কার্ডিফের ভূত তাড়াল শ্রীলঙ্কা
কার্ডিফের ভূতটাকে লর্ডসে কবর দিয়ে দিল শ্রীলঙ্কা। অবশ্য পরশু লর্ডসের ব্যালকনিতে উঁকি দিয়েছিল সেই ভূতটা, ৯৬ রানে পড়ে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কার ৩ উইকেট। ক্রিকইনফোতে এক ইংলিশ সমর্থক মন্তব্য করলেন, ‘কার্ডিফ-ধসটা যেন এখানেও নামে।’
না, নামেনি। কার্ডিফে শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে গিয়েছিল ২৪.৪ ওভারেই। পরশু তারও দ্বিগুণ ওভার অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস দিয়েছিলেন তাঁর বোলারদের। ৫৮ ওভার পেয়েছিলেন ট্রেমলেট-ব্রড-সোয়ানরা। কিন্তু ৪৩ ওভার পার হয়ে যাওয়াতেই নিশ্চিত হয়, কার্ডিফের ভূত এবার ভর করছে না। দুই দলই মেনে নেয় ড্র।
এই ড্রয়েও অনেক তৃপ্তি আছে শ্রীলঙ্কার। ইংল্যান্ডের জন্য আছে আক্ষেপ। ইনিংস ঘোষণা করতে কেন এত সময় নিলেন স্ট্রাউস—এই প্রশ্নটা উঠছেই। এই তৃপ্তি-অতৃপ্তির সমীকরণে শ্রীলঙ্কার জন্য দুঃসংবাদও আছে। সিরিজের শেষ টেস্টে তারা পাচ্ছে না অধিনায়ক তিলকরত্নে দিলশানকে। লর্ডসে দিলশানের প্রথম ইনিংসে করা ১৯৩ রানের ইনিংসটাই ম্যাচ বাঁচিয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কার। আর তাই অ্যালিস্টার কুকের দুই ইনিংসে ৯৬ ও ১০৬ রানের পরও ম্যাচসেরা এই সিরিজেই অভিষিক্ত লঙ্কান অধিনায়ক।
প্রথম ইনিংসেই ডান হাতের বুড়ো আঙুলে দুবার লেগেছিল ক্রিস ট্রেমলেটের বল। চিড় ধরা পড়েছে পরশু। খুব বেশি প্রয়োজন না পড়লে পরশু ব্যাট হাতে নিতেনই না। আর কাল নিশ্চিত হয়ে গেল দিলশানকে ছাড়াই ১৬ জুন সাউদাম্পটনে শুরু শেষ টেস্টটা খেলতে হবে সফরকারীদের। স্বেচ্ছায় অধিনায়কত্ব ছাড়া কুমার সাঙ্গাকারার কাঁধেই আবার বসছে নেতৃত্বের ভার।
নিজে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার দুঃখ আছে। তবে দিন শেষে দিলশানের জন্য তৃপ্তি, এই ম্যাচে কার্ডিফের মানসিক বাধাটা শেষ পর্যন্ত জয় করতে পেরেছে তাঁর দল, ‘সব মিলে আমি সুখী। কার্ডিফের ম্যাচটার পর ব্যাটে-বলে আমরা ভালোই করেছি লর্ডসে।’ অন্যদিকে স্ট্রাউসকে দুশ্চিন্তায় ফেলতে এক ইনিংস পর পর তাঁর বোলারদের জ্বলে ওঠার অধারাবাহিক ধারাবাহিকতা। এক ইনিংসে ভালো হয় তো পরের ইনিংসে মনে হয়, বোলিংয়ে কোনো ধারই নেই, ‘গত ১৮ মাসে আমরা নিজেদের নিয়ে গর্ব করছিলাম আমাদের বোলারদের ধারাবাহিকতার জন্য। তবে বোলাররা তো আর যন্ত্র নয়, মানুষ। তাই হয়তো মাঝেমধ্যে তারা সেই ছন্দটা পায় না।’
তবে এই ম্যাচেও একটা প্রাপ্তি আছে ইংল্যান্ডের। বেশ সাবলীল খেলেছেন কেভিন পিটারসেন। তাঁর যম হয়ে ওঠা বাঁহাতি স্পিনেই শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন। তবে এর আগে করে গেছেন ৭২ রান। এই ইনিংসটাকেই রানের চেয়ে অনেক বড় মানছেন স্ট্রাউস, ‘ও যখন নামল, পরিস্থিতি সহজ ছিল না। কালো মেঘ ছিল। এ সময় লর্ডসে ব্যাটিং করা সহজ নয় মোটেও। কিন্তু সে দারুণ করল। আশা করি, ওর সুসময়টা শুরু হয়ে গেল।
না, নামেনি। কার্ডিফে শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে গিয়েছিল ২৪.৪ ওভারেই। পরশু তারও দ্বিগুণ ওভার অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস দিয়েছিলেন তাঁর বোলারদের। ৫৮ ওভার পেয়েছিলেন ট্রেমলেট-ব্রড-সোয়ানরা। কিন্তু ৪৩ ওভার পার হয়ে যাওয়াতেই নিশ্চিত হয়, কার্ডিফের ভূত এবার ভর করছে না। দুই দলই মেনে নেয় ড্র।
এই ড্রয়েও অনেক তৃপ্তি আছে শ্রীলঙ্কার। ইংল্যান্ডের জন্য আছে আক্ষেপ। ইনিংস ঘোষণা করতে কেন এত সময় নিলেন স্ট্রাউস—এই প্রশ্নটা উঠছেই। এই তৃপ্তি-অতৃপ্তির সমীকরণে শ্রীলঙ্কার জন্য দুঃসংবাদও আছে। সিরিজের শেষ টেস্টে তারা পাচ্ছে না অধিনায়ক তিলকরত্নে দিলশানকে। লর্ডসে দিলশানের প্রথম ইনিংসে করা ১৯৩ রানের ইনিংসটাই ম্যাচ বাঁচিয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কার। আর তাই অ্যালিস্টার কুকের দুই ইনিংসে ৯৬ ও ১০৬ রানের পরও ম্যাচসেরা এই সিরিজেই অভিষিক্ত লঙ্কান অধিনায়ক।
প্রথম ইনিংসেই ডান হাতের বুড়ো আঙুলে দুবার লেগেছিল ক্রিস ট্রেমলেটের বল। চিড় ধরা পড়েছে পরশু। খুব বেশি প্রয়োজন না পড়লে পরশু ব্যাট হাতে নিতেনই না। আর কাল নিশ্চিত হয়ে গেল দিলশানকে ছাড়াই ১৬ জুন সাউদাম্পটনে শুরু শেষ টেস্টটা খেলতে হবে সফরকারীদের। স্বেচ্ছায় অধিনায়কত্ব ছাড়া কুমার সাঙ্গাকারার কাঁধেই আবার বসছে নেতৃত্বের ভার।
নিজে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার দুঃখ আছে। তবে দিন শেষে দিলশানের জন্য তৃপ্তি, এই ম্যাচে কার্ডিফের মানসিক বাধাটা শেষ পর্যন্ত জয় করতে পেরেছে তাঁর দল, ‘সব মিলে আমি সুখী। কার্ডিফের ম্যাচটার পর ব্যাটে-বলে আমরা ভালোই করেছি লর্ডসে।’ অন্যদিকে স্ট্রাউসকে দুশ্চিন্তায় ফেলতে এক ইনিংস পর পর তাঁর বোলারদের জ্বলে ওঠার অধারাবাহিক ধারাবাহিকতা। এক ইনিংসে ভালো হয় তো পরের ইনিংসে মনে হয়, বোলিংয়ে কোনো ধারই নেই, ‘গত ১৮ মাসে আমরা নিজেদের নিয়ে গর্ব করছিলাম আমাদের বোলারদের ধারাবাহিকতার জন্য। তবে বোলাররা তো আর যন্ত্র নয়, মানুষ। তাই হয়তো মাঝেমধ্যে তারা সেই ছন্দটা পায় না।’
তবে এই ম্যাচেও একটা প্রাপ্তি আছে ইংল্যান্ডের। বেশ সাবলীল খেলেছেন কেভিন পিটারসেন। তাঁর যম হয়ে ওঠা বাঁহাতি স্পিনেই শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন। তবে এর আগে করে গেছেন ৭২ রান। এই ইনিংসটাকেই রানের চেয়ে অনেক বড় মানছেন স্ট্রাউস, ‘ও যখন নামল, পরিস্থিতি সহজ ছিল না। কালো মেঘ ছিল। এ সময় লর্ডসে ব্যাটিং করা সহজ নয় মোটেও। কিন্তু সে দারুণ করল। আশা করি, ওর সুসময়টা শুরু হয়ে গেল।
No comments