জরিপ বিশ্লেষণ-দেয়াল লিখন পড়ূন by দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
সরকারি পরিসংখ্যান ও বেসরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন বছরে শিক্ষা ও বিদ্যুৎ খাতে উন্নতি ঘটেছে এবং জনগণ তার স্বীকৃতি দিয়েছে। বিদ্যুতের সরবরাহ বেড়েছে, পর পর তিন বছর স্কুলের সব শিক্ষার্থীর হাতে ১ জানুয়ারি তুলে দেওযা হয়েছে নতুন বই। কিন্তু দ্রব্যমূল্য রয়ে গেছে প্রধান চ্যালেঞ্জ। শুধু খাদ্যদ্রব্যে নয়, জ্বালানি-পরিবহন-শিক্ষা-বাড়িভাড়া, সব খাতেই ব্যয় বেড়েছে। বিদায়ী বছর মানুষকে সবচেয়ে পীড়া দিয়েছে দ্রব্যমূল্য। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, ২০১২ সালেও তা
বজায় থাকবে। গত দুই বছর কৃষি খাতে সাফল্যকে বেশ ওপরে স্থান দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এবার মূল্যস্ফীতির কারণে তা ম্লান। সমকাল জরিপে স্পষ্ট যে সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বিশৃঙ্খলাও জনগণের দৃষ্টি এড়ায়নি। রাজস্ব খাতে ব্যয় বৃদ্ধি ঘটেছে। কিন্তু বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না হওয়ার পরও সরকারের ব্যাংক ঋণ বেড়ে চলেছে, যা বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য সৃষ্টি করছে সমস্যা। এসব চিত্র ফুটে উঠেছে দেশব্যাপী পরিচালিত সমকাল জরিপে।
জনগণের কাছে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ইস্যু বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। বিনিয়োগ অনেক খাতেই হয়নি এবং তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত হচ্ছে অবকাঠামো। পদ্মাসেতু নির্মাণে অগ্রগতি না হওয়ায় তাদের ক্ষোভ ও হতাশা স্পষ্ট। ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা প্রদানের কথা বলা হলেও দুর্বল সড়ক-রেল পথ যে এ ক্ষেত্রে প্রধান বাধা, তার স্বীকৃতিও মেলে এ থেকে।
আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সমস্যা যাই থাকুক না কেন, বিদ্যুৎ যে প্রতিদিন বেশি সময় ধরে মিলছে তা সবাই বুঝতে পারছে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে জরিপটি পরিচালিত হয়েছে শীতকালে এবং এ সময়ে এসি-ফ্যান চালাতে বিদ্যুতের চাহিদা না থাকায় সার্বিক পরিস্থিতি কিছুটা ভাল থাকে। একইসঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে গিয়ে জ্বালানির জন্য প্রচুর ভর্তুকি দিতে হচ্ছে সরকারকে। এ জ্বালানি আমদানি করার জন্য বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হয়, যা রিজার্ভে চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার বার বার জ্বালানি তেলের দাম বাড়াচ্ছে, যা প্রভাব ফেলছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যে এবং যাতায়াতসহ জীবনযাত্রার অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যয়ে। সরকার দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরবরাহ ব্যবস্থার প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ দিয়েছে। কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য চেষ্টা রয়েছে এবং তাতে ফল মিলছে। গরীবদের বিনামূল্যে খাদ্য দেওয়া হচ্ছে, খোলা বাজারে ভর্তুকি দামে চাল বিক্রি আমন ফসল ওঠার পরও চলছে। খাদ্য মজুদ পরিস্থিতি সন্তোষজনক। কিন্তু তারপরও বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই। মানুষের আয় তেমন বাড়ানো যাচ্ছে না। এটা করার জন্য চাই নতুন নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি। তাতেই বাড়ে মানুষের কেনার ক্ষমতা। এজন্য চাই বিনিয়োগ বাড়ানো, যে ক্ষেত্রে ঘাটতি অনেক।
জরিপে দেখা যাচ্ছে, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মর্সূচি সম্পর্কে বেশিরভাগ উত্তর এসেছে মধ্য পর্যায়ের উত্তর অর্থাৎ 'তেমন সুফল দিচ্ছে না'। যদি জরিপটি কেবল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরিচালিত হতো, তাহলে হযতো এ রকম উত্তর আসত না। তবে সমকাল জরিপে সমাজের অন্যান্য অংশের মুল্যায়ন রয়েছে এবং তা গুরুত্বপূর্ণ। মধ্যম পর্যায়ের উত্তর আসার একটি ব্যাখ্যা হতে পারে যে এ কর্মসূচির প্রসার যথেষ্ট নয়। আরেকটি কারণও হতে পারে_ যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তার একটি অংশ তছরূপ হয়ে যায় এবং এ কারণে প্রকৃত গরীবরা তার সুফল পুরোপুরি পায় না। সরকার নিশ্চয়ই এ বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দেবে।
মাঠ পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তেমন আশাব্যঞ্জক নয়। প্রায় অর্ধেক উত্তরদাতার মনে করেন, গত তিন বছরে দুর্নীতি বেড়েছে। এমনকি সরকারের যে প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলাগুলোও ঠিকভাবে চলছে না। জনগণ বলে দিয়েছে, তারা সরকার ও বিরোধী পক্ষ_ কারও দুর্নীতি সহ্য করতেই রাজী নয়। বর্তমান সরকারের আমলে টেন্ডারবাজি ব্যাপক। পাঁচ ভাগের তিন ভাগ উত্তরদাতা বলছে যে এ সমস্যা প্রকট। এর চেয়ে পরিস্কার মত আর কিছু হতে পারে না। ক্ষমতার শীর্ষ পর্যায়ে যদি দুর্নীতি নাও হয়ে থাকে, কিন্তু জনগণ এটা মনে করছে যে স্থানীয় পর্যায়ে দুর্নীতি-চাঁদাবাজি যথাযথভাবে মোকাবেলা করা হচ্ছে না। এজন্য গোটা সরকারকেই সামাজিকভাবে দুর্নামের ভাগিদার হতে হচ্ছে।
আগামী দুই বছরে সরকারের কাছে প্রত্যাশা কী, সেটা জনগণ স্পষ্ট ভাষায় ব্যক্ত করেছে। তারা দ্রব্যমূল্য কমাতে বলেছে এবং সার্বিক অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনার ওপর জোর দিয়েছে। রাজনৈতিক সমঝোতার যে প্রত্যাশা ব্যক্ত হয়েছে অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। রাজনৈতিক সমঝোতা না হলে হরতাল-অবরোধ বাড়বে এবং তার প্রভাবে আরও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হবে। এ কারণেই তারা হরতালের বিরুদ্ধে এবং বিরোধীদের সংসদ বর্জনেরও কঠোর সমালোচনা করেছে। তারা বলে দিয়েছে, বিরোধীদের সংসদে যেতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সেখানেই তুলে ধরতে হবে। তারা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য রাজনীতিতে সহনশীলতা ও স্থিতিশীলতা চাইছে। রাজনৈতিক ঝুঁকি থেকে রক্ষা না পেলে সংকট বাড়বে, সে বিষয়ে তারা নিঃসন্দেহ। হরতালে সমর্থন নেই, সেটা বলেও তাদের দ্ব্যর্থহীন অভিমত_ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। তারা হরতালের বিরুদ্ধে, সংসদ বজর্নের বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে। তারা যুদ্ধাপরাধের বিচারের পক্ষে পরিস্কার অবস্থান ব্যক্ত করছে। কিন্তু নিশ্চিত হতে পারছে না যে আগামী দুই বছরে এ বিচার কাজ সম্পন্ন হবে। বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার যুদ্ধাপরাধের বিচা। এ বিষয়ে জনমতও তাদের পক্ষে। কিন্তু এ সবল স্থানটিতেও জনগণ তাদের ওপর ভরসা রাকতে পারছে না। জনগণ সরকারের ভাল কাজগুলোর স্বীকৃতি দিচ্ছে, কিন্তু সার্বিক কর্মকাণ্ডে হতোদ্যম। এর অর্থ এই নয় যে বিরোধীদের ওপর তাদের আস্থা রয়েছে। দুই প্রধান শক্তির বিরুদ্ধে তারা সতর্কবার্তা দিচ্ছে এবং তাতে কর্ণপাত না করলে পরিণাম কী হবে তার ইঙ্গিও স্পষ্ট বলা চলে। সরকার ও বিরোধীদল সবাই দেয়ালের লিখন পড়বে, এটাই প্রত্যাশা।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ঃ অর্থনীতিবিদ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়রগের সম্মানিত ফেলো
জনগণের কাছে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ইস্যু বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। বিনিয়োগ অনেক খাতেই হয়নি এবং তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত হচ্ছে অবকাঠামো। পদ্মাসেতু নির্মাণে অগ্রগতি না হওয়ায় তাদের ক্ষোভ ও হতাশা স্পষ্ট। ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা প্রদানের কথা বলা হলেও দুর্বল সড়ক-রেল পথ যে এ ক্ষেত্রে প্রধান বাধা, তার স্বীকৃতিও মেলে এ থেকে।
আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সমস্যা যাই থাকুক না কেন, বিদ্যুৎ যে প্রতিদিন বেশি সময় ধরে মিলছে তা সবাই বুঝতে পারছে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে জরিপটি পরিচালিত হয়েছে শীতকালে এবং এ সময়ে এসি-ফ্যান চালাতে বিদ্যুতের চাহিদা না থাকায় সার্বিক পরিস্থিতি কিছুটা ভাল থাকে। একইসঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে গিয়ে জ্বালানির জন্য প্রচুর ভর্তুকি দিতে হচ্ছে সরকারকে। এ জ্বালানি আমদানি করার জন্য বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হয়, যা রিজার্ভে চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার বার বার জ্বালানি তেলের দাম বাড়াচ্ছে, যা প্রভাব ফেলছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যে এবং যাতায়াতসহ জীবনযাত্রার অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যয়ে। সরকার দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরবরাহ ব্যবস্থার প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ দিয়েছে। কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য চেষ্টা রয়েছে এবং তাতে ফল মিলছে। গরীবদের বিনামূল্যে খাদ্য দেওয়া হচ্ছে, খোলা বাজারে ভর্তুকি দামে চাল বিক্রি আমন ফসল ওঠার পরও চলছে। খাদ্য মজুদ পরিস্থিতি সন্তোষজনক। কিন্তু তারপরও বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই। মানুষের আয় তেমন বাড়ানো যাচ্ছে না। এটা করার জন্য চাই নতুন নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি। তাতেই বাড়ে মানুষের কেনার ক্ষমতা। এজন্য চাই বিনিয়োগ বাড়ানো, যে ক্ষেত্রে ঘাটতি অনেক।
জরিপে দেখা যাচ্ছে, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মর্সূচি সম্পর্কে বেশিরভাগ উত্তর এসেছে মধ্য পর্যায়ের উত্তর অর্থাৎ 'তেমন সুফল দিচ্ছে না'। যদি জরিপটি কেবল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরিচালিত হতো, তাহলে হযতো এ রকম উত্তর আসত না। তবে সমকাল জরিপে সমাজের অন্যান্য অংশের মুল্যায়ন রয়েছে এবং তা গুরুত্বপূর্ণ। মধ্যম পর্যায়ের উত্তর আসার একটি ব্যাখ্যা হতে পারে যে এ কর্মসূচির প্রসার যথেষ্ট নয়। আরেকটি কারণও হতে পারে_ যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তার একটি অংশ তছরূপ হয়ে যায় এবং এ কারণে প্রকৃত গরীবরা তার সুফল পুরোপুরি পায় না। সরকার নিশ্চয়ই এ বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দেবে।
মাঠ পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তেমন আশাব্যঞ্জক নয়। প্রায় অর্ধেক উত্তরদাতার মনে করেন, গত তিন বছরে দুর্নীতি বেড়েছে। এমনকি সরকারের যে প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলাগুলোও ঠিকভাবে চলছে না। জনগণ বলে দিয়েছে, তারা সরকার ও বিরোধী পক্ষ_ কারও দুর্নীতি সহ্য করতেই রাজী নয়। বর্তমান সরকারের আমলে টেন্ডারবাজি ব্যাপক। পাঁচ ভাগের তিন ভাগ উত্তরদাতা বলছে যে এ সমস্যা প্রকট। এর চেয়ে পরিস্কার মত আর কিছু হতে পারে না। ক্ষমতার শীর্ষ পর্যায়ে যদি দুর্নীতি নাও হয়ে থাকে, কিন্তু জনগণ এটা মনে করছে যে স্থানীয় পর্যায়ে দুর্নীতি-চাঁদাবাজি যথাযথভাবে মোকাবেলা করা হচ্ছে না। এজন্য গোটা সরকারকেই সামাজিকভাবে দুর্নামের ভাগিদার হতে হচ্ছে।
আগামী দুই বছরে সরকারের কাছে প্রত্যাশা কী, সেটা জনগণ স্পষ্ট ভাষায় ব্যক্ত করেছে। তারা দ্রব্যমূল্য কমাতে বলেছে এবং সার্বিক অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনার ওপর জোর দিয়েছে। রাজনৈতিক সমঝোতার যে প্রত্যাশা ব্যক্ত হয়েছে অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। রাজনৈতিক সমঝোতা না হলে হরতাল-অবরোধ বাড়বে এবং তার প্রভাবে আরও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হবে। এ কারণেই তারা হরতালের বিরুদ্ধে এবং বিরোধীদের সংসদ বর্জনেরও কঠোর সমালোচনা করেছে। তারা বলে দিয়েছে, বিরোধীদের সংসদে যেতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সেখানেই তুলে ধরতে হবে। তারা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য রাজনীতিতে সহনশীলতা ও স্থিতিশীলতা চাইছে। রাজনৈতিক ঝুঁকি থেকে রক্ষা না পেলে সংকট বাড়বে, সে বিষয়ে তারা নিঃসন্দেহ। হরতালে সমর্থন নেই, সেটা বলেও তাদের দ্ব্যর্থহীন অভিমত_ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। তারা হরতালের বিরুদ্ধে, সংসদ বজর্নের বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে। তারা যুদ্ধাপরাধের বিচারের পক্ষে পরিস্কার অবস্থান ব্যক্ত করছে। কিন্তু নিশ্চিত হতে পারছে না যে আগামী দুই বছরে এ বিচার কাজ সম্পন্ন হবে। বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার যুদ্ধাপরাধের বিচা। এ বিষয়ে জনমতও তাদের পক্ষে। কিন্তু এ সবল স্থানটিতেও জনগণ তাদের ওপর ভরসা রাকতে পারছে না। জনগণ সরকারের ভাল কাজগুলোর স্বীকৃতি দিচ্ছে, কিন্তু সার্বিক কর্মকাণ্ডে হতোদ্যম। এর অর্থ এই নয় যে বিরোধীদের ওপর তাদের আস্থা রয়েছে। দুই প্রধান শক্তির বিরুদ্ধে তারা সতর্কবার্তা দিচ্ছে এবং তাতে কর্ণপাত না করলে পরিণাম কী হবে তার ইঙ্গিও স্পষ্ট বলা চলে। সরকার ও বিরোধীদল সবাই দেয়ালের লিখন পড়বে, এটাই প্রত্যাশা।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ঃ অর্থনীতিবিদ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়রগের সম্মানিত ফেলো
No comments