পিছিয়ে নেই সিএনজিচালিত বাসও-নির্ধারিত হার না মেনে বাড়তি বাসভাড়া আদায় by অনিকা ফারজানা
সড়কপথে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ২৪২ কিলোমিটার। সর্বশেষ হার অনুযায়ী এ পথে বাসভাড়া বৃদ্ধি হওয়ার কথা ৩৬ টাকা ৩০ পয়সা। কিন্তু ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ৫০ টাকা। এভাবে দূরত্বভেদে দূরপাল্লার বাসভাড়া ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের ভাড়া বেড়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। কেবল ডিজেলচালিত বাসের ভাড়া বাড়ানো হলেও স্বল্প দূরত্বের সিএনজিচালিত বাস-মিনিবাসও ভাড়া বাড়িয়েছে। তবে মালিক সমিতি উত্তরাঞ্চলের
বিভিন্ন গন্তব্যের বাসভাড়া গতকাল বুধবার রাত পর্যন্ত নির্ধারণ না করায় আগের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। সরকার গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে ডিজেলসহ সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি পাঁচ টাকা বৃদ্ধি করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দূরপাল্লার বাসভাড়া কিলোমিটারপ্রতি ১৫ পয়সা বাড়িয়ে এক টাকা ৩৫ পয়সা নির্ধারণ করে সরকার। সোমবার নতুন এই ভাড়া কার্যকর হয়। কিন্তু পরিবহন কোম্পানিগুলো এই হার না মেনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাসগুলোতে ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে ৩৮০ টাকার স্থলে যাত্রীপ্রতি আদায় করা হচ্ছে ৪৩০ টাকা। ঢাকা-কক্সবাজারের ভাড়া ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হয়েছে। টেকনাফের ভাড়া ১০০ টাকা, খাগড়াছড়ির ৮০ টাকা, রাঙামাটির ৬০ এবং বান্দরবানের ভাড়া বেড়েছে ৭০ টাকা।
ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ধনবাড়ী, মধুপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, কুমিল্লা, নরসিংদী, ভৈরবসহ কম দূরত্বের গন্তব্যের অধিকাংশ বাস-মিনিবাস সিএনজিচালিত। কিন্তু এগুলোতেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
গতকাল গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ আন্তজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, বাসভাড়া নিয়ে যাত্রীরা অসন্তুষ্ট। একতা সুপারে মহাখালী থেকে বগুড়ার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩২০ টাকা। যাত্রীরা জানান, কয়েক দিন আগেও এই বাসে ভাড়া ছিল ২৮০ টাকা। ৩২০ টাকা দিয়ে টিকিট কেনার পর মো. আহসান হাবীব ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘বাসমালিকেরা ঈদ এলে ভাড়া বাড়ায়। জ্বালানির দাম বাড়লেও বাড়ায়। অনেক সময় কোনো কারণ ছাড়াও ভাড়া বাড়ে। কিন্তু সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয় না। যত সমস্যা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের।’ একতা সুপারের কর্মী মো. রহিম দাবি করলেন, এত দিন সরকার-নির্ধারিত হারের চেয়ে কম ভাড়া নেওয়া হতো। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির পর ওই ভাড়া নেওয়া আর সম্ভব হচ্ছে না। ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ পথের এনা পরিবহনে ৩০ ডিসেম্বর থেকেই ভাড়া ২০ টাকা বাড়িয়ে ১৬০ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন যাত্রী। এনা পরিবহনের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক। তিনি সোমবার সড়ক ভবনে বসে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা না করে যাঁরা বাসভাড়া বাড়িয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা-রংপুর পথের জয়া পরিবহনের কলেজগেট কাউন্টারের কর্মী মো. মোবারক বলেন, ‘এই পথে আগের ভাড়া ৪৫০ টাকা, তাই দিতে যাত্রীদের কষ্ট হতো। কারণ রংপুর অঞ্চলের লোকজন দরিদ্র। নতুন করে ভাড়া বাড়ালে যাত্রী পাব কই?’
নতুন ভাড়ার কারণে যাত্রী কমে যাওয়ার আশঙ্কার কথা জানালেন আরও কয়েকটি বাসের কর্মী।
স্বল্প দূরত্বের সিএনজিচালিত বাসভাড়াও বেড়েছে: সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-দীঘিরপাড় (মুন্সিগঞ্জ) পথের সিএনজিচালিত মিনিবাসের ভাড়াও ডিজেলচালিত বাসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ানো হয়েছে। ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৭০ টাকা করা হয়েছে। ঢাকা-মুন্সিগঞ্জের ভাড়া পাঁচ টাকা বাড়িয়ে ৫০ টাকা করা হয়েছে। ঢাকা-মাওয়া পথের ভাড়া ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬০ টাকা এবং ঢাকা-গাউছিয়ার ভাড়া ২৫ থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। এসব পথের প্রায় সব বাস-মিনিবাসই সিএনজিচালিত।
পরিদর্শক দলের দেখা মেলেনি: ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির নেতাদের দাবি, নতুন ভাড়া যাতে নৈরাজ্য তৈরি করতে না পারে, সে জন্য তাঁরা প্রতিটি বাস টার্মিনালে পরিদর্শক দল গঠন করে অভিযান চালাচ্ছেন। তবে গত মঙ্গলবার ও গতকাল টার্মিনালগুলোতে পরিদর্শক দল দেখা যায়নি।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. আইয়ুবুর রহমান খান প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন ধরে বিআরটিএর দুজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। এ ছাড়া অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাসগুলোতে ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে ৩৮০ টাকার স্থলে যাত্রীপ্রতি আদায় করা হচ্ছে ৪৩০ টাকা। ঢাকা-কক্সবাজারের ভাড়া ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হয়েছে। টেকনাফের ভাড়া ১০০ টাকা, খাগড়াছড়ির ৮০ টাকা, রাঙামাটির ৬০ এবং বান্দরবানের ভাড়া বেড়েছে ৭০ টাকা।
ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ধনবাড়ী, মধুপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, কুমিল্লা, নরসিংদী, ভৈরবসহ কম দূরত্বের গন্তব্যের অধিকাংশ বাস-মিনিবাস সিএনজিচালিত। কিন্তু এগুলোতেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
গতকাল গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ আন্তজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, বাসভাড়া নিয়ে যাত্রীরা অসন্তুষ্ট। একতা সুপারে মহাখালী থেকে বগুড়ার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩২০ টাকা। যাত্রীরা জানান, কয়েক দিন আগেও এই বাসে ভাড়া ছিল ২৮০ টাকা। ৩২০ টাকা দিয়ে টিকিট কেনার পর মো. আহসান হাবীব ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘বাসমালিকেরা ঈদ এলে ভাড়া বাড়ায়। জ্বালানির দাম বাড়লেও বাড়ায়। অনেক সময় কোনো কারণ ছাড়াও ভাড়া বাড়ে। কিন্তু সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয় না। যত সমস্যা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের।’ একতা সুপারের কর্মী মো. রহিম দাবি করলেন, এত দিন সরকার-নির্ধারিত হারের চেয়ে কম ভাড়া নেওয়া হতো। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির পর ওই ভাড়া নেওয়া আর সম্ভব হচ্ছে না। ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ পথের এনা পরিবহনে ৩০ ডিসেম্বর থেকেই ভাড়া ২০ টাকা বাড়িয়ে ১৬০ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন যাত্রী। এনা পরিবহনের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সাধারণ সম্পাদক। তিনি সোমবার সড়ক ভবনে বসে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা না করে যাঁরা বাসভাড়া বাড়িয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা-রংপুর পথের জয়া পরিবহনের কলেজগেট কাউন্টারের কর্মী মো. মোবারক বলেন, ‘এই পথে আগের ভাড়া ৪৫০ টাকা, তাই দিতে যাত্রীদের কষ্ট হতো। কারণ রংপুর অঞ্চলের লোকজন দরিদ্র। নতুন করে ভাড়া বাড়ালে যাত্রী পাব কই?’
নতুন ভাড়ার কারণে যাত্রী কমে যাওয়ার আশঙ্কার কথা জানালেন আরও কয়েকটি বাসের কর্মী।
স্বল্প দূরত্বের সিএনজিচালিত বাসভাড়াও বেড়েছে: সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-দীঘিরপাড় (মুন্সিগঞ্জ) পথের সিএনজিচালিত মিনিবাসের ভাড়াও ডিজেলচালিত বাসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ানো হয়েছে। ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৭০ টাকা করা হয়েছে। ঢাকা-মুন্সিগঞ্জের ভাড়া পাঁচ টাকা বাড়িয়ে ৫০ টাকা করা হয়েছে। ঢাকা-মাওয়া পথের ভাড়া ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬০ টাকা এবং ঢাকা-গাউছিয়ার ভাড়া ২৫ থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। এসব পথের প্রায় সব বাস-মিনিবাসই সিএনজিচালিত।
পরিদর্শক দলের দেখা মেলেনি: ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির নেতাদের দাবি, নতুন ভাড়া যাতে নৈরাজ্য তৈরি করতে না পারে, সে জন্য তাঁরা প্রতিটি বাস টার্মিনালে পরিদর্শক দল গঠন করে অভিযান চালাচ্ছেন। তবে গত মঙ্গলবার ও গতকাল টার্মিনালগুলোতে পরিদর্শক দল দেখা যায়নি।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. আইয়ুবুর রহমান খান প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন ধরে বিআরটিএর দুজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। এ ছাড়া অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
No comments