ট্রানজিট-সুবিধা পেল ভারতীয় পর্যটন জাহাজ!
এবার ট্রানজিট-সুবিধায় পর্যটন জাহাজ নিতে চায় ভারত। অথচ বাংলাদেশ-ভারত নৌ-প্রটোকলের আওতায় পণ্যবাহী জাহাজই কেবল ট্রানজিট-সুবিধা পায়। এ জন্য খুলনায় এমভি মাহাবাহু নামের একটি ভারতীয় জাহাজ আটকে দিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। যদিও গত ২৬ ডিসেম্বর ভারতীয় জাহাজটিকে ট্রানজিটের অনুমতি দেয় নৌ মন্ত্রণালয়। এই ধরনের জাহাজকে ট্রানজিট-সুবিধা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আসামসহ উত্তর-পূর্ব ভারতীয়
রাজ্যগুলোতে অভ্যন্তরীণ পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য গত ৩০ ডিসেম্বর খুলনায় এসে পৌঁছায় এমভি মাহাবাহু নামের জাহাজটি। জাহাজটি কলকাতা-হলদিয়া, রায়মঙ্গল-চালনা-খুলনা-মংলা-কুয়াখালী-বরিশাল-হিজলা-চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ-আরিচা-সিরাজগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ-চিলমারী-ধুবরী-পান্ডু পথটি ব্যবহার করে ভারতের আসাম যেতে চায়।
জাহাজে ২৬টি এলসিডি টেলিভিশন, ৪৯০টি বিছানার চাদর প্যাকেটজাত অবস্থায় রয়েছে। কয়েক হাজার মিটার পর্দার কাপড়, খাট বানানোর সরঞ্জামাদিও আছে। জাহাজের মধ্যেই সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে। কিন্তু এসব কর্মকাণ্ড দেখে খুলনার কাস্টমস কর্মকর্তারা প্রশ্ন তোলেন। এরপর জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানায় পর্যটকদের ভ্রমণের উদ্দেশে জাহাজ ও পণ্যগুলো ব্যবহার করা হবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান নৌ-প্রটোকলের আওতায় পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রানজিট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই গত ৩১ ডিসেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে প্রটোকলটি পর্যালোচনা করে মতামত চান খুলনা কাস্টমস কমিশনার।
খুলনার কাস্টমস কমিশনার হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে জাহাজের পণ্যগুলোর শুল্কায়নপদ্ধতি কী হবে, তা জানতে চেয়ে এনবিআরের মতামত চাওয়া হয়েছে। সাধারণত জাহাজে পরিবাহিত পণ্যের ওপর শুল্কায়ন করা হয়। কিন্তু জাহাজে ব্যবহার্য পণ্য কীভাবে শুল্কায়ন হবে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
পর্যটকদের সেবা প্রদানের জন্য আনা জাহাজটি ট্রানজিট-সুবিধা দেওয়ার নৌ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এনবিআর। গত ২ ডিসেম্বর নৌ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, নৌ-প্রটোকলের অনুচ্ছেদ ১ দশমিক ৩ অনুচ্ছেদে শুধু বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহনকারী জাহাজই প্রটোকলের আওতায় ‘ভেসেল’ বলে গণ্য হবে। অন্যদিকে প্রটোকলের মুখবন্ধে আরও বলা হয়েছে, দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধা অর্জনে পণ্য পরিবহনের জন্য বাণিজ্যের উদ্দেশে এক দেশ অন্য দেশের নৌপথ ব্যবহার করবে। এসব বিবেচনায় নৌ-প্রটোকলের আওতায় ট্রানজিটসুবিধা দেওয়ার বিষয়টি বোধগম্য নয় বলে মনে করছে এনবিআর। এসব বিষয় বিবেচনা করে নৌ মন্ত্রণালয়কে দ্রুত মতামত দিতে অনুরোধ করেছে এনবিআর।
জাহাজে ২৬টি এলসিডি টেলিভিশন, ৪৯০টি বিছানার চাদর প্যাকেটজাত অবস্থায় রয়েছে। কয়েক হাজার মিটার পর্দার কাপড়, খাট বানানোর সরঞ্জামাদিও আছে। জাহাজের মধ্যেই সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে। কিন্তু এসব কর্মকাণ্ড দেখে খুলনার কাস্টমস কর্মকর্তারা প্রশ্ন তোলেন। এরপর জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানায় পর্যটকদের ভ্রমণের উদ্দেশে জাহাজ ও পণ্যগুলো ব্যবহার করা হবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান নৌ-প্রটোকলের আওতায় পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রানজিট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই গত ৩১ ডিসেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে প্রটোকলটি পর্যালোচনা করে মতামত চান খুলনা কাস্টমস কমিশনার।
খুলনার কাস্টমস কমিশনার হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে জাহাজের পণ্যগুলোর শুল্কায়নপদ্ধতি কী হবে, তা জানতে চেয়ে এনবিআরের মতামত চাওয়া হয়েছে। সাধারণত জাহাজে পরিবাহিত পণ্যের ওপর শুল্কায়ন করা হয়। কিন্তু জাহাজে ব্যবহার্য পণ্য কীভাবে শুল্কায়ন হবে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
পর্যটকদের সেবা প্রদানের জন্য আনা জাহাজটি ট্রানজিট-সুবিধা দেওয়ার নৌ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এনবিআর। গত ২ ডিসেম্বর নৌ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, নৌ-প্রটোকলের অনুচ্ছেদ ১ দশমিক ৩ অনুচ্ছেদে শুধু বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহনকারী জাহাজই প্রটোকলের আওতায় ‘ভেসেল’ বলে গণ্য হবে। অন্যদিকে প্রটোকলের মুখবন্ধে আরও বলা হয়েছে, দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধা অর্জনে পণ্য পরিবহনের জন্য বাণিজ্যের উদ্দেশে এক দেশ অন্য দেশের নৌপথ ব্যবহার করবে। এসব বিবেচনায় নৌ-প্রটোকলের আওতায় ট্রানজিটসুবিধা দেওয়ার বিষয়টি বোধগম্য নয় বলে মনে করছে এনবিআর। এসব বিষয় বিবেচনা করে নৌ মন্ত্রণালয়কে দ্রুত মতামত দিতে অনুরোধ করেছে এনবিআর।
No comments