বিদ্যুৎ খাতে ৩০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি
বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৩০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। দক্ষতা বাড়িয়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে 'বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প' শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দাতা সংস্থাটি এ অর্থ ঋণ দিচ্ছে। বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। গতকাল পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিতে সরকারের পক্ষে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক
বিভাগের (ইআরডি) সচিব ইকবাল মাহমুদ এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর থেভাকুমার কান্দিয়া। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইআরডি সচিব ইকবাল মাহমুদ বলেন, দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নয়নে বহুমুখী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সৌর, গ্যাস, কয়লা, বায়ু এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ সব রকম জ্বালানি দিয়ে এ খাতের উন্নয়ন করা হচ্ছে। বিশেষ করে দেশের দ্বীপ এলাকায় সৌর বিদ্যুৎ স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুতায়ন করতে চায় সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করে বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবেলায় 'পাওয়ার সিস্টেম ইফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট' নামের একটি সমন্বিত প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
জানা যায়, প্রকল্পটির মাধ্যমে চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে অর্থায়ন করা হবে। সেগুলো হচ্ছে 'আশুগঞ্জে ৪৫০ মেগাওয়াটের গ্যাসভিত্তিক একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অভ্যন্তরে ৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সোলার ফটো ভোল্টিক গ্রিড কানেকটেড বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, সৌরশক্তির মাধ্যমে দেশের ৬টি বিভাগীয় শহরে ১ হাজার কিলোমিটর সড়কের বৈদ্যুতিক বাতি পরিচালনা করা এবং হাতিয়ায় সাড়ে ৫ মেগাওয়াটের তেলভিত্তিক ১ মেগাওয়াট সোলারভিত্তিক ও ১ মেগাওয়াট বায়ুভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। প্রকল্পটির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আগামী ২০১৭ সালে শেষ হবে। পাঁচ বছরের রেয়াতি মেয়াদসহ ২৫ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করা হবে। কঠিন শর্তের এই ঋণ লন্ডন আন্তঃব্যাংক অফার রেটের (লাইবর) সুদের হার অনুযায়ী সুদ প্রদান করতে হবে।
এ প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এডিবির এ ঋণ ছাড়াও ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ২০ কোটি ডলার বা ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণ দেবে। শিগগির ওই সংস্থার সঙ্গেও সরকারের চুক্তি হবে বলে জানা গেছে। প্রকল্পটির জন্য বাকি প্রায় সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বিভাগ কর্তৃক গৃহীত এ প্রকল্পটি যৌথভাবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) এবং আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি বাস্তবায়ন করবে।
জানা যায়, প্রকল্পটির মাধ্যমে চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে অর্থায়ন করা হবে। সেগুলো হচ্ছে 'আশুগঞ্জে ৪৫০ মেগাওয়াটের গ্যাসভিত্তিক একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অভ্যন্তরে ৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সোলার ফটো ভোল্টিক গ্রিড কানেকটেড বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, সৌরশক্তির মাধ্যমে দেশের ৬টি বিভাগীয় শহরে ১ হাজার কিলোমিটর সড়কের বৈদ্যুতিক বাতি পরিচালনা করা এবং হাতিয়ায় সাড়ে ৫ মেগাওয়াটের তেলভিত্তিক ১ মেগাওয়াট সোলারভিত্তিক ও ১ মেগাওয়াট বায়ুভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। প্রকল্পটির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আগামী ২০১৭ সালে শেষ হবে। পাঁচ বছরের রেয়াতি মেয়াদসহ ২৫ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করা হবে। কঠিন শর্তের এই ঋণ লন্ডন আন্তঃব্যাংক অফার রেটের (লাইবর) সুদের হার অনুযায়ী সুদ প্রদান করতে হবে।
এ প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে এডিবির এ ঋণ ছাড়াও ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ২০ কোটি ডলার বা ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ঋণ দেবে। শিগগির ওই সংস্থার সঙ্গেও সরকারের চুক্তি হবে বলে জানা গেছে। প্রকল্পটির জন্য বাকি প্রায় সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বিভাগ কর্তৃক গৃহীত এ প্রকল্পটি যৌথভাবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) এবং আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি বাস্তবায়ন করবে।
No comments