ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ইসরাত জাহান রিয়া নামে ৩ বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুটির বাবা-মায়ের অভিযোগ- তাকে ডেকে নিয়ে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে হাসপাতালের আয়ারা জড়িত থাকতে পারে। গতকাল সকালে শিশু রিয়ার মা গাইনি সমস্যা নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে আসেন। বহির্বিভাগের আবাসিক সার্জন মুক্তি সাহার কাছে দেখাতে গেলে উপস্থিত আয়ারা বাচ্চা নিয়ে যেতে নিষেধ করে। তিনি রিয়াকে বাইরে একটি চেয়ারে বসিয়ে ডাক্তার দেখাতে কক্ষের ভেতরে প্রবেশ করেন। কিন্তু ফিরে এসে দেখেন, রিয়া সেখানে নেই। আশেপাশের লোকজনকে প্রথমে বিষয়টি জানান। তারা কিছু জানে না বললে তার স্বামী নুরুল ইসলামকে বিষয়টি অবহিত করেন। এর পরপরই বিষয়টি হাসপাতালের পরিচালককে জানানো হয়। পরিচালক মাইকে শিশু হারানোর বিষয়টি ঘোষণা দেন। শিশু খোঁজাখুঁজি করতে করতে দুপুর আড়াইটার দিকে মর্গের কাছে যান মা-বাবা। এসময় একটি ছেলে এসে খবর দেয় নিউক্লিয়ার ভবনের ৩য় তলায় একটি মেয়ে পড়ে আছে। তারা ওই ভবনে গিয়ে মেয়েকে সিঁড়ির পাশে পড়ে থাকতে দেখেন। দ্রুত জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশুর মা রোজিনার অভিযোগ, যারা তার মেয়েকে নিয়ে ডাক্তারের কক্ষে প্রবেশ করতে দেয়নি, তারাই ফুসলিয়ে রিয়াকে হত্যা করেছে। রিয়ার বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, মেয়ের বুকের বাম পাশে আঘাতের কালচে দাগ রয়েছে। নির্যাতনের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। লাশ সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহীদুল হক মল্লিকের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শিশুটিকে না পেয়ে মাইকিং করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তার মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি তদন্ত করতে পুলিশকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। শাহবাগ থানার এসআই নুরুল হক বলেন, শিশুটিকে নির্যাতন করে হত্যা করা হতে পারে। তার বুকে ও পেটে নখের আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে। ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে ঘাতকদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। থানায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে। রিয়ার বাবার বাসা হাজারীবাগে। তিনি পুরাতন প্লাস্টিক সামগ্রীর ব্যবসা করেন। ২ বোনের মধ্যে রিয়া ছিল ছোট।
No comments