হাসিমুখেই রোনালদোর বিদায়
১৫ মিনিট মাঠে ছিলেন। সেই মিনিট পনেরোর মধ্যেই তাঁর ক্যারিয়ারের পুরো ফ্ল্যাশব্যাক যেন দ্রুত প্রদর্শিত হয়ে গেল। ক্যারিয়ারজুড়েই আছে বিশাল প্রাপ্তির সঙ্গে দুই চিমটি অপ্রাপ্তির আক্ষেপ। শেষটাতেও থেকে গেল তা-ই।
মিনিট পনেরোর মধ্যেও তিন-তিনটা সুযোগ পেয়েছিলেন গোল করার। কিন্তু রোনালদো গোল করতে পারলেন না একটিও। অবশ্য তাঁর বিদায়ী ম্যাচ হয়ে ওঠা রোমানিয়ার সঙ্গে প্রীতি ম্যাচটা ব্রাজিল জিতল ১-০ গোলে। ফ্রেডের করা সেই গোলের সৌজন্যে সাও পাওলো থেকে জয় দিয়েই বিদায় নিতে পারলেন শুধু ব্রাজিলেরই নয়, ফুটবলেরই এক কিংবদন্তি!
সেই বিখ্যাত হলুদ জার্সিতে ‘৯’ নম্বর পরে আবারও নামবেন। তাই রোনালদোকে মাঠ থেকে বিদায় দিতে উপচে পড়েছিল সাও পাওলোর গ্যালারি। ৩০ হাজার দর্শকের মাঝে প্রথমার্ধের শেষ ১৫ মিনিটে নেমে গেলেন রোনালদো। শরীরে মেদ, আগের সেই বাঘের ক্ষিপ্রতা নেই। তার পরও একটি দুটি ঝলক তাঁর ঠিকই দেখা গেল।
২১ মিনিটে গোল করা ফ্রেডকে তুলেই রোনালদোকে নামিয়েছিলেন কোচ মানো মেনেজেস। প্রথম গোলটির উৎস নেইমারই দারুণ একটা বল বানিয়ে দিয়েছিলেন রোনালদো নামার তিন মিনিটের মাথায়। কিন্তু শট ঠেকিয়ে দেন রোমানিয়ার গোলরক্ষক। ৩৯ মিনিটে আবারও নেইমার। এবার রোনালদো একেবারে অরক্ষিত অবস্থায়। নিজের সোনালি দিনগুলোয় চোখ বন্ধ করেই এই পজিশন থেকে গোল করতে পারতেন। কিন্তু সেই দিনটা যে এখন ধূসর, সেটা প্রমাণ হয়ে গেল আরও একটি ব্যর্থতায়। ক্রসবারের ওপর দিয়ে মারলেন। আরও একবার গোলপোস্টের কাছাকাছি শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রোনালদোর গোল না করতে পারার হতাশা পুরো গ্যালারিতে অনূদিত হয়েছে—‘আহ্’!
মাঝবিরতিতেই রোনালদোকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়ে দেয় ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন। জাতীয় দলের হয়ে ৯৭তম বার মাঠে নেমেছেন। গোল করেছেন ৬২টি। পেলের পর ব্রাজিলের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল তাঁরই। বিশ্বকাপেই করেছেন ১৫ গোল, যেটি এখনো ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদার আসরে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড। বার্সেলোনা, ইন্টার মিলান, রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ক্লাব ফুটবলেও কাটিয়েছেন উজ্জ্বল ক্যারিয়ার। দুটি বিশ্বকাপ জিতেছেন। ক্লাবের হয়ে অজস্র শিরোপা। ব্যক্তিগত অর্জনের তালিকাটাও বিশাল লম্বা।
সেই রোনালদোকে হাসিমুখে বিদায় নিতে গিয়ে ক্ষমাপ্রার্থনাও করে নিতে হলো। দর্শকদের উদ্দেশে দেওয়া ছোট্ট বক্তব্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি বললেন, ‘গোল করার বেশ কটি সুযোগ পেয়েছিলাম। দুঃখিত, ঠিকমতো সেগুলো গোল বানাতে পারিনি। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই পুরো ক্যারিয়ারে আমাকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ায়। যখন আমি কেঁদেছিলাম, আমার সঙ্গে আপনারাও কেঁদেছেন। যখন হেসেছি, আপনারও হেসেছেন। আবারও শিগগিরই দেখা হবে। কিন্তু এর পর থেকে আমি সাইডলাইনেই থাকব। ব্রাজিলিয়ান হিসেবে নিজেকে নিয়ে গর্ব হয় আমার।’
মিনিট পনেরোর মধ্যেও তিন-তিনটা সুযোগ পেয়েছিলেন গোল করার। কিন্তু রোনালদো গোল করতে পারলেন না একটিও। অবশ্য তাঁর বিদায়ী ম্যাচ হয়ে ওঠা রোমানিয়ার সঙ্গে প্রীতি ম্যাচটা ব্রাজিল জিতল ১-০ গোলে। ফ্রেডের করা সেই গোলের সৌজন্যে সাও পাওলো থেকে জয় দিয়েই বিদায় নিতে পারলেন শুধু ব্রাজিলেরই নয়, ফুটবলেরই এক কিংবদন্তি!
সেই বিখ্যাত হলুদ জার্সিতে ‘৯’ নম্বর পরে আবারও নামবেন। তাই রোনালদোকে মাঠ থেকে বিদায় দিতে উপচে পড়েছিল সাও পাওলোর গ্যালারি। ৩০ হাজার দর্শকের মাঝে প্রথমার্ধের শেষ ১৫ মিনিটে নেমে গেলেন রোনালদো। শরীরে মেদ, আগের সেই বাঘের ক্ষিপ্রতা নেই। তার পরও একটি দুটি ঝলক তাঁর ঠিকই দেখা গেল।
২১ মিনিটে গোল করা ফ্রেডকে তুলেই রোনালদোকে নামিয়েছিলেন কোচ মানো মেনেজেস। প্রথম গোলটির উৎস নেইমারই দারুণ একটা বল বানিয়ে দিয়েছিলেন রোনালদো নামার তিন মিনিটের মাথায়। কিন্তু শট ঠেকিয়ে দেন রোমানিয়ার গোলরক্ষক। ৩৯ মিনিটে আবারও নেইমার। এবার রোনালদো একেবারে অরক্ষিত অবস্থায়। নিজের সোনালি দিনগুলোয় চোখ বন্ধ করেই এই পজিশন থেকে গোল করতে পারতেন। কিন্তু সেই দিনটা যে এখন ধূসর, সেটা প্রমাণ হয়ে গেল আরও একটি ব্যর্থতায়। ক্রসবারের ওপর দিয়ে মারলেন। আরও একবার গোলপোস্টের কাছাকাছি শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রোনালদোর গোল না করতে পারার হতাশা পুরো গ্যালারিতে অনূদিত হয়েছে—‘আহ্’!
মাঝবিরতিতেই রোনালদোকে বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়ে দেয় ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন। জাতীয় দলের হয়ে ৯৭তম বার মাঠে নেমেছেন। গোল করেছেন ৬২টি। পেলের পর ব্রাজিলের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল তাঁরই। বিশ্বকাপেই করেছেন ১৫ গোল, যেটি এখনো ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদার আসরে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড। বার্সেলোনা, ইন্টার মিলান, রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ক্লাব ফুটবলেও কাটিয়েছেন উজ্জ্বল ক্যারিয়ার। দুটি বিশ্বকাপ জিতেছেন। ক্লাবের হয়ে অজস্র শিরোপা। ব্যক্তিগত অর্জনের তালিকাটাও বিশাল লম্বা।
সেই রোনালদোকে হাসিমুখে বিদায় নিতে গিয়ে ক্ষমাপ্রার্থনাও করে নিতে হলো। দর্শকদের উদ্দেশে দেওয়া ছোট্ট বক্তব্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি বললেন, ‘গোল করার বেশ কটি সুযোগ পেয়েছিলাম। দুঃখিত, ঠিকমতো সেগুলো গোল বানাতে পারিনি। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই পুরো ক্যারিয়ারে আমাকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ায়। যখন আমি কেঁদেছিলাম, আমার সঙ্গে আপনারাও কেঁদেছেন। যখন হেসেছি, আপনারও হেসেছেন। আবারও শিগগিরই দেখা হবে। কিন্তু এর পর থেকে আমি সাইডলাইনেই থাকব। ব্রাজিলিয়ান হিসেবে নিজেকে নিয়ে গর্ব হয় আমার।’
No comments