লিবিয়ায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে: মুন
লিবিয়ায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সেখানে মানবিক সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করতে যাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে বান কি মুন বলেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ব্যাপারে লিবিয়ায় তাঁর বিশেষ দূত আবদুল ইল্লাহ আল খতিব খুব চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু অবিলম্বে তা কার্যকর করার ব্যাপারে গাদ্দাফিকে রাজি করানোর কোনো খবর এখন পর্যন্ত তিনি দিতে পারেননি। তিনি বলেন, এদিকে মানবিক সংকট ক্রমে অবনতির দিকে যাচ্ছে।
পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মিসরাতার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ওই শহরে মানবিক সংকট গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে।
দুই মাসের বেশি সময় ধরে মিসরাতা শহর অবরোধ করে রেখেছে গাদ্দাফির অনুগত সেনারা। এতে সেখানে খাদ্য, খাওয়ার পানি ও ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। সেখানে গাদ্দাফির সেনাদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে শত শত সেনা নিহত হয়েছেন। মিসরাতার অধিকাংশ বাসিন্দা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিবের বিশেষ দূত আল খতিব গত রোববার লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে যান। সেখানে তিনি গাদ্দাফি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তবে আল খতিব লিবিয়ার নেতা গাদ্দাফির সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।
জাতিসংঘ গত বুধবার ৪০ দশমিক ৭৮ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা তহবিলের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। এর মধ্যে ৩১ কোটি ডলার লিবিয়ার যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২০ লাখ মানুষের জন্য ব্যয় করা হবে। জাতিসংঘ জানায়, লিবিয়ায় সহায়তা হিসেবে পাঠানো বিভিন্ন স্থানে খাদ্য, জ্বালানি, চিকিৎসার সরঞ্জাম কমে আসছে। পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাসমুসেনের দাবি: ন্যাটোর মহাসচিব আন্দ্রেস ফগ রাসমুসেন গতকাল বলেছেন, গাদ্দাফির সেনাশক্তি দিন দিন কমে আসছে। এখন আমরা এর ফল দেখতে পারব। তিনি বলেন, লিবিয়ায় গাদ্দাফিবিরোধীদের শক্তি দিন দিন বাড়ছে। আমরা গাদ্দাফির ওপর চাপ অব্যাহত রাখব। রাসমুসেন বলেন, ‘সামরিক ও রাজনৈতিক চাপ এবং বিরোধীদের শক্তি বৃদ্ধিতে গাদ্দাফির পতন অবশ্যম্ভাবী।’
আইসিসির চিঠি: আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) কৌঁসুলিদের কার্যালয় থেকে লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেললাতি লাবিদির কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে লাবিদিসহ লিবিয়ার কর্তৃপক্ষকে বিচারের আওতায় আনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে লিবিয়ার সরকারের মুখপাত্র মুসা ইব্রাহীম মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, লিবিয়া কর্তৃপক্ষের বিচার করার এখতিয়ার ওই আদালতের নেই।
চার সাংবাদিকের মুক্তি: লিবিয়া চারজন সাংবাদিককে মুক্তি দিয়েছে। তাঁরা হলেন: যুক্তরাষ্ট্রের জেমস ফোলে ও ক্লেরে মরগানা গিলিস, যুক্তরাজ্যের নাইজেল চ্যান্ডলার ও স্পেনের মানু ব্রাবো। স্পেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্রাবোর মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাইজেলের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সাক্ষাৎকারে বান কি মুন বলেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার ব্যাপারে লিবিয়ায় তাঁর বিশেষ দূত আবদুল ইল্লাহ আল খতিব খুব চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু অবিলম্বে তা কার্যকর করার ব্যাপারে গাদ্দাফিকে রাজি করানোর কোনো খবর এখন পর্যন্ত তিনি দিতে পারেননি। তিনি বলেন, এদিকে মানবিক সংকট ক্রমে অবনতির দিকে যাচ্ছে।
পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মিসরাতার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ওই শহরে মানবিক সংকট গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে।
দুই মাসের বেশি সময় ধরে মিসরাতা শহর অবরোধ করে রেখেছে গাদ্দাফির অনুগত সেনারা। এতে সেখানে খাদ্য, খাওয়ার পানি ও ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। সেখানে গাদ্দাফির সেনাদের সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে শত শত সেনা নিহত হয়েছেন। মিসরাতার অধিকাংশ বাসিন্দা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিবের বিশেষ দূত আল খতিব গত রোববার লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে যান। সেখানে তিনি গাদ্দাফি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তবে আল খতিব লিবিয়ার নেতা গাদ্দাফির সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।
জাতিসংঘ গত বুধবার ৪০ দশমিক ৭৮ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা তহবিলের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। এর মধ্যে ৩১ কোটি ডলার লিবিয়ার যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২০ লাখ মানুষের জন্য ব্যয় করা হবে। জাতিসংঘ জানায়, লিবিয়ায় সহায়তা হিসেবে পাঠানো বিভিন্ন স্থানে খাদ্য, জ্বালানি, চিকিৎসার সরঞ্জাম কমে আসছে। পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাসমুসেনের দাবি: ন্যাটোর মহাসচিব আন্দ্রেস ফগ রাসমুসেন গতকাল বলেছেন, গাদ্দাফির সেনাশক্তি দিন দিন কমে আসছে। এখন আমরা এর ফল দেখতে পারব। তিনি বলেন, লিবিয়ায় গাদ্দাফিবিরোধীদের শক্তি দিন দিন বাড়ছে। আমরা গাদ্দাফির ওপর চাপ অব্যাহত রাখব। রাসমুসেন বলেন, ‘সামরিক ও রাজনৈতিক চাপ এবং বিরোধীদের শক্তি বৃদ্ধিতে গাদ্দাফির পতন অবশ্যম্ভাবী।’
আইসিসির চিঠি: আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) কৌঁসুলিদের কার্যালয় থেকে লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেললাতি লাবিদির কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এতে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে লাবিদিসহ লিবিয়ার কর্তৃপক্ষকে বিচারের আওতায় আনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে লিবিয়ার সরকারের মুখপাত্র মুসা ইব্রাহীম মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, লিবিয়া কর্তৃপক্ষের বিচার করার এখতিয়ার ওই আদালতের নেই।
চার সাংবাদিকের মুক্তি: লিবিয়া চারজন সাংবাদিককে মুক্তি দিয়েছে। তাঁরা হলেন: যুক্তরাষ্ট্রের জেমস ফোলে ও ক্লেরে মরগানা গিলিস, যুক্তরাজ্যের নাইজেল চ্যান্ডলার ও স্পেনের মানু ব্রাবো। স্পেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্রাবোর মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাইজেলের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
No comments