ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য আয়োজন
বর্ণাঢ্য আয়োজনে বুধবার উদযাপিত হয়েছে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনসহ নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছিল। দেশজুড়ে মাসব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালায় যুদ্ধাপরাধী ও তাদের মদদদাতাদের বিচার দাবিসহ নানা সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কর্মসূচিও বুধবার থেকে শুরু হয়েছে।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংসদের নেওয়া চার দিনব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালার সূচনা হয় মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে অর্থাৎ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রথম প্রহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে জন্মদিনের কেক কাটার মধ্য দিয়ে। সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী মধ্যরাতের এ আনন্দময় আয়োজনে অংশ নেন।
বুধবার সকালে সংগঠনের সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এ সময় তারা কিছু সময় নীরব থেকে স্বাধীন বাংলার স্থপতি ও ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা মহান এ নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
এদিকে কর্মসূচি পালন নিয়ে ঢাকার বাইরে পাবনার ঈশ্বরদী, রাজশাহীর চারঘাট, সিলেট ও পিরোজপুরে বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এবং প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে ভালোবাসা অর্জনের মাধ্যমেই নিজেদের সংশোধন করতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, আগে মানুষ ছাত্রনেতাদের ভালোবাসত। এখন তাদের দেখলে ভয় পায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে ছাত্রলীগকেই উদ্যোগ নিতে হবে। ছাত্রলীগের এখনও যে বদনাম রয়েছে, বই-খাতা নিয়ে বসলে তা দূর হয়ে যাবে। ছাত্রনেতাদের ভয় না পেয়ে মানুষ আবারও ভালোবাসবে। নিজের ও দেশের জন্য ভালো কিছু করতে চাইলে ছাত্রনেতাদের মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে। ছাত্রলীগের সাবেক এ সভাপতি বলেন, আমাদের চারদিকে পরিবর্তনের ঢেউ। জীবনে কোনো কিছু অর্জনই অসম্ভব নয়। ভালো কিছু করতে হলে ভালো পরিবর্তন দরকার।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ২২ বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন হচ্ছে না। দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্র সংসদগুলোতেও নির্বাচন না হওয়ায় ছাত্র রাজনীতিতে এক ধরনের অসুস্থতা দেখা দিয়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে সুস্থধারা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে।
এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এমপি, লিয়াকত সিকদার, বলরাম পোদ্দার, শাহজাদা মহিউদ্দিন, গোলাম সারোয়ার কবির ও সিদ্দিকী নাজমুল আলমসহ ছাত্রলীগের সাবেক এবং বর্তমান নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে টিএসসি, শাহবাগ, রমনা, মৎস্য ভবন, কাকরাইল, নাইটিঙ্গেল মোড়, পল্টন, মুক্তাঙ্গন, জিপিও এবং শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার ঘুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয়, মহানগর এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের পাশাপাশি ঢাকা ও এর আশপাশের জেলার একাধিক ইউনিটের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী-সমর্থক শোভাযাত্রায় অংশ নেন। তারা জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা ছাড়াও রঙবেরঙের বেলুন ও ব্যানার-ফেস্টুন বহন করেন। স্লোগান ও ব্যান্ডের তালে তালে নেচে-গেয়ে শোভাযাত্রাকে উৎসব ও আনন্দমুখর করে তোলেন তারা। এ সময় মোটরসাইকেলবহর শোভাযাত্রাকে আকর্ষণীয় করে তোলে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালার দ্বিতীয় দিনে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
বুধবার সকালে সংগঠনের সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এ সময় তারা কিছু সময় নীরব থেকে স্বাধীন বাংলার স্থপতি ও ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা মহান এ নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
এদিকে কর্মসূচি পালন নিয়ে ঢাকার বাইরে পাবনার ঈশ্বরদী, রাজশাহীর চারঘাট, সিলেট ও পিরোজপুরে বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এবং প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে ভালোবাসা অর্জনের মাধ্যমেই নিজেদের সংশোধন করতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, আগে মানুষ ছাত্রনেতাদের ভালোবাসত। এখন তাদের দেখলে ভয় পায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে ছাত্রলীগকেই উদ্যোগ নিতে হবে। ছাত্রলীগের এখনও যে বদনাম রয়েছে, বই-খাতা নিয়ে বসলে তা দূর হয়ে যাবে। ছাত্রনেতাদের ভয় না পেয়ে মানুষ আবারও ভালোবাসবে। নিজের ও দেশের জন্য ভালো কিছু করতে চাইলে ছাত্রনেতাদের মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে। ছাত্রলীগের সাবেক এ সভাপতি বলেন, আমাদের চারদিকে পরিবর্তনের ঢেউ। জীবনে কোনো কিছু অর্জনই অসম্ভব নয়। ভালো কিছু করতে হলে ভালো পরিবর্তন দরকার।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ২২ বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন হচ্ছে না। দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্র সংসদগুলোতেও নির্বাচন না হওয়ায় ছাত্র রাজনীতিতে এক ধরনের অসুস্থতা দেখা দিয়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে সুস্থধারা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে।
এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এমপি, লিয়াকত সিকদার, বলরাম পোদ্দার, শাহজাদা মহিউদ্দিন, গোলাম সারোয়ার কবির ও সিদ্দিকী নাজমুল আলমসহ ছাত্রলীগের সাবেক এবং বর্তমান নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে টিএসসি, শাহবাগ, রমনা, মৎস্য ভবন, কাকরাইল, নাইটিঙ্গেল মোড়, পল্টন, মুক্তাঙ্গন, জিপিও এবং শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার ঘুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয়, মহানগর এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের পাশাপাশি ঢাকা ও এর আশপাশের জেলার একাধিক ইউনিটের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী-সমর্থক শোভাযাত্রায় অংশ নেন। তারা জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা ছাড়াও রঙবেরঙের বেলুন ও ব্যানার-ফেস্টুন বহন করেন। স্লোগান ও ব্যান্ডের তালে তালে নেচে-গেয়ে শোভাযাত্রাকে উৎসব ও আনন্দমুখর করে তোলেন তারা। এ সময় মোটরসাইকেলবহর শোভাযাত্রাকে আকর্ষণীয় করে তোলে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালার দ্বিতীয় দিনে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
No comments