নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের নিন্দা প্রস্তাবের প্রস্তুতি
সিরিয়ায় কয়েক মাস ধরে সরকারবিরোধীদের ওপর চলা দমন-পীড়নের নিন্দা জানাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব তোলার প্রস্তুতি নিয়েছে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের গতকাল বুধবার এ বিষয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করার কথা। তবে এতে লিবিয়ার মতো সামরিক অভিযান বা অবরোধের মতো কোনো প্রস্তাব থাকবে না।
জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের একজন মুখপাত্র গত মঙ্গলবার জানান, জাতিসংঘের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে বুধবার সন্ধ্যায় নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের শেষে বা আগামী সপ্তাহের শুরুতে ওই প্রস্তাবের বিষয়ে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হতে পারে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেন, সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের কিছু করার দায়িত্ব রয়েছে। তিনি সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন, সিরিয়াকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নতুন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হতে পারে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলা জুপে বলেন, ‘সিরিয়ায় পরিস্থিতি ভয়াবহ। সেখানে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বেড়েই চলছে। কিন্তু এর পরও বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের চুপ করে থাকার বিষয়টি বিস্ময়কর। আমরা বন্ধুরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।’ নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠক শেষে জুপে এ কথা বলেন।
যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের এ উদ্যোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের আশঙ্কা, এ প্রস্তাব লিবিয়া অভিযানের মতো সিরিয়াতেও পশ্চিমাদের সামরিক অভিযান চালানোর প্রথম ধাপ হতে পারে।
তবে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের এ উদ্যোগ সফল না-ও হতে পারে। কারণ, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাশিয়া ও চীন নিন্দা প্রস্তাবের বিরোধিতা করতে পারে। ইইউতে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভ্লাদিমির চিজোভ জানান, লিবিয়া অভিযানের মতো কোনো প্রস্তাবের পক্ষে তাঁর দেশ ভোট দেবে না।
এদিকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে ৩১টি সামরিক ট্যাংক জিসর আল সুগুর শহরের দিকে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গত সোমবার সরকারবিরোধীরা এই শহরে পুলিশের ১২০ জন সদস্যকে হত্যা করে।
জিসর আল সুগুরের স্থানীয় একজন বাসিন্দা বার্তা সংস্থা এপিকে টেলিফোনে জানান, সরকারি বাহিনী এখানে চরম অভিযান চালাবে আশঙ্কা করে তাঁরা শহর ছেড়ে তুরস্ক সীমান্তের দিকে পালিয়ে যাচ্ছেন। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানায়, মঙ্গলবার রাতে ১২২ সিরীয় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তুরস্কে প্রবেশ করে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের একজন মুখপাত্র গত মঙ্গলবার জানান, জাতিসংঘের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে বুধবার সন্ধ্যায় নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের শেষে বা আগামী সপ্তাহের শুরুতে ওই প্রস্তাবের বিষয়ে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হতে পারে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেন, সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের কিছু করার দায়িত্ব রয়েছে। তিনি সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন, সিরিয়াকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নতুন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হতে পারে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলা জুপে বলেন, ‘সিরিয়ায় পরিস্থিতি ভয়াবহ। সেখানে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বেড়েই চলছে। কিন্তু এর পরও বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের চুপ করে থাকার বিষয়টি বিস্ময়কর। আমরা বন্ধুরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।’ নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠক শেষে জুপে এ কথা বলেন।
যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের এ উদ্যোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের আশঙ্কা, এ প্রস্তাব লিবিয়া অভিযানের মতো সিরিয়াতেও পশ্চিমাদের সামরিক অভিযান চালানোর প্রথম ধাপ হতে পারে।
তবে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের এ উদ্যোগ সফল না-ও হতে পারে। কারণ, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাশিয়া ও চীন নিন্দা প্রস্তাবের বিরোধিতা করতে পারে। ইইউতে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভ্লাদিমির চিজোভ জানান, লিবিয়া অভিযানের মতো কোনো প্রস্তাবের পক্ষে তাঁর দেশ ভোট দেবে না।
এদিকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে ৩১টি সামরিক ট্যাংক জিসর আল সুগুর শহরের দিকে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গত সোমবার সরকারবিরোধীরা এই শহরে পুলিশের ১২০ জন সদস্যকে হত্যা করে।
জিসর আল সুগুরের স্থানীয় একজন বাসিন্দা বার্তা সংস্থা এপিকে টেলিফোনে জানান, সরকারি বাহিনী এখানে চরম অভিযান চালাবে আশঙ্কা করে তাঁরা শহর ছেড়ে তুরস্ক সীমান্তের দিকে পালিয়ে যাচ্ছেন। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানায়, মঙ্গলবার রাতে ১২২ সিরীয় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তুরস্কে প্রবেশ করে।
No comments