অনিয়ম-নিয়োগ বাণিজ্যে অনেক সাফল্য ম্লান by বদরুদ্দোজা সুমন
গত তিন বছরে স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ইত্যাদি অভিযোগ অর্জিত সাফল্যকে ম্লান করেছে। চিকিৎসকদের কর্মস্থলে রাখতে না পারা, স্বাস্থ্যনীতি বাস্তবায়নে না যাওয়া, নিয়োগ-পদোন্নতিতে অনিয়ম ও বিতর্ক ইত্যাদি নেতিবাচক বিষয়ে স্বাস্থ্য খাত প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বেশ ক'টি দুর্নীতির ঘটনায়ও ব্যাপক তোলপাড় হয়। অন্যদিকে মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হ্রাসে অভাবনীয় সাফল্য, শূন্যপদ পূরণ, ওষুধের সরবরাহ বৃদ্ধি, কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক
মহলে প্রশংসিত হয়েছে। সরকার সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) দাপট ও আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ডাক্তারদের গ্রামীণ কর্মস্থলে রাখা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর বারংবার কড়া হুশিয়ারিকেও অগ্রাহ্য করা
হয়েছে। প্রায় ছয় হাজার অ্যাডহক চিকিৎসকের হদিস নেই বলে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিন বছরেও গরিবের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দেখা যায়নি কার্যকর পদক্ষেপ। এখনও গরিবদের একটু সেবা পেতে মন্ত্রী, সাংসদ অথবা প্রভাবশালী কারও সুপারিশ নিয়ে আসতে হয়। এসব কারণে স্বাস্থ্য খাতকে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি সরকার।
নেপথ্যে থেকে নিয়োগ-পদোন্নতি নিয়ন্ত্রণ, কেনাকাটার নামে লুটপাট, অনুসারী চিকিৎসকদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া, প্রতিপক্ষকে দমন_ সব ক'টি অভিযোগই রয়েছে স্বাচিপের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, বিএনপি আমলে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) সম্পর্কেও একই রকম অভিযোগ ছিল।
নিয়ন্ত্রণমূলক আইন-নীতির খবর নেই
নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুত 'জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি' করতে না পারার দায় সরকার কিছুতেই এড়াতে পারবে না। মন্ত্রিসভায় নীতিটি অনুমোদন করানোর পর থেকে সেটির আর কোনো খবর নেই। অথচ সরকার গঠনের তিন মাসের মধ্যে স্বাস্থ্যনীতি করার কথা ছিল। 'বেসরকারি চিকিৎসা সেবা আইন' উদ্যোক্তা ও চিকিৎসকদের বাধায় অন্ধকারে হারিয়ে গেছে।
রয়েছে সাফল্য
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এত অপূর্ণতার মাঝেও স্বাস্থ্য খাতে এ সরকারের অর্জন কম নয়। বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু ও স্বাস্থ্যসেবা জরিপের সর্বশেষ প্রতিবেদন মতে, মৃত্যুহার বিগত ১০ বছরে ৪০ শতাংশ কমে প্রতি লাখে ১৯৪ জনে নেমে গেছে। শিশুমৃত্যু কমানোয় সঠিক কক্ষপথে থাকার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী 'সাউথ সাউথ' অ্যাওয়ার্ডসহ মোট দুটি পদকে ভূষিত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক মহল বলছে, বাংলাদেশ যথাসময়ে এমডিজি-৪ ও ৫ অর্জনের পথে রয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করে বলেছিলেন, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সারাবিশ্বের জন্য 'মডেল' হতে পারে।
এ তিন বছরে স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। নিয়োগে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এটিকে বড় সাফল্য হিসেবে দাবি করেন। লাল-সবুজের বিশেষ মোড়কে সরকারি ওষুধের প্রচলন আরেকটি ইতিবাচক দিক।
এইচপিএনএসডিপিতে বিঘ্ন
অর্থের সংস্থান নিয়ে অনিশ্চয়তা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে প্রায় ছয় মাস বন্ধ ছিল পাঁচ বছর মেয়াদি বৃহত্তর কার্যক্রম 'স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত উন্নয়ন কর্মসূচি (এইচপিএনএসডিপি)'। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন চিত্রও সন্তোষজনক নয়।
৬২টি ওষুধ কোম্পানি 'উন্নত উৎপাদন অনুশীলন (জিএমপি)' অনুসরণ করছে না_ মর্মে সংসদীয় উপ-কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে বিষোদ্গার করা হয়েছে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরে প্রায় সাড়ে আট হাজার জনবল নিয়োগ করে কার্যক্রম গতিশীল করার চেষ্টা চলে। তবে প্রধানত যে কারণে কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সেই ক্যাডার, নন-ক্যাডার দ্বন্দ্ব নিরসনে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
সরকারের তিন বছর সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেন, কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থতার অভিযোগ অস্বীকার করার সুযোগ নেই। সমালোচনা সব সময়ই কিছু থাকে। তথাপি আমাদের অনেক সাফল্যও রয়েছে।
নিয়োগ-পদোন্নতিতে হরিলুট
স্বাস্থ্য অধিদফতর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরে প্রায় ৫০ হাজার জনবল নিয়োগে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রার্থীপ্রতি দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। স্বার্থহানির আশঙ্কায় ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ দিতে চান না। ডিপিসিতে সাত শতাধিক চিকিৎসকের পদোন্নতিও অনিয়মের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীন গত তিন বছরে ৩৯ হাজার ৯২ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরে নিয়োগ হয়েছে আট হাজারেরও বেশি জনবল।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সিফায়েত উল্লাহ সমকালকে বলেন, তিন বছরে এত লোকের কর্মসংস্থানের নজির দ্বিতীয়টি নেই। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য খাত অনেক এগিয়ে। এতে আমরা সন্তুষ্ট। তবে আমার দায়িত্ব নেওয়ার আগের অনিয়ম বিষয়ে কিছু বলার নেই।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরে জনবল নিয়োগে অনিয়মের কারণেও সংসদীয় কমিটি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। স্বচ্ছতা রক্ষা না করায় নিয়োগ কমিটি থেকে আগেই নাম প্রত্যাহার করে নেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি।
২০১০ সালে অ্যাডহক চিকিৎসক নিয়োগের মাধ্যমে বড়মাপের নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। স্বাচিপ নেতা ও মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে পাসকৃত ডাক্তারদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিয়োগ দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি ইন্টার্নি শেষ করার আগেই কয়েকজন নিয়োগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় নিয়োগবঞ্চিত স্বাচিপ কর্মীরা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেতাদের কক্ষে ভাংচুর চালান। কিছুদিন পর ঢাকা মেডিকেলে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ১৭১টি পদে নিয়োগ নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কর্মচারী নিয়োগ স্থগিত করেন। এক স্বাচিপ নেতাকে ঢাকা মেডিকেল থেকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়। অবশ্য কিছুদিন পরই ওই নেতা আবার বদলি আদেশ নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন।
অভিযোগ সম্পর্কে স্বাস্থ্য সচিব মুহম্মদ হুমায়ুন কবির সমকালকে বলেন, অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে_ এটি ইতিবাচক। অনিয়মের অভিযোগগুলো এড়াতে পারলে ভালো হতো।
হয়েছে। প্রায় ছয় হাজার অ্যাডহক চিকিৎসকের হদিস নেই বলে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিন বছরেও গরিবের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দেখা যায়নি কার্যকর পদক্ষেপ। এখনও গরিবদের একটু সেবা পেতে মন্ত্রী, সাংসদ অথবা প্রভাবশালী কারও সুপারিশ নিয়ে আসতে হয়। এসব কারণে স্বাস্থ্য খাতকে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি সরকার।
নেপথ্যে থেকে নিয়োগ-পদোন্নতি নিয়ন্ত্রণ, কেনাকাটার নামে লুটপাট, অনুসারী চিকিৎসকদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া, প্রতিপক্ষকে দমন_ সব ক'টি অভিযোগই রয়েছে স্বাচিপের বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত, বিএনপি আমলে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) সম্পর্কেও একই রকম অভিযোগ ছিল।
নিয়ন্ত্রণমূলক আইন-নীতির খবর নেই
নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুত 'জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি' করতে না পারার দায় সরকার কিছুতেই এড়াতে পারবে না। মন্ত্রিসভায় নীতিটি অনুমোদন করানোর পর থেকে সেটির আর কোনো খবর নেই। অথচ সরকার গঠনের তিন মাসের মধ্যে স্বাস্থ্যনীতি করার কথা ছিল। 'বেসরকারি চিকিৎসা সেবা আইন' উদ্যোক্তা ও চিকিৎসকদের বাধায় অন্ধকারে হারিয়ে গেছে।
রয়েছে সাফল্য
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এত অপূর্ণতার মাঝেও স্বাস্থ্য খাতে এ সরকারের অর্জন কম নয়। বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু ও স্বাস্থ্যসেবা জরিপের সর্বশেষ প্রতিবেদন মতে, মৃত্যুহার বিগত ১০ বছরে ৪০ শতাংশ কমে প্রতি লাখে ১৯৪ জনে নেমে গেছে। শিশুমৃত্যু কমানোয় সঠিক কক্ষপথে থাকার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী 'সাউথ সাউথ' অ্যাওয়ার্ডসহ মোট দুটি পদকে ভূষিত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক মহল বলছে, বাংলাদেশ যথাসময়ে এমডিজি-৪ ও ৫ অর্জনের পথে রয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করে বলেছিলেন, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সারাবিশ্বের জন্য 'মডেল' হতে পারে।
এ তিন বছরে স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। নিয়োগে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এটিকে বড় সাফল্য হিসেবে দাবি করেন। লাল-সবুজের বিশেষ মোড়কে সরকারি ওষুধের প্রচলন আরেকটি ইতিবাচক দিক।
এইচপিএনএসডিপিতে বিঘ্ন
অর্থের সংস্থান নিয়ে অনিশ্চয়তা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে প্রায় ছয় মাস বন্ধ ছিল পাঁচ বছর মেয়াদি বৃহত্তর কার্যক্রম 'স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত উন্নয়ন কর্মসূচি (এইচপিএনএসডিপি)'। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন চিত্রও সন্তোষজনক নয়।
৬২টি ওষুধ কোম্পানি 'উন্নত উৎপাদন অনুশীলন (জিএমপি)' অনুসরণ করছে না_ মর্মে সংসদীয় উপ-কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে বিষোদ্গার করা হয়েছে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরে প্রায় সাড়ে আট হাজার জনবল নিয়োগ করে কার্যক্রম গতিশীল করার চেষ্টা চলে। তবে প্রধানত যে কারণে কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সেই ক্যাডার, নন-ক্যাডার দ্বন্দ্ব নিরসনে কোনো অগ্রগতি হয়নি।
সরকারের তিন বছর সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক বলেন, কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থতার অভিযোগ অস্বীকার করার সুযোগ নেই। সমালোচনা সব সময়ই কিছু থাকে। তথাপি আমাদের অনেক সাফল্যও রয়েছে।
নিয়োগ-পদোন্নতিতে হরিলুট
স্বাস্থ্য অধিদফতর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরে প্রায় ৫০ হাজার জনবল নিয়োগে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রার্থীপ্রতি দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। স্বার্থহানির আশঙ্কায় ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ দিতে চান না। ডিপিসিতে সাত শতাধিক চিকিৎসকের পদোন্নতিও অনিয়মের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীন গত তিন বছরে ৩৯ হাজার ৯২ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরে নিয়োগ হয়েছে আট হাজারেরও বেশি জনবল।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সিফায়েত উল্লাহ সমকালকে বলেন, তিন বছরে এত লোকের কর্মসংস্থানের নজির দ্বিতীয়টি নেই। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য খাত অনেক এগিয়ে। এতে আমরা সন্তুষ্ট। তবে আমার দায়িত্ব নেওয়ার আগের অনিয়ম বিষয়ে কিছু বলার নেই।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরে জনবল নিয়োগে অনিয়মের কারণেও সংসদীয় কমিটি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। স্বচ্ছতা রক্ষা না করায় নিয়োগ কমিটি থেকে আগেই নাম প্রত্যাহার করে নেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি।
২০১০ সালে অ্যাডহক চিকিৎসক নিয়োগের মাধ্যমে বড়মাপের নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। স্বাচিপ নেতা ও মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে পাসকৃত ডাক্তারদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিয়োগ দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি ইন্টার্নি শেষ করার আগেই কয়েকজন নিয়োগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় নিয়োগবঞ্চিত স্বাচিপ কর্মীরা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেতাদের কক্ষে ভাংচুর চালান। কিছুদিন পর ঢাকা মেডিকেলে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ১৭১টি পদে নিয়োগ নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কর্মচারী নিয়োগ স্থগিত করেন। এক স্বাচিপ নেতাকে ঢাকা মেডিকেল থেকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়। অবশ্য কিছুদিন পরই ওই নেতা আবার বদলি আদেশ নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন।
অভিযোগ সম্পর্কে স্বাস্থ্য সচিব মুহম্মদ হুমায়ুন কবির সমকালকে বলেন, অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে_ এটি ইতিবাচক। অনিয়মের অভিযোগগুলো এড়াতে পারলে ভালো হতো।
No comments