মনের অজান্তে মাকে মেরেছি
‘টাকা না দিলে মাথা খারাপ হয়ে যায়। তবে ইচ্ছে করে মায়ের গায়ে হাত তুলিনি। মনের অজান্তে মাকে মেরেছি।’ মায়ের উপর নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের হওয়া এক মামলায় আসামি হিসেবে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচারকের প্রশ্নের জবাবে এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন মাদকাসক্ত এক ছেলে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মাহবুবুর রহমানের আদালতে মায়ের উপর নির্যাতনের এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. রাশেদ চৌধুরী বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২০ জুন নগরীর মোগলটুলী এলাকার রহিম প্রফেসর লেইনের বাসিন্দা ফাতেমা বেগমকে (৪৫) মারধর করে গুরুতর জখম করে ছেলে এমরান হোসেন রানা (১৮)। নেশার টাকা চেয়ে ব্যর্থ হয়ে সে এ ঘটনা ঘটিয়েছিল।
এ ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ২১ জুন ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিমের আদালতে দণ্ডবিধির ৩২৩ ও ৩৮০ ধারায় একটি মামলা করেন।
এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রথমে একবার জামিন পায় এমরান। এরপর মামলার নির্ধারিত দিনে হাজির না হওয়ায় এক বছর আগে তার জামিন বাতিল হয়। তখন থেকেই এমরান কারাগারে আছেন।
এ মামলায় গত বছরের ১০ মার্চ এমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ইতোমধ্যে তিন দফায় বিভিন্নজনের কাছ থেকে সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ছেলের বিরুদ্ধে মা সাক্ষ্য দিতে দাঁড়ান। তবে ছেলের পক্ষে কোনও কৌঁসুলি না থাকায় এমরান নিজেই তার মাকে জেরা শুরু করে।
প্রায় ১৫ মিনিট জেরার পর এক পর্যায়ে বিচারক এমরানের কাছে তার মায়ের গায়ে হাত তোলার কারণ জানতে চান। জবাবে অনেকটা সরল স্বীকারোক্তির মতোই কথাগুলো বলেন এমরান।
এ পর্যায়ে বিচারক আগামী ১২ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।
ওইদিন যুক্তিতর্ক শুনানি হবে বলে বিচারক তার আদেশে উল্লেখ করেছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. রাশেদ চৌধুরী বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২০ জুন নগরীর মোগলটুলী এলাকার রহিম প্রফেসর লেইনের বাসিন্দা ফাতেমা বেগমকে (৪৫) মারধর করে গুরুতর জখম করে ছেলে এমরান হোসেন রানা (১৮)। নেশার টাকা চেয়ে ব্যর্থ হয়ে সে এ ঘটনা ঘটিয়েছিল।
এ ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ২১ জুন ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিমের আদালতে দণ্ডবিধির ৩২৩ ও ৩৮০ ধারায় একটি মামলা করেন।
এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রথমে একবার জামিন পায় এমরান। এরপর মামলার নির্ধারিত দিনে হাজির না হওয়ায় এক বছর আগে তার জামিন বাতিল হয়। তখন থেকেই এমরান কারাগারে আছেন।
এ মামলায় গত বছরের ১০ মার্চ এমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ইতোমধ্যে তিন দফায় বিভিন্নজনের কাছ থেকে সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ছেলের বিরুদ্ধে মা সাক্ষ্য দিতে দাঁড়ান। তবে ছেলের পক্ষে কোনও কৌঁসুলি না থাকায় এমরান নিজেই তার মাকে জেরা শুরু করে।
প্রায় ১৫ মিনিট জেরার পর এক পর্যায়ে বিচারক এমরানের কাছে তার মায়ের গায়ে হাত তোলার কারণ জানতে চান। জবাবে অনেকটা সরল স্বীকারোক্তির মতোই কথাগুলো বলেন এমরান।
এ পর্যায়ে বিচারক আগামী ১২ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।
ওইদিন যুক্তিতর্ক শুনানি হবে বলে বিচারক তার আদেশে উল্লেখ করেছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
No comments