প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়াই এগিয়ে
স্পোর্টস ডেস্ক: বোলারদের দাপটের মধ্য দিয়ে শুরু হলো বছরের প্রথম টেস্টটি। সিডনিতে পেসারদের গতি আর চাতুর্যপূর্ণ বোলিংয়ের ফলে প্রথম দিনেই জমে উঠেছে সিডনি টেস্ট। ব্যাটিং সহায়ক পিচ মনে করে কোটি কোটি ক্রিকেট ভক্ত উপমহাদেশের কাকডাকা ভোরে টিভি সেটের সামনে বসেছিলেন লিটল মাস্টারের ব্যাটিং দেখতে। জোর প্রত্যাশা ছিল তার শততম শতকের সাক্ষী হতে পারার। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি। আগে আঁচ করতে পারলে হয়তো টসে জিতে ফিল্ডিংই বেছে নিতেন ভারত কাপ্তান ধোনি। ৬০ ওভার পুরো হওয়ার আগেই শেষ তাদের ইনিংস। সংগ্রহ সাকল্যে ১৯১। জবাবে ৩ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রানে দিনের খেলা শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। অসিরা পিছিয়ে আছে ৭৫ রানে। স্বাগতিক পেসাররা সুবিধা পেলেও সফরকারীদের জহির খান ছাড়া অন্য দু’জন উমেষ ও ইশান্ত কোন সমীহই আদায় করতে পারেননি। এ দু’জন এমনকি স্পিনার অশ্বিনও রান দিয়েছেন ওভার প্রতি ৫ এর বেশি। অনেক আশা করে দলে নেয়া শন মার্শ তৃতীয়বারের মতো ব্যর্থ হয়েছেন নিজেকে প্রমাণ করতে। প্রথম টেস্টে ০ ও ৩ এর পর ফের ০ তার দলে থাকাটাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। অনেক প্রশংসা নিয়ে শুরু করা কাওয়ান এবং ওয়ার্নারও ব্যর্থতার বৃত্তে ঢুকে পড়লে আশঙ্কা চেপে বসে স্বাগতিকদের শিবিরে। কিন্তু হাল ধরেন সেই অভিজ্ঞ পন্টিং, সঙ্গে ক্লার্ক। শুরুর ধাক্কা সামলে সাবেক ও বর্তমান অধিনায়ক রিকি পন্টিং ও মাইকেল ক্লার্ক অপরাজিত রয়েছেন ব্যক্তিগত ৪৪ ও ৪৭ রানে। আজ সকালে ভারতীয় বোলাররা কড়া আঘাত হানতে ব্যর্থ হলে ম্যাচে ফেরা কঠিন হবে তাদের।
ভারতের ব্যাটিংয়ে ত্রাস হয়ে পুরো দশ উইকেটই তোলে অসি পেস ত্রয়ী প্যাটিনসন, হিলফেনহস ও সিডল। প্যাটিনসন ৪টি ও বাকিরা ৩টি করে। ভারতের ইনিংসে অধিনায়ক সবচেয়ে বেশি ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। দ্বিতীয় সেরা শচীনের ৪১। চার জন আউট শূন্য রানে। আর রক্ষণাত্মক ব্যাটিংয়ে পটু দ্রাবিড়ের সংগ্রহ ৫ রান আর লক্ষণের ২। প্রথম টেস্টে ৩ ও ১৩ রানের পর শূন্য রানে আউট ওপেনার গৌতম গম্ভীর। তার বিদায়ের পর ঠেকানোর অনেক চেষ্টা করেছিলেন ‘প্রাচীর’খ্যাত দ্রাবিড়। কিন্তু ৩৩ বলে ৫ রান করেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। এরপর সেওয়াগ ও শচীন বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টায় থাকেন। কিন্তু প্যাটিনসন আর সিডলের আঘাতে দলীয় শতরানের আগেই বিদায় নেন সেওয়াগ, লক্ষণ ও কোহলি। ষষ্ঠ উইকেটে শচীন আর ধোনি শেষ স্বীকৃত জুটি গড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। সিডনি যার বাড়ির মাঠের মতন সেই শচীন ৪১ রানে নবীন প্যাটিনসনের বলে বোল্ড হন। মেলবোর্নে শচীন দু’বারই আউট হয়েছিলেন সিডলের বলে। এবার স্বপ্নের উইকেট পেলেন ৪র্থ টেস্ট খেলতে নামা এ যুবক। ভিক্টোরিয়ার ২২ বছর বয়সী এ বোলার সিডনিতে এই প্রথম কোন প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলছেন। ঘরের মাঠে তিনিই ম্যাচসেরা হয়েছিলেন চৌকস নৈপুণ্যে। এবারও খানিকটা এগিয়ে গেলেন সেরা হওয়ার দৌড়ে। সপ্তম উইকেটে ধোনি ও অশ্বিনের ৫৪ রানের জুটি ভারতের স্কোর দেড় শ’ পার করে। স্পিনার অশ্বিন তার ব্যাটিং দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। ভারতের শেষ উইকেটটি নিয়ে ২৯তম টেস্টে ১০০ উইকেট পূর্ণ করেন ভিক্টোরিয়ার আরেক পেসার পিটার সিডল।
ভারতের ব্যাটিংয়ে ত্রাস হয়ে পুরো দশ উইকেটই তোলে অসি পেস ত্রয়ী প্যাটিনসন, হিলফেনহস ও সিডল। প্যাটিনসন ৪টি ও বাকিরা ৩টি করে। ভারতের ইনিংসে অধিনায়ক সবচেয়ে বেশি ৫৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। দ্বিতীয় সেরা শচীনের ৪১। চার জন আউট শূন্য রানে। আর রক্ষণাত্মক ব্যাটিংয়ে পটু দ্রাবিড়ের সংগ্রহ ৫ রান আর লক্ষণের ২। প্রথম টেস্টে ৩ ও ১৩ রানের পর শূন্য রানে আউট ওপেনার গৌতম গম্ভীর। তার বিদায়ের পর ঠেকানোর অনেক চেষ্টা করেছিলেন ‘প্রাচীর’খ্যাত দ্রাবিড়। কিন্তু ৩৩ বলে ৫ রান করেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। এরপর সেওয়াগ ও শচীন বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টায় থাকেন। কিন্তু প্যাটিনসন আর সিডলের আঘাতে দলীয় শতরানের আগেই বিদায় নেন সেওয়াগ, লক্ষণ ও কোহলি। ষষ্ঠ উইকেটে শচীন আর ধোনি শেষ স্বীকৃত জুটি গড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। সিডনি যার বাড়ির মাঠের মতন সেই শচীন ৪১ রানে নবীন প্যাটিনসনের বলে বোল্ড হন। মেলবোর্নে শচীন দু’বারই আউট হয়েছিলেন সিডলের বলে। এবার স্বপ্নের উইকেট পেলেন ৪র্থ টেস্ট খেলতে নামা এ যুবক। ভিক্টোরিয়ার ২২ বছর বয়সী এ বোলার সিডনিতে এই প্রথম কোন প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলছেন। ঘরের মাঠে তিনিই ম্যাচসেরা হয়েছিলেন চৌকস নৈপুণ্যে। এবারও খানিকটা এগিয়ে গেলেন সেরা হওয়ার দৌড়ে। সপ্তম উইকেটে ধোনি ও অশ্বিনের ৫৪ রানের জুটি ভারতের স্কোর দেড় শ’ পার করে। স্পিনার অশ্বিন তার ব্যাটিং দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। ভারতের শেষ উইকেটটি নিয়ে ২৯তম টেস্টে ১০০ উইকেট পূর্ণ করেন ভিক্টোরিয়ার আরেক পেসার পিটার সিডল।
No comments