কুয়েটে শিক্ষক সমিতির সভাপতিসহ ৪০ প্রতিবাদী ছাত্রের নামে মামলা
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও সাধারণ ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. আরিফসহ সাড়ে তিন শ’ শিক্ষক ও ছাত্রের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ পুরকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র এসএম জুবায়ের সিরাজ বাদী হয়ে শিক্ষকসহ ৪০ জন প্রতিবাদী ছাত্রের নাম উল্লেখপূর্বক এবং পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনায় এসআই আবদুল হাই বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় এ মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় ছাত্র ইউনিয়নের নেতা সাইফুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদিকে কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে খুলনা মহানগর বিএনপি, ইসলামী ছাত্রশিবির, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। ছাত্রলীগের গুণ্ডা বাহিনীর নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে শাস্তির দাবি করেছেন। অপরদিকে শিক্ষক সমিতি ভিসিকে আগামী ৮ই জানুয়ারি পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি বৈঠকে ঘটনা তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) প্রতিবছরের ন্যায় গত ৩১শে ডিসেম্বর ও ১লা জানুয়ারি অমর একুশে হলে বার্ষিক প্রীতি ভোজের আয়োজন করা হয়। এ হলের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ছয় ছাত্র অংশ নেয়। তার জন্য বরাদ্দ ছিল সাড়ে ৮ লাখ টাকা। আর এর দায়িত্ব পায় ছাত্রলীগ নেতা আবিদ, অরিন, মুন্না, কাজল, হিমু, জুবায়ের, সুমন, মুকুল, নিহার, নয়ন ও সোহান। এরা ছাত্রদের মাঝে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করে টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনায় সোমবার ছাত্রলীগ ও সাধারণ ছাত্রদের মাঝে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে পুলিশের সহযোগিতায় বহিরাগত যুবলীগ, ছাত্রলীগ রাম দা, চাপাতি, লোহার রড ও হকিস্টিক নিয়ে প্রতিবাদকারী ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। এতে পুলিশ, শিক্ষক ও ছাত্রসহ ২৫ জন আহত হন। ভাঙচুর করা হয় ভিসি’র বাসভবন, গার্ড রুম, প্রশাসনিক ভবন, যন্ত্র কৌশল ভবনসহ দু’টি গাড়ি। এ ঘটনায় সোমবার রাতে খানজাহান আলী থানার এসআই আবদুল হাই বাদী হয়ে পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনায় আড়াই শ’ থেকে তিন শ’ ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। যার নং-০১ তারিখ ০২-০১-১২। একই রাতে ছাত্রলীগ নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ পুরকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র এসএম জুবায়ের সিরাজ বাদী হয়ে কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আরিফ হোসেন, সমিতির সহ-সভাপতি যন্ত্রকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মাসুদ, প্রফেসর ড. এএনএম মিজানুর রহমান ও প্রফেসর ড. খন্দকার আফতাব হোসেনসহ ৪০ ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০২ তারিখ ০২/০১/১২। রাতে পুলিশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সাইফুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করে। তাকে সোমবার সারা রাত জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল মঙ্গলবার এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাসুদের সভাপতিত্বে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ৮ই জানুয়ারির মধ্যে গত সোমবার সংঘর্ষের সময় ক্যাম্পাসের বাইরে সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আরিফ হোসেনের ওপর হামলার সঙ্গে ও অমর একুশে হলে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার এবং শিক্ষকদের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানান। তাদের দাবি পূরণ না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেন সকল অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালকবৃন্দ ও সকল হলের প্রভোস্টদের নিয়ে এক জরুরি বৈঠকে বসেন। বৈঠকে ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনার বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। আলোচনা শেষে শিক্ষকরা দোষী ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তারা অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়াসহ ঘটনা তদন্ত করার জন্য কমিটি করার দাবি জানান। কুয়েটের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেন বলেন, সোমবারের ঘটনা নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এ ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে এনে দ্রুত সময়ের মধ্যে যাতে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া যায় সে ব্যাপারেও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) প্রতিবছরের ন্যায় গত ৩১শে ডিসেম্বর ও ১লা জানুয়ারি অমর একুশে হলে বার্ষিক প্রীতি ভোজের আয়োজন করা হয়। এ হলের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ছয় ছাত্র অংশ নেয়। তার জন্য বরাদ্দ ছিল সাড়ে ৮ লাখ টাকা। আর এর দায়িত্ব পায় ছাত্রলীগ নেতা আবিদ, অরিন, মুন্না, কাজল, হিমু, জুবায়ের, সুমন, মুকুল, নিহার, নয়ন ও সোহান। এরা ছাত্রদের মাঝে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করে টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনায় সোমবার ছাত্রলীগ ও সাধারণ ছাত্রদের মাঝে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে পুলিশের সহযোগিতায় বহিরাগত যুবলীগ, ছাত্রলীগ রাম দা, চাপাতি, লোহার রড ও হকিস্টিক নিয়ে প্রতিবাদকারী ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। এতে পুলিশ, শিক্ষক ও ছাত্রসহ ২৫ জন আহত হন। ভাঙচুর করা হয় ভিসি’র বাসভবন, গার্ড রুম, প্রশাসনিক ভবন, যন্ত্র কৌশল ভবনসহ দু’টি গাড়ি। এ ঘটনায় সোমবার রাতে খানজাহান আলী থানার এসআই আবদুল হাই বাদী হয়ে পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনায় আড়াই শ’ থেকে তিন শ’ ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। যার নং-০১ তারিখ ০২-০১-১২। একই রাতে ছাত্রলীগ নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ পুরকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র এসএম জুবায়ের সিরাজ বাদী হয়ে কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আরিফ হোসেন, সমিতির সহ-সভাপতি যন্ত্রকৌশল বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মাসুদ, প্রফেসর ড. এএনএম মিজানুর রহমান ও প্রফেসর ড. খন্দকার আফতাব হোসেনসহ ৪০ ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০২ তারিখ ০২/০১/১২। রাতে পুলিশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সাইফুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করে। তাকে সোমবার সারা রাত জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল মঙ্গলবার এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাসুদের সভাপতিত্বে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ৮ই জানুয়ারির মধ্যে গত সোমবার সংঘর্ষের সময় ক্যাম্পাসের বাইরে সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আরিফ হোসেনের ওপর হামলার সঙ্গে ও অমর একুশে হলে ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার এবং শিক্ষকদের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানান। তাদের দাবি পূরণ না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেন সকল অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালকবৃন্দ ও সকল হলের প্রভোস্টদের নিয়ে এক জরুরি বৈঠকে বসেন। বৈঠকে ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনার বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। আলোচনা শেষে শিক্ষকরা দোষী ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তারা অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়াসহ ঘটনা তদন্ত করার জন্য কমিটি করার দাবি জানান। কুয়েটের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেন বলেন, সোমবারের ঘটনা নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এ ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে এনে দ্রুত সময়ের মধ্যে যাতে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া যায় সে ব্যাপারেও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
No comments