কিসে আপস আর কিসে আপসহীন? by এ কে এম জাকারিয়া
আপস’ আর ‘আপসহীনতা’ এ দুটি শব্দ নিয়ে নতুন করে গবেষণা করা জরুরি হয়ে পড়েছে, বিশেষ করে বাংলাদেশের কথা মাথায় রেখে ও খারাপ-ভালোর পাল্লায় ফেলে। আবার এ দুটি শব্দ যখন বিশেষণে পরিণত হয়, মানে মানুষের চরিত্রের একটি দিক হিসেবে বিবেচিত হয়, তখনই বা একে কীভাবে দেখি আমরা? আমাদের এই দেখাটা কি ঠিক আছে, নাকি আমাদের ভাবনা-চিন্তায় কিছু বদল দরকার হয়ে পড়েছে?
এর আগে একটু যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে আসি। ক্যালিফোর্নিয়ার স্টেট সিনেটর স্টিভ পিস আইনপ্রণেতা হিসেবে ১০ বছর দায়িত্ব পালন করার পর রাজ্য সিনেটে এক বিদায়ী ভাষণ দিয়েছিলেন। এ ধরনের ভাষণে সাধারণত অভিজ্ঞতা বা এ থেকে পাওয়া নিজের বোধোদয়ের বিষয়গুলোই প্রকাশ পায়। স্টিভ পিসের বোধোদয় হচ্ছে, ‘আপস শব্দটিকে একটি নেতিবাচক শব্দের ধারণা দিয়ে আমরা আমাদের সমাজের বড় ক্ষতি করেছি। অথচ আপস এমন একটি মানবিক হাতিয়ার, যা দিয়ে মতভেদ ও ভিন্নতা সত্ত্বেও আমরা একসঙ্গে থাকতে পারি এবং আমাদের এই মতভেদ ও ভিন্নতার কারণে আমরা একে অপরকে খুন করি না।’ এর সঙ্গে গণতন্ত্রের সম্পর্ক কী, তা-ও পরিষ্কার করেছেন তিনি। ‘গণতন্ত্র বলতে আসলে যা বোঝায় তা হচ্ছে আপস। আপস ছাড়া গণতন্ত্র অচল। যখন আপনি আপস করেন, তখন আপনি গণতন্ত্রচর্চা করেন।’
চলচ্চিত্র অভিনেতা, কাহিনিকার ও প্রযোজক হিসেবে যথেষ্ট পরিচিতি থাকলেও স্টিভ পিস মার্কিন রাজনীতিতে তেমন আলোচিত কোনো সিনেটর নন। ২০০২ সালে রাজ্য সিনেটে দেওয়া তাঁর এ বক্তব্যটি কেন খুঁজে বের করতে হয়েছে, তা বুঝতে নিশ্চয়ই পাঠকদের কষ্ট করতে হচ্ছে না। স্টিভ যে আক্ষেপ করেছেন, সেই সর্বনাশ তো আমাদের সমাজে ঘটে গেছে বহু আগে। এখানেও আপস মানে খারাপ কিছু। যিনি যত আপসহীন, তিনি তত মহান! এদিকে আমরা আবার গণতন্ত্রকেও মেনেছি সেরা রাজনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে। গণতন্ত্র ও আপসহীনতা—দুটোকেই একসঙ্গে মহান ভাবলে যে দুর্দশা হতে পারে, তার মধ্য দিয়েই এখন চলতে হচ্ছে আমাদের।
আপসহীনতা বিষয়টি কি তবে খুবই খারাপ কিছু? সবকিছুতেই আপসের পথ ধরতে হবে? ‘গণতন্ত্র ও আপস’ (Democracy and Compromise) এই শিরোনামে একটি লেখা পেয়েছি অ্যাপ্রোচেস টু লিগ্যাল র্যাশনালিটি নামের একটি সংকলন গ্রন্থে। প্রবন্ধটির লেখক প্যাট্রিস ক্যানিভেজ। ফ্রান্সের দ্য গল বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি ও রাজনৈতিক দর্শনের অধ্যাপক ক্যানিভেজ তাঁর এই দীর্ঘ প্রবন্ধে এ নিয়ে নানা তাত্ত্বিক আলোচনা করেছেন। কত ধরনের আপস বা সমঝোতা হতে পারে, কোন ধরনের আপসের ফল কী হতে পারে, উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে প্রবন্ধটিতে। এই যে আপসকে আমরা ভালো বলছি, বলছি আপস ছাড়া গণতন্ত্র অচল; কিন্তু সব সময় বা সবকিছুর সঙ্গেই কি আপস করতে হবে? আপসের কি কোনো খারাপ দিক নেই? কোন আপস খারাপ? প্যাট্রিসের প্রবন্ধটিতে এ নিয়ে যা পেলাম, তা অনেকটা এ রকম: পারস্পরিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বা এ ধরনের স্বার্থে নীতির প্রশ্নে বা নীতি-নৈতিকতা ও মানবাধিকারের ব্যাপারে আপস করা হচ্ছে ‘আপস’ বিষয়টির খারাপ দিক। বুঝলাম, আপসের চর্চা বাংলাদেশে ভালোভাবেই হয়, তবে আপসের যে দিকটি খারাপ—তার চর্চা।
আমাদের রাজনীতিতে আপস হয় নীতির প্রশ্নে, দুর্নীতির প্রশ্নে, মানবাধিকারের প্রশ্নে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক লাভের স্বার্থেই এই আপস। যে নীতির বিরোধিতায় দুই দিন আগেও গলা ফেটেছে, এখন সে নীতি রক্ষায় হরতাল ডাকা বা যে নীতি প্রতিষ্ঠায় দিনের পর দিন হরতাল ডাকা হয়েছে, এখন তা থেকে সরে এসে নীতির প্রশ্নে আপস, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরোধিতা করে ক্ষমতায় এসে মানবাধিকারের ব্যাপারে আপস, নিজ দলের দুর্নীতিবাজদের ছেড়ে দিয়ে, মামলা প্রত্যাহার করে দুর্নীতির সঙ্গে আপস—চারদিকে আপসের ছড়াছড়ি।
ক্ষমতায় আসার জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই আপস করতে হয়েছে। আর এখন আপস করতে হচ্ছে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য। এর আগে ক্ষমতায় থেকে নীতির প্রশ্নে, মানবাধিকারের প্রশ্নে ও দুর্নীতির প্রশ্নে আপস করেছেন খালেদা জিয়া। এখন নীতির প্রশ্নে আপসের পথ ধরতে হচ্ছে আবার ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তো তবে আপসের খেলাই চলছে! এই আপসের ভিড়ে কি তবে আপসহীনতা তার জায়গা হারিয়েছে? কোনোভাবেই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন ‘আপসহীন’ হয়ে উঠেছেন আগামী নির্বাচন থেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা উঠিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে। আর বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়া তো সবকিছুতেই আপসহীন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন খালেদা জিয়ার এই ‘আপসহীন’ ভাবমূর্তিকে আরও জোরালো করতেই ঘোষণা করে দিলেন, আগামী নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে না। খালেদা জিয়া আর দেরি করেননি, তিনি বলে দিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকতে হবে। এর কোনো পরিবর্তনই মানবেন না তিনি। আর এ নিয়ে কোনো আলোচনারও সুযোগ নেই। আবার নতুন করে ‘আপসহীন’ হওয়ার সুযোগ পেলেন খালেদা জিয়া!
সরকার বা সরকারি দল আওয়ামী লীগ যদি বিএনপির দাবি মেনে আগামী নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার আগের মতোই রেখে দেয়, তবে খালেদা জিয়ার আপসহীনতার প্রাথমিক জয় হবে। কিন্তু বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে প্রধান উপদেষ্টা করার বিষয়টি যখন আসবে, তখন কী হবে? বিএনপি যদি তাঁকে মেনে না নেয় এবং যদি অন্য বিকল্পগুলো বিবেচনায় নিতে হয়, তবে কি আলোচনা ছাড়া এই বিষয়টির সুরাহা করা যাবে? তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সংসদে বা সরকারের সঙ্গে ‘আলোচনার সুযোগ নেই’ এই আপসহীন অবস্থান আর গণতন্ত্র কি একসঙ্গে যায়?
যেখানে আপসহীন (নীতির প্রশ্নে, মানবাধিকারের প্রশ্নে, দুর্নীতির প্রশ্নে) হওয়ার কথা, সেখানে আপস; আর যেখানে আপস (দেশের ও গণতন্ত্রের স্বার্থে সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে আলাপ-আলোচনা, সংলাপ ও সমঝোতা) দরকার, সেখানে আপসহীন! উল্টা পথেই চলছে দেশটি!
এ কে এম জাকারিয়া: সাংবাদিক
akmzakaria@gmail.com
এর আগে একটু যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে আসি। ক্যালিফোর্নিয়ার স্টেট সিনেটর স্টিভ পিস আইনপ্রণেতা হিসেবে ১০ বছর দায়িত্ব পালন করার পর রাজ্য সিনেটে এক বিদায়ী ভাষণ দিয়েছিলেন। এ ধরনের ভাষণে সাধারণত অভিজ্ঞতা বা এ থেকে পাওয়া নিজের বোধোদয়ের বিষয়গুলোই প্রকাশ পায়। স্টিভ পিসের বোধোদয় হচ্ছে, ‘আপস শব্দটিকে একটি নেতিবাচক শব্দের ধারণা দিয়ে আমরা আমাদের সমাজের বড় ক্ষতি করেছি। অথচ আপস এমন একটি মানবিক হাতিয়ার, যা দিয়ে মতভেদ ও ভিন্নতা সত্ত্বেও আমরা একসঙ্গে থাকতে পারি এবং আমাদের এই মতভেদ ও ভিন্নতার কারণে আমরা একে অপরকে খুন করি না।’ এর সঙ্গে গণতন্ত্রের সম্পর্ক কী, তা-ও পরিষ্কার করেছেন তিনি। ‘গণতন্ত্র বলতে আসলে যা বোঝায় তা হচ্ছে আপস। আপস ছাড়া গণতন্ত্র অচল। যখন আপনি আপস করেন, তখন আপনি গণতন্ত্রচর্চা করেন।’
চলচ্চিত্র অভিনেতা, কাহিনিকার ও প্রযোজক হিসেবে যথেষ্ট পরিচিতি থাকলেও স্টিভ পিস মার্কিন রাজনীতিতে তেমন আলোচিত কোনো সিনেটর নন। ২০০২ সালে রাজ্য সিনেটে দেওয়া তাঁর এ বক্তব্যটি কেন খুঁজে বের করতে হয়েছে, তা বুঝতে নিশ্চয়ই পাঠকদের কষ্ট করতে হচ্ছে না। স্টিভ যে আক্ষেপ করেছেন, সেই সর্বনাশ তো আমাদের সমাজে ঘটে গেছে বহু আগে। এখানেও আপস মানে খারাপ কিছু। যিনি যত আপসহীন, তিনি তত মহান! এদিকে আমরা আবার গণতন্ত্রকেও মেনেছি সেরা রাজনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে। গণতন্ত্র ও আপসহীনতা—দুটোকেই একসঙ্গে মহান ভাবলে যে দুর্দশা হতে পারে, তার মধ্য দিয়েই এখন চলতে হচ্ছে আমাদের।
আপসহীনতা বিষয়টি কি তবে খুবই খারাপ কিছু? সবকিছুতেই আপসের পথ ধরতে হবে? ‘গণতন্ত্র ও আপস’ (Democracy and Compromise) এই শিরোনামে একটি লেখা পেয়েছি অ্যাপ্রোচেস টু লিগ্যাল র্যাশনালিটি নামের একটি সংকলন গ্রন্থে। প্রবন্ধটির লেখক প্যাট্রিস ক্যানিভেজ। ফ্রান্সের দ্য গল বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি ও রাজনৈতিক দর্শনের অধ্যাপক ক্যানিভেজ তাঁর এই দীর্ঘ প্রবন্ধে এ নিয়ে নানা তাত্ত্বিক আলোচনা করেছেন। কত ধরনের আপস বা সমঝোতা হতে পারে, কোন ধরনের আপসের ফল কী হতে পারে, উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে প্রবন্ধটিতে। এই যে আপসকে আমরা ভালো বলছি, বলছি আপস ছাড়া গণতন্ত্র অচল; কিন্তু সব সময় বা সবকিছুর সঙ্গেই কি আপস করতে হবে? আপসের কি কোনো খারাপ দিক নেই? কোন আপস খারাপ? প্যাট্রিসের প্রবন্ধটিতে এ নিয়ে যা পেলাম, তা অনেকটা এ রকম: পারস্পরিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বা এ ধরনের স্বার্থে নীতির প্রশ্নে বা নীতি-নৈতিকতা ও মানবাধিকারের ব্যাপারে আপস করা হচ্ছে ‘আপস’ বিষয়টির খারাপ দিক। বুঝলাম, আপসের চর্চা বাংলাদেশে ভালোভাবেই হয়, তবে আপসের যে দিকটি খারাপ—তার চর্চা।
আমাদের রাজনীতিতে আপস হয় নীতির প্রশ্নে, দুর্নীতির প্রশ্নে, মানবাধিকারের প্রশ্নে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক লাভের স্বার্থেই এই আপস। যে নীতির বিরোধিতায় দুই দিন আগেও গলা ফেটেছে, এখন সে নীতি রক্ষায় হরতাল ডাকা বা যে নীতি প্রতিষ্ঠায় দিনের পর দিন হরতাল ডাকা হয়েছে, এখন তা থেকে সরে এসে নীতির প্রশ্নে আপস, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরোধিতা করে ক্ষমতায় এসে মানবাধিকারের ব্যাপারে আপস, নিজ দলের দুর্নীতিবাজদের ছেড়ে দিয়ে, মামলা প্রত্যাহার করে দুর্নীতির সঙ্গে আপস—চারদিকে আপসের ছড়াছড়ি।
ক্ষমতায় আসার জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই আপস করতে হয়েছে। আর এখন আপস করতে হচ্ছে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য। এর আগে ক্ষমতায় থেকে নীতির প্রশ্নে, মানবাধিকারের প্রশ্নে ও দুর্নীতির প্রশ্নে আপস করেছেন খালেদা জিয়া। এখন নীতির প্রশ্নে আপসের পথ ধরতে হচ্ছে আবার ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তো তবে আপসের খেলাই চলছে! এই আপসের ভিড়ে কি তবে আপসহীনতা তার জায়গা হারিয়েছে? কোনোভাবেই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন ‘আপসহীন’ হয়ে উঠেছেন আগামী নির্বাচন থেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা উঠিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে। আর বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়া তো সবকিছুতেই আপসহীন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন খালেদা জিয়ার এই ‘আপসহীন’ ভাবমূর্তিকে আরও জোরালো করতেই ঘোষণা করে দিলেন, আগামী নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকবে না। খালেদা জিয়া আর দেরি করেননি, তিনি বলে দিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকতে হবে। এর কোনো পরিবর্তনই মানবেন না তিনি। আর এ নিয়ে কোনো আলোচনারও সুযোগ নেই। আবার নতুন করে ‘আপসহীন’ হওয়ার সুযোগ পেলেন খালেদা জিয়া!
সরকার বা সরকারি দল আওয়ামী লীগ যদি বিএনপির দাবি মেনে আগামী নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার আগের মতোই রেখে দেয়, তবে খালেদা জিয়ার আপসহীনতার প্রাথমিক জয় হবে। কিন্তু বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে প্রধান উপদেষ্টা করার বিষয়টি যখন আসবে, তখন কী হবে? বিএনপি যদি তাঁকে মেনে না নেয় এবং যদি অন্য বিকল্পগুলো বিবেচনায় নিতে হয়, তবে কি আলোচনা ছাড়া এই বিষয়টির সুরাহা করা যাবে? তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সংসদে বা সরকারের সঙ্গে ‘আলোচনার সুযোগ নেই’ এই আপসহীন অবস্থান আর গণতন্ত্র কি একসঙ্গে যায়?
যেখানে আপসহীন (নীতির প্রশ্নে, মানবাধিকারের প্রশ্নে, দুর্নীতির প্রশ্নে) হওয়ার কথা, সেখানে আপস; আর যেখানে আপস (দেশের ও গণতন্ত্রের স্বার্থে সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে আলাপ-আলোচনা, সংলাপ ও সমঝোতা) দরকার, সেখানে আপসহীন! উল্টা পথেই চলছে দেশটি!
এ কে এম জাকারিয়া: সাংবাদিক
akmzakaria@gmail.com
No comments