আয়ারল্যান্ডের কাছে ইতালির হার
৬৭ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে পিছিয়ে ঢাকা আবাহনী। ঠিক এর পরই ম্যাচে ফেরার সুবর্ণ সুযোগ এনে দিলেন বেনজামিন কুপার। বক্সের মধ্যে দাঁড়ানো আরামবাগের এই লাইবেরিয়ান ফরোয়ার্ডের হাতে বল লাগায় পেনাল্টি পেল আবাহনী। থুয়াম ফ্রাঙ্ক কিন্তু এ থেকে গোল করতে পারেননি! বল মেরে দেন পোস্টের কোনায়, ফিরে আসা বলে সামাদ ইউসুফের শটেই বল ঢুকে যায় জালে। আবাহনীর কোচ আলী আকবর পোরমুসলিমি তখনই ফেলতে পেরেছেন স্বস্তির নিঃশ্বাস।
এই পেনাল্টি যেমন ভাগ্যক্রমে গোল উপহার দিয়েছে আবাহনীকে, তেমনি ম্যাচকে দিয়েছে নাটকের অনেক উপকরণ। আরামবাগের খেলোয়াড়দের দাবি, কুপারের হাতে বল লাগেনি; রেফারি পক্ষপাত দেখিয়ে পেনাল্টি দিয়েছেন। এই অজুহাতে আরামবাগের সব খেলোয়াড় চলে আসেন নিজেদের ডাগ-আউটের কাছে। সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। সাত মিনিট বন্ধ থাকে খেলা। অবশেষে কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে তাঁরা খেলতে রাজি হন। এরপরই সেই পেনাল্টি, ফ্রাঙ্কের ব্যর্থতার পর সামাদ ইউসুফে রক্ষা। ফ্রাঙ্ক পেনাল্টির ব্যর্থতা পরে পুষিয়ে দিয়েছেন ৮৮ মিনিটে জয়সূচক গোল করে।
লিগে ১৪তম গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় জেমস মগার (১৬টি) পরই নাম লেখালেন ফ্রাঙ্ক, ছুঁলেন মুক্তিযোদ্ধার মিঠুনকে। এর আগে অবশ্য আরও একটি নাটক দেখেছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। ৮৪ মিনিটে আরামবাগের কুপারের মুখে ঘুষি মেরে লাল কার্ড পেয়েছেন রবিন। বাকি ৬ মিনিট ১০ জনের আবাহনীর কাছ থেকে পয়েন্ট কাড়তে পারেনি আরামবাগ।
লিগের এখন যে অবস্থা তাতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা শেখ জামাল ধানমন্ডি নিজেদের পরের তিন ম্যাচ জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে। এই জয়ে ১৮ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এল আগের টানা তিনবারের শিরোপাজয়ী আবাহনী, তাদের বাকি আছে আরও চার ম্যাচ। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শেখ জামাল। ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে এর পরই মুক্তিযোদ্ধা। ১৯ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানেই আরামবাগ।
কাল ম্যাচের শুরু থেকে যেভাবে আক্রমণাত্মক খেলেছে আরামবাগ তাতে জয় নিয়ে ফেরার কথা ছিল তাদেরই। গিনির বাঙ্গুরা ইসমাইল বিজয়ের মঞ্চ সাজিয়েও দিয়েছিলেন। ১৩ মিনিটে খালেদ সাইফুল্লার থ্রো থেকে হেডে গোল করে প্রথমে এগিয়ে নেন দলকে (১-০)। কিন্তু অগ্রগামিতা ধরে রাখতে পারেনি আরামবাগ। আবাহনীর খেলোয়াড়দের গোল শোধের চেষ্টা, পরে অতিরক্ষণাত্মক খোলসে ঢুকে পড়ার মাশুলই গুনেছে তারা। গোল খাওয়ায় প্রথমার্ধ শেষে তুলে নেওয়া হয় আবাহনীর নিয়মিত গোলরক্ষককে জিয়াউর রহমানকে। এই জিয়ার ভুলেই মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে জেতা ম্যাচে ড্র করতে হয়েছে আবাহনীকে। কাল প্রথমার্ধ শেষে দর্শকদের দুয়ো শুনে হাত উঁচিয়ে গ্যালারির দিকে তেড়ে যান জিয়া। পরে তাঁকে ফেরান ক্লাব কর্মকর্তারা। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন শহীদুল আলম।
আবাহনী কোচ আলী আকবর মনে করেন, আরামবাগ অতিরক্ষণাত্মক না খেললে সহজেই জিতত তাঁর দল, ‘এটা কোনো ফুটবল হলো! ওরা একেবারেই নেতিবাচক খেলেছে। রেফারি পেনাল্টি দিলে খেলা বন্ধ রেখে মাঠের পাশে গিয়ে বসে পড়েছে। যেন পাড়ার ফুটবল!’ দলকে শিরোপা লড়াইয়ে টিকিয়ে রেখেছেন, কিন্তু শিরোপা নিয়ে তিনি ভাবছেন না, ‘শিরোপা নিয়ে এখন ভাবছি না। ওটা নির্ভর করছে অনেক “যদি” “কিন্তু”র ওপর।’ অসুস্থতার কারণে কাল খেলেননি আউডু ইব্রাহিম, ম্যাচে তার প্রভাব পড়েছে বলেও মনে করেন ইরানি কোচ। আরামবাগের কোচ শেখ জাহিদুর রহমানের দাবি, ‘ওটা পেনাল্টি হয়নি। এভাবে বড় দলকে রেফারি ফেবার করলে আমরা আর কী করব?’
এই পেনাল্টি যেমন ভাগ্যক্রমে গোল উপহার দিয়েছে আবাহনীকে, তেমনি ম্যাচকে দিয়েছে নাটকের অনেক উপকরণ। আরামবাগের খেলোয়াড়দের দাবি, কুপারের হাতে বল লাগেনি; রেফারি পক্ষপাত দেখিয়ে পেনাল্টি দিয়েছেন। এই অজুহাতে আরামবাগের সব খেলোয়াড় চলে আসেন নিজেদের ডাগ-আউটের কাছে। সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। সাত মিনিট বন্ধ থাকে খেলা। অবশেষে কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে তাঁরা খেলতে রাজি হন। এরপরই সেই পেনাল্টি, ফ্রাঙ্কের ব্যর্থতার পর সামাদ ইউসুফে রক্ষা। ফ্রাঙ্ক পেনাল্টির ব্যর্থতা পরে পুষিয়ে দিয়েছেন ৮৮ মিনিটে জয়সূচক গোল করে।
লিগে ১৪তম গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় জেমস মগার (১৬টি) পরই নাম লেখালেন ফ্রাঙ্ক, ছুঁলেন মুক্তিযোদ্ধার মিঠুনকে। এর আগে অবশ্য আরও একটি নাটক দেখেছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। ৮৪ মিনিটে আরামবাগের কুপারের মুখে ঘুষি মেরে লাল কার্ড পেয়েছেন রবিন। বাকি ৬ মিনিট ১০ জনের আবাহনীর কাছ থেকে পয়েন্ট কাড়তে পারেনি আরামবাগ।
লিগের এখন যে অবস্থা তাতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা শেখ জামাল ধানমন্ডি নিজেদের পরের তিন ম্যাচ জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে। এই জয়ে ১৮ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এল আগের টানা তিনবারের শিরোপাজয়ী আবাহনী, তাদের বাকি আছে আরও চার ম্যাচ। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শেখ জামাল। ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে এর পরই মুক্তিযোদ্ধা। ১৯ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানেই আরামবাগ।
কাল ম্যাচের শুরু থেকে যেভাবে আক্রমণাত্মক খেলেছে আরামবাগ তাতে জয় নিয়ে ফেরার কথা ছিল তাদেরই। গিনির বাঙ্গুরা ইসমাইল বিজয়ের মঞ্চ সাজিয়েও দিয়েছিলেন। ১৩ মিনিটে খালেদ সাইফুল্লার থ্রো থেকে হেডে গোল করে প্রথমে এগিয়ে নেন দলকে (১-০)। কিন্তু অগ্রগামিতা ধরে রাখতে পারেনি আরামবাগ। আবাহনীর খেলোয়াড়দের গোল শোধের চেষ্টা, পরে অতিরক্ষণাত্মক খোলসে ঢুকে পড়ার মাশুলই গুনেছে তারা। গোল খাওয়ায় প্রথমার্ধ শেষে তুলে নেওয়া হয় আবাহনীর নিয়মিত গোলরক্ষককে জিয়াউর রহমানকে। এই জিয়ার ভুলেই মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে জেতা ম্যাচে ড্র করতে হয়েছে আবাহনীকে। কাল প্রথমার্ধ শেষে দর্শকদের দুয়ো শুনে হাত উঁচিয়ে গ্যালারির দিকে তেড়ে যান জিয়া। পরে তাঁকে ফেরান ক্লাব কর্মকর্তারা। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন শহীদুল আলম।
আবাহনী কোচ আলী আকবর মনে করেন, আরামবাগ অতিরক্ষণাত্মক না খেললে সহজেই জিতত তাঁর দল, ‘এটা কোনো ফুটবল হলো! ওরা একেবারেই নেতিবাচক খেলেছে। রেফারি পেনাল্টি দিলে খেলা বন্ধ রেখে মাঠের পাশে গিয়ে বসে পড়েছে। যেন পাড়ার ফুটবল!’ দলকে শিরোপা লড়াইয়ে টিকিয়ে রেখেছেন, কিন্তু শিরোপা নিয়ে তিনি ভাবছেন না, ‘শিরোপা নিয়ে এখন ভাবছি না। ওটা নির্ভর করছে অনেক “যদি” “কিন্তু”র ওপর।’ অসুস্থতার কারণে কাল খেলেননি আউডু ইব্রাহিম, ম্যাচে তার প্রভাব পড়েছে বলেও মনে করেন ইরানি কোচ। আরামবাগের কোচ শেখ জাহিদুর রহমানের দাবি, ‘ওটা পেনাল্টি হয়নি। এভাবে বড় দলকে রেফারি ফেবার করলে আমরা আর কী করব?’
No comments