রোড মার্চে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে বিএনপি
স্টাফ রিপোর্টার: চট্টগ্রাম অভিমুখী শান্তিপূর্ণভাবে রোড মার্চ করতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চট্টগ্রাম অভিমুখে এ রোড মার্চ ব্যাহত পৃষ্ঠা ৫ কলাম ৫
করতে সরকার ষড়যন্ত্র করছে। তবে শান্তিপূর্ণভাবে রোড মার্চ সফল করতে সরকারের সহযোগিতা চাই। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা আলমগীর বলেন, ইতিমধ্যে সিলেট, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের রোড মার্চ ব্যাপক সফল হয়েছে। আশা করছি- আগামী ৮ ও ৯ই জানুয়ারি চট্টগ্রাম অভিমুখে রোড মার্চও সফল হবে। এ মার্চ হবে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় রোড মার্চ। বিএনপি মহাসচিব বলেন, রোড মার্চ ব্যাহত করতে ক্ষমতাসীনরা এখন থেকে ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে। তারা ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম শহরে ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার পাশাপাশি কিছু তোরণ পুড়িয়ে দিয়েছে। মির্জা আলমগীর জানান, ৮ই জানুয়ারি ঢাকা থেকে সকাল ১০টায় রোড মার্চ শুরু করবেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পথে চান্দিনা ও কুমিল্লায় পথসভার পর বিকালে ফেনীতে জনসভা হবে। পরদিন দুপুরে চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড মাঠে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার তিন বছরে জনগণের কাছে দেয়া কোন প্রতিশ্রুতিই পূরণ করতে পারেনি। দ্রব্যমূল্য কমানো আওয়ামী লীগের প্রথম অগ্রাধিকার প্রতিশ্রুতি থাকলেও তিন বছরে এই দ্রব্যমূল্যে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। মূল্যস্ফীতির হাওয়া জাতীয় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। এছাড়া, রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দুর্নীতির জন্য বিশাল অঙ্কের ভর্তুকির কারণে সরকার দফায় দফায় জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। সরকারের ভেতরে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, উচ্চ আদালতের জামিনের আদেশ থাকা সত্ত্বেও নিম্ন আদালত বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করছে। এ থেকে বোঝা যায়, সরকারের ভেতরে কোন সমন্বয় নেই। বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে প্রভাবিত হচ্ছে। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৭৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ১৯শে জানুয়ারি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালনে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে যৌথসভায়। ওই দিন ভোরে দলের সব কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, নয়া পল্টনে সকাল ৯টায় ডক্টরস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদানের ক্যাম্প স্থাপন, সকাল সাড়ে ১০টায় খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা। এর আগে মির্জা আলমগীরের সভাপতিত্বে যৌথসভায় অন্যান্যের মধ্যে যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, রিজভী আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, মহানগর সদস্য সচিব আবদুস সালাম, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, মৎস্যজীবী দল সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাব, তাঁতী দলের সভাপতি হুমায়ুন ইসলাম খান, জাসাস সভাপতি এমএ মালেক, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আবদুল মালেক, ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
করতে সরকার ষড়যন্ত্র করছে। তবে শান্তিপূর্ণভাবে রোড মার্চ সফল করতে সরকারের সহযোগিতা চাই। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা আলমগীর বলেন, ইতিমধ্যে সিলেট, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের রোড মার্চ ব্যাপক সফল হয়েছে। আশা করছি- আগামী ৮ ও ৯ই জানুয়ারি চট্টগ্রাম অভিমুখে রোড মার্চও সফল হবে। এ মার্চ হবে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় রোড মার্চ। বিএনপি মহাসচিব বলেন, রোড মার্চ ব্যাহত করতে ক্ষমতাসীনরা এখন থেকে ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছে। তারা ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম শহরে ব্যানার, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার পাশাপাশি কিছু তোরণ পুড়িয়ে দিয়েছে। মির্জা আলমগীর জানান, ৮ই জানুয়ারি ঢাকা থেকে সকাল ১০টায় রোড মার্চ শুরু করবেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পথে চান্দিনা ও কুমিল্লায় পথসভার পর বিকালে ফেনীতে জনসভা হবে। পরদিন দুপুরে চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড মাঠে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার তিন বছরে জনগণের কাছে দেয়া কোন প্রতিশ্রুতিই পূরণ করতে পারেনি। দ্রব্যমূল্য কমানো আওয়ামী লীগের প্রথম অগ্রাধিকার প্রতিশ্রুতি থাকলেও তিন বছরে এই দ্রব্যমূল্যে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। মূল্যস্ফীতির হাওয়া জাতীয় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। এছাড়া, রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দুর্নীতির জন্য বিশাল অঙ্কের ভর্তুকির কারণে সরকার দফায় দফায় জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। সরকারের ভেতরে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, উচ্চ আদালতের জামিনের আদেশ থাকা সত্ত্বেও নিম্ন আদালত বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করছে। এ থেকে বোঝা যায়, সরকারের ভেতরে কোন সমন্বয় নেই। বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে প্রভাবিত হচ্ছে। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৭৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ১৯শে জানুয়ারি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালনে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে যৌথসভায়। ওই দিন ভোরে দলের সব কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, নয়া পল্টনে সকাল ৯টায় ডক্টরস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদানের ক্যাম্প স্থাপন, সকাল সাড়ে ১০টায় খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা। এর আগে মির্জা আলমগীরের সভাপতিত্বে যৌথসভায় অন্যান্যের মধ্যে যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, রিজভী আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, মহানগর সদস্য সচিব আবদুস সালাম, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, মৎস্যজীবী দল সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাব, তাঁতী দলের সভাপতি হুমায়ুন ইসলাম খান, জাসাস সভাপতি এমএ মালেক, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ আবদুল মালেক, ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
No comments