইউর সহ-সভাপতি আজমল হক হেলালসহ টিভি, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার বিক্ষুব্ধ সংবাদকর্মীরা।
কামাল মজুমদারের সংবাদ সম্মেলন : এদিকে গতকাল বিকেলে মনিপুর স্কুলের শেওড়াপাড়া শাখায় এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ কামাল মজুমদার তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক নির্যাতন ও দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, কারসাজি করে নারী সাংবাদিকের হাত মোচড়ানো দেখানো হয়েছে। এটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এরপরও কোনো ভুল বোঝাবুঝি হলে সেটা দুঃখজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, মনিপুরের মূল শাখা ছাড়া অন্য শাখাগুলো এমপিওভুক্ত নয়। অভিভাবকদের টাকায় চলে এসব শাখা। আমরা বাড়তি টাকা কেন নিচ্ছি তা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি।
নিন্দা ও প্রতিবাদ : সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, দুর্নীতিবিষয়ক প্রতিবেদন তৈরিতে বাধা এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে ওই সাংসদ গণতান্ত্রিক চর্চার সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী আচরণ করেছেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে, এ ধরনের হামলা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। জিয়া সেনার সভাপতি আবদুর রব তপন ও সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন ঈসা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি করেন।
হামলার শিকার সাংবাদিক ওসমান গনি বাবুল সমকালকে জানান, হত্যার হুমকি ও মারধরের কথা উল্লেখ করে তিনি মিরপুর থানায় কামাল মজুমদারের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন। সাংবাদিক অপর্ণা সিংহ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। এ ঘটনার পর থেকে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও বাবুল জানান।
এদিকে গতকাল সকাল থেকেই মনিপুর স্কুলের প্রধান শাখায় অসংখ্য অভিভাবক সমবেত হতে থাকেন। এলাকাবাসীও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে স্কুল পরিচালনা পরিষদের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার ঘটনা সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন। অপরদিকে স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে এক নারী মোহনা টেলিভিশনের ক্যামেরার সামনে সাংসদের পক্ষে সাক্ষাৎকার দিলে অভিভাবকরা তাকে মারধর করেন।
প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকদের মানববন্ধন : সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিধানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা। একই সঙ্গে সরকারের কাছে সাংসদ কামাল আহমেদ মজুমদারের শাস্তির জোর দাবিও তুলেছেন তারা। গণমাধ্যমকর্মীদের মানববন্ধনে তারা এ আহ্বান জানান। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে বক্তারা সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কামাল আহমেদ মজুমদারকে মোকাবেলা করারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, সাংবাদিক নেতা জলিল ভূঁইয়া, ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন খান তপু, ডিআরইউ'র সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহেদ চৌধুরী, ডিআরইউর সহ-সভাপতি আজমল হক হেলালসহ টিভি, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার বিক্ষুব্ধ সংবাদকর্মীরা।
কামাল মজুমদারের সংবাদ সম্মেলন : এদিকে গতকাল বিকেলে মনিপুর স্কুলের শেওড়াপাড়া শাখায় এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ কামাল মজুমদার তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক নির্যাতন ও দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, কারসাজি করে নারী সাংবাদিকের হাত মোচড়ানো দেখানো হয়েছে। এটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এরপরও কোনো ভুল বোঝাবুঝি হলে সেটা দুঃখজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, মনিপুরের মূল শাখা ছাড়া অন্য শাখাগুলো এমপিওভুক্ত নয়। অভিভাবকদের টাকায় চলে এসব শাখা। আমরা বাড়তি টাকা কেন নিচ্ছি তা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি।
নিন্দা ও প্রতিবাদ : সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, দুর্নীতিবিষয়ক প্রতিবেদন তৈরিতে বাধা এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে ওই সাংসদ গণতান্ত্রিক চর্চার সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী আচরণ করেছেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে, এ ধরনের হামলা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। জিয়া সেনার সভাপতি আবদুর রব তপন ও সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন ঈসা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি করেন।
No comments