বোয়াস
বেঁচে থাকলে স্যার ববি রবসন খুব খুশি হতেন। এই ভেবে ভালো লাগত, ১৭ বছর আগে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরের মধ্যে ভবিষ্যতের যে ছবি দেখতে পেয়েছিলেন, সেটি সত্যি হয়েছে কাঁটায় কাঁটায়। সেদিনের সেই কিশোর পরশু গড়লেন ইতিহাস। সবচেয়ে কম বয়সী কোচ হিসেবে উয়েফার যেকোনো ক্লাব প্রতিযোগিতা জেতার রেকর্ড গড়লেন আন্দ্রে ভিলাস বোয়াস।
পোর্তোর দায়িত্ব নিয়ে প্রথম বছরেই লিগ আর ইউরাপো লিগ জিতিয়েছেন। আগামী রোববার কাপ ফাইনালেও জিতলে প্রথম বছরেই ‘ট্রেবল’ জয়ের কৃতিত্ব থাকবে এই ৩৩ বছর বয়সীর। অথচ বোয়াস পেশাদার ফুটবল খেলেননি কখনোই।
খেলবেন কী করে, তিনি যে কোচই হতে চেয়েছিলেন। কোচ হওয়ার স্বপ্ন তাঁকে সেই কৈশোরেই দেখতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন রবসন। দুই বছর আগে প্রয়াত এই ইংলিশ কোচ তখন পোর্তোর দায়িত্বে ছিলেন। রবসন আর বোয়াসের বাসা ছিল পাশাপাশি। প্রায়ই ফুটবলের এটা-সেটা নিয়ে রবসনের সঙ্গে বিতর্কে নামতেন পুঁচকে বোয়াস। এবং কী আশ্চর্যের, সেই তর্কযুদ্ধে যুক্তিধারে মাঝেমধ্যে রবসন হেরেও যেতেন!
এমনই এক বিতর্কে হেরে যাওয়ার পর ১৬ বছর বয়সী বোয়াসকে নিজের সহকারীদের একজন করে নেন রবসন। কী নিয়ে হয়েছিল বিতর্কটা? বোয়াস যুক্তির ধার দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, রবসনের উচিত আরও বেশি করে ডমিঙ্গোসকে খেলানো। কাকতালীয় ব্যাপার হলো, পরশু এই ডমিঙ্গোসই কিন্তু প্রধান কোচ হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্রাহার ডাগ-আউটে!
রবসনের অধীনে কাজ শুরু করার অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই উয়েফার ‘সি’ কোচিং লাইসেন্স পেয়ে যান। বয়স তখন ১৭ পেরোয়নি। কোচ হিসেবে অভিষেক ভার্জিন আইল্যান্ডের হয়ে। তখনো তাঁর বয়স মাত্র ২১। তবে খুব বেশি দিন এই দলের হয়ে কাজ করেননি। রবসনেরই আরেক শিষ্য হোসে মরিনহো তাঁকে ডেকে নেন পোর্তোতে সহকারী হিসেবে কাজ করার জন্য। মরিনহোর সহকারী হিসেবে চেলসি এবং পরে ইন্টার মিলানেও কাজ করেছেন। পোর্তোর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন গত বছর জুনে।
মৌসুম শুরুর টুর্নামেন্ট পর্তুগিজ সুপার কাপ জিতেই শুরু করেন স্মরণীয় মৌসুম। এরপর পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করেন লিগ শিরোপা। আর পরশু এল ইউরোপা লিগ। আগামী পরশু কাপও জিতবেন হয়তো। তা হলে সেটি হবে তাঁর পঞ্চম শিরোপা। এমন সাফল্য দিয়ে হোসে মরিনহোও শুরু করতে পারেননি। পেরেছিলেন পেপ গার্দিওলা।
পরশু ইউরোপা লিগ জেতার পর বোয়াস তাঁর ধন্যবাদের লম্বা তালিকায় রেখেছেন ববি রবসন, মরিনহো, গার্দিওলার নাম। রবসনের কাছে তাঁর প্রথম দীক্ষা, ক্লাব ফুটবলের সত্যিকারের মানচিত্র তাঁকে চিনিয়েছেন মরিনহো, আর কোচিং স্টাইলে বোয়াস আদর্শ মানেন গার্দিওলাকে। পরশু বললেন, ‘আমি এই জয় আমার সহকারীদের, খেলোয়াড়দের আর সমর্থকদের উৎসর্গ করছি। পেপ গার্দিওলাকেও ধন্যবাদ জানাই। মরিনহোকে, যিনি আমাকে পেশাদার ফুটবলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। এটা আমি তাঁকেও উৎসর্গ করছি। আরও একজনের কথা বলতে চাই, যিনি আর আমাদের মাঝে নেই—স্যার রবসন। আমার ক্যারিয়ারের পথটা যিনি গড়ে দিয়েছিলেন।
পোর্তোর দায়িত্ব নিয়ে প্রথম বছরেই লিগ আর ইউরাপো লিগ জিতিয়েছেন। আগামী রোববার কাপ ফাইনালেও জিতলে প্রথম বছরেই ‘ট্রেবল’ জয়ের কৃতিত্ব থাকবে এই ৩৩ বছর বয়সীর। অথচ বোয়াস পেশাদার ফুটবল খেলেননি কখনোই।
খেলবেন কী করে, তিনি যে কোচই হতে চেয়েছিলেন। কোচ হওয়ার স্বপ্ন তাঁকে সেই কৈশোরেই দেখতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন রবসন। দুই বছর আগে প্রয়াত এই ইংলিশ কোচ তখন পোর্তোর দায়িত্বে ছিলেন। রবসন আর বোয়াসের বাসা ছিল পাশাপাশি। প্রায়ই ফুটবলের এটা-সেটা নিয়ে রবসনের সঙ্গে বিতর্কে নামতেন পুঁচকে বোয়াস। এবং কী আশ্চর্যের, সেই তর্কযুদ্ধে যুক্তিধারে মাঝেমধ্যে রবসন হেরেও যেতেন!
এমনই এক বিতর্কে হেরে যাওয়ার পর ১৬ বছর বয়সী বোয়াসকে নিজের সহকারীদের একজন করে নেন রবসন। কী নিয়ে হয়েছিল বিতর্কটা? বোয়াস যুক্তির ধার দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, রবসনের উচিত আরও বেশি করে ডমিঙ্গোসকে খেলানো। কাকতালীয় ব্যাপার হলো, পরশু এই ডমিঙ্গোসই কিন্তু প্রধান কোচ হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্রাহার ডাগ-আউটে!
রবসনের অধীনে কাজ শুরু করার অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই উয়েফার ‘সি’ কোচিং লাইসেন্স পেয়ে যান। বয়স তখন ১৭ পেরোয়নি। কোচ হিসেবে অভিষেক ভার্জিন আইল্যান্ডের হয়ে। তখনো তাঁর বয়স মাত্র ২১। তবে খুব বেশি দিন এই দলের হয়ে কাজ করেননি। রবসনেরই আরেক শিষ্য হোসে মরিনহো তাঁকে ডেকে নেন পোর্তোতে সহকারী হিসেবে কাজ করার জন্য। মরিনহোর সহকারী হিসেবে চেলসি এবং পরে ইন্টার মিলানেও কাজ করেছেন। পোর্তোর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন গত বছর জুনে।
মৌসুম শুরুর টুর্নামেন্ট পর্তুগিজ সুপার কাপ জিতেই শুরু করেন স্মরণীয় মৌসুম। এরপর পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করেন লিগ শিরোপা। আর পরশু এল ইউরোপা লিগ। আগামী পরশু কাপও জিতবেন হয়তো। তা হলে সেটি হবে তাঁর পঞ্চম শিরোপা। এমন সাফল্য দিয়ে হোসে মরিনহোও শুরু করতে পারেননি। পেরেছিলেন পেপ গার্দিওলা।
পরশু ইউরোপা লিগ জেতার পর বোয়াস তাঁর ধন্যবাদের লম্বা তালিকায় রেখেছেন ববি রবসন, মরিনহো, গার্দিওলার নাম। রবসনের কাছে তাঁর প্রথম দীক্ষা, ক্লাব ফুটবলের সত্যিকারের মানচিত্র তাঁকে চিনিয়েছেন মরিনহো, আর কোচিং স্টাইলে বোয়াস আদর্শ মানেন গার্দিওলাকে। পরশু বললেন, ‘আমি এই জয় আমার সহকারীদের, খেলোয়াড়দের আর সমর্থকদের উৎসর্গ করছি। পেপ গার্দিওলাকেও ধন্যবাদ জানাই। মরিনহোকে, যিনি আমাকে পেশাদার ফুটবলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। এটা আমি তাঁকেও উৎসর্গ করছি। আরও একজনের কথা বলতে চাই, যিনি আর আমাদের মাঝে নেই—স্যার রবসন। আমার ক্যারিয়ারের পথটা যিনি গড়ে দিয়েছিলেন।
No comments