ক্যাটিচ নেই সিএর চুক্তিতে, সাবেকেরা ক্ষুব্ধ
ব্যাপারটিকে অপ্রত্যাশিতই বলা যায়। নতুন মৌসুম সামনে রেখে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাদের চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড়দের যে তালিকা দিয়েছে, তাতে নেই সাইমন ক্যাটিচের নাম। অথচ গেল মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার অনেক ব্যর্থতার মধ্যেও স্বীয় পারফরম্যান্স দিয়ে দারুণ ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়েছিলেন ৩৫ বছর বয়স্ক এই অসি ওপেনার। বয়সটা ৩৫ হয়ে যাওয়াতেই ক্যাটিচকে বলির কাঠে মাথা রাখতে হল বলে মানে করা হচ্ছে। ব্যাপারটি পরিষ্কার হয়ে গেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক কমিটির প্রধান অ্যান্ড্রু হিলডিচের কথাতেও। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এখন একটি নতুন প্রজন্ম তৈরি করার প্রত্যয়ে রয়েছি। আমরা একটি নতুন উদ্বোধনী জুটি তৈরি করতে চাই যাঁরা আগামী অ্যাশেজ সিরিজে ফর্মের তুঙ্গে থেকে পারফর্ম করতে পারবে। ক্যাটিচের বয়সটা ৩৫ হওয়াতে তাঁকে এই প্রকল্প থেকে বাদই দিতে হয়েছে।’
তবে হিলডিচ যাই বলুন না কেন ব্যাপারটিকে যথেষ্টই সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। সমালোচনাটা এসেছে মূলত অস্ট্রেলিয়ার সাবেক টেস্ট ক্রিকেটারদের কাছ থেকে। তাঁরা ক্যাটিচের বাদ পড়াটাকে ‘পৃষ্ঠদেশে ছুরিকাঘাত’ হিসেবেই অভিহিত করেছেন। অনেকে বলেছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ক্যাটিচকে একপ্রকার গলায় রশি লাগিয়েই ‘ঝুলিয়ে’ দিয়েছে।
মাইকেল স্ল্যাটার অস্ট্রেলিয়ার ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকাকে বলেছেন, ‘একমাত্র ইনজুরি ছাড়া ক্যাটিচকে বাদ দেওয়ার কোনেই কারণ নেই। এটা অনেকটা ওকে গলায় রশি লাগিয়ে ঝুলিয়েই দেওয়া হলো।’
১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপজয়ী অসি দলের কোচ বব সিম্পসন বলেছেন, ‘বয়স কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। নতুন প্রজন্মের দল তৈরি করতেও দুই-একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের দরকার হয়। ক্যাটিচের যে ফর্ম ছিল, তাতে সে এতে দারুণভাবে কাজে লাগত।’
সত্তরের দশকের শেষদিকে ক্যারি প্যাকারের ওয়ার্ল্ড সিরিজে খেলতে গিয়ে যখন অস্ট্রেলিয়ার প্রায় পুরো দলই নিষিদ্ধ, তখন ৪২ বছর বয়সে অসিদের অধিনায়কত্ব করতে হয়েছিল সিম্পসনকে। তাই বয়সের অজুহাত দেখিয়ে ক্যাটিচকে চুক্তির বাইরে রাখাটাকে একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। তিনি বলেছেন, ‘ক্যাটিচ নিজেকে প্রমাণ করেছিল, পারফরম্যান্স দিয়েই। যদি বয়সের কারণে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়—সেটা প্রচণ্ড অন্যায় হয়েছে।’
আরেক অস্ট্রেলীয় গ্রেট মার্ক ওয়াহও সোচ্চার ক্যাটিচকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারে। তিনি বলেছেন, ‘ক্যাটিচের বয়স হয়তো ৩৫। কিন্তু, সে গত ১২-১৪ মাসে যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে সেটা ভুলে গেলে কি চলবে?’
অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ক্রিকেট সাংবাদিক ম্যালকম কন একটি পত্রিকায় নিজের কলামে লিখেছেন, ‘ক্যাটিচ নির্বাচকদের কাছ থেকে অন্যায্য আচরণের শিকার হয়েছেন। ব্যাপারটি অনেকটা পেছন থেকে কাউকে ছুরি মারার মতো।’
তবে হিলডিচ যাই বলুন না কেন ব্যাপারটিকে যথেষ্টই সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। সমালোচনাটা এসেছে মূলত অস্ট্রেলিয়ার সাবেক টেস্ট ক্রিকেটারদের কাছ থেকে। তাঁরা ক্যাটিচের বাদ পড়াটাকে ‘পৃষ্ঠদেশে ছুরিকাঘাত’ হিসেবেই অভিহিত করেছেন। অনেকে বলেছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ক্যাটিচকে একপ্রকার গলায় রশি লাগিয়েই ‘ঝুলিয়ে’ দিয়েছে।
মাইকেল স্ল্যাটার অস্ট্রেলিয়ার ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকাকে বলেছেন, ‘একমাত্র ইনজুরি ছাড়া ক্যাটিচকে বাদ দেওয়ার কোনেই কারণ নেই। এটা অনেকটা ওকে গলায় রশি লাগিয়ে ঝুলিয়েই দেওয়া হলো।’
১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপজয়ী অসি দলের কোচ বব সিম্পসন বলেছেন, ‘বয়স কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। নতুন প্রজন্মের দল তৈরি করতেও দুই-একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের দরকার হয়। ক্যাটিচের যে ফর্ম ছিল, তাতে সে এতে দারুণভাবে কাজে লাগত।’
সত্তরের দশকের শেষদিকে ক্যারি প্যাকারের ওয়ার্ল্ড সিরিজে খেলতে গিয়ে যখন অস্ট্রেলিয়ার প্রায় পুরো দলই নিষিদ্ধ, তখন ৪২ বছর বয়সে অসিদের অধিনায়কত্ব করতে হয়েছিল সিম্পসনকে। তাই বয়সের অজুহাত দেখিয়ে ক্যাটিচকে চুক্তির বাইরে রাখাটাকে একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। তিনি বলেছেন, ‘ক্যাটিচ নিজেকে প্রমাণ করেছিল, পারফরম্যান্স দিয়েই। যদি বয়সের কারণে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়—সেটা প্রচণ্ড অন্যায় হয়েছে।’
আরেক অস্ট্রেলীয় গ্রেট মার্ক ওয়াহও সোচ্চার ক্যাটিচকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারে। তিনি বলেছেন, ‘ক্যাটিচের বয়স হয়তো ৩৫। কিন্তু, সে গত ১২-১৪ মাসে যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে সেটা ভুলে গেলে কি চলবে?’
অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ক্রিকেট সাংবাদিক ম্যালকম কন একটি পত্রিকায় নিজের কলামে লিখেছেন, ‘ক্যাটিচ নির্বাচকদের কাছ থেকে অন্যায্য আচরণের শিকার হয়েছেন। ব্যাপারটি অনেকটা পেছন থেকে কাউকে ছুরি মারার মতো।’
No comments