নিহতদের প্রতি রানির গভীর সমবেদনা
ব্রিটিশ সেনাদের হাতে নিহত আইরিশ নাগরিকদের জন্য দুঃখ প্রকাশ ও গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
গত বুধবার রাতে আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে সরকারি ভবন ডাবলিন ক্যাসলে এক নৈশভোজে ভাষণদানকালে রানি এলিজাবেথ বলেন, ইতিহাসের মূল্য অস্বীকার করা অসম্ভব। যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের কখনো ভোলা যায় না।
আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মেরি ম্যাকআলিসের আমন্ত্রণে রানি এলিজাবেথ গত মঙ্গলবার চার দিনের সরকারি সফরে ডাবলিনে পৌঁছান। ব্রিটেনের সাবেক উপনিবেশভুক্ত দেশ আয়ারল্যান্ডের মাটিতে গত ১০০ বছরের মধ্যে এটাই হলো কোনো ব্রিটিশ অধিরাজের প্রথম সরকারি সফর।
এর আগে ১৯১১ সালে রানির পিতামহ রাজা পঞ্চম জর্জ আয়ারল্যান্ড সফরে যান। এর পর থেকে এ পর্যন্ত ব্রিটিশ রাজপরিবারের কোনো রাজা বা রানি দেশটিতে সফর করেননি। ১৯২১ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে আয়ারল্যান্ড।
রানি এলিজাবেথ বলেন, ‘ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, সবকিছুই ভিন্নভাবে ঘটেছে। দুঃখজনক ও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, আমাদের দ্বীপগুলোকে তাদের ন্যায্য পাওনার চেয়ে অনেক বেশি ভোগান্তি, অশান্তি ও ক্ষতির শিকার হতে হয়েছে।’
১৯২১ সালে সংঘটিত আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে রানি এলিজাবেথ বলেন, ‘এ ঘটনা আমাদের সবাইকে স্পর্শ করেছে। এতে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যক্তিগতভাবে। এটা বেদনাদায়ক। যাঁরা মারা গেছেন অথবা আহত হয়েছেন, তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারকে আমরা কখনো ভুলতে পারব না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সংঘাতময় ইতিহাসের কারণে যারা দুর্দশা ভোগ করেছে, তাদের জন্য গভীর সমবেদনা জানাই। তাদের জন্য সহানুভূতি প্রকাশ করছি আমি।’
রানি এলিজাবেথের এই বক্তব্যকে ব্রিটিশ গণমাধ্যম প্রশংসা করেছে। দ্য টাইমস বলেছে, এর ফলে অ্যাংলো-আইরিশ সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়ে গেল। অন্যদিকে আইরিশ গণমাধ্যমে রানির এই সফরের ব্যাপক প্রশংসা করে বলা হয়েছে, স্বাধীনতাযুদ্ধে নিহত আইরিশদের স্মৃতিস্তম্ভে রানির শ্রদ্ধা নিবেদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। অথচ কদিন আগেও এটা কল্পনা করা যেত না।
আয়ারল্যান্ড স্বাধীনতা লাভ করলেও এখনো উত্তর আয়ারল্যান্ডের কিছু অংশ ব্রিটেন নিয়ন্ত্রণ করছে। এ নিয়ে সেখানকার ভিন্নমতাবলম্বীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ১৯৯৮ সালে উত্তর আয়ারল্যান্ড শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আইরিশ প্রেসিডেন্ট ম্যাকআলিস বলেন, ১৯২২ সালে স্বাধীনতা লাভের পর এই প্রথম কোনো ব্রিটিশ অধিরাজের আয়ারল্যান্ড সফর হলো ওই শান্তি চুক্তির চূড়ান্ত সফলতা।
গত বুধবার রাতে আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে সরকারি ভবন ডাবলিন ক্যাসলে এক নৈশভোজে ভাষণদানকালে রানি এলিজাবেথ বলেন, ইতিহাসের মূল্য অস্বীকার করা অসম্ভব। যাঁরা জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের কখনো ভোলা যায় না।
আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মেরি ম্যাকআলিসের আমন্ত্রণে রানি এলিজাবেথ গত মঙ্গলবার চার দিনের সরকারি সফরে ডাবলিনে পৌঁছান। ব্রিটেনের সাবেক উপনিবেশভুক্ত দেশ আয়ারল্যান্ডের মাটিতে গত ১০০ বছরের মধ্যে এটাই হলো কোনো ব্রিটিশ অধিরাজের প্রথম সরকারি সফর।
এর আগে ১৯১১ সালে রানির পিতামহ রাজা পঞ্চম জর্জ আয়ারল্যান্ড সফরে যান। এর পর থেকে এ পর্যন্ত ব্রিটিশ রাজপরিবারের কোনো রাজা বা রানি দেশটিতে সফর করেননি। ১৯২১ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে আয়ারল্যান্ড।
রানি এলিজাবেথ বলেন, ‘ইতিহাসের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, সবকিছুই ভিন্নভাবে ঘটেছে। দুঃখজনক ও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, আমাদের দ্বীপগুলোকে তাদের ন্যায্য পাওনার চেয়ে অনেক বেশি ভোগান্তি, অশান্তি ও ক্ষতির শিকার হতে হয়েছে।’
১৯২১ সালে সংঘটিত আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে রানি এলিজাবেথ বলেন, ‘এ ঘটনা আমাদের সবাইকে স্পর্শ করেছে। এতে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যক্তিগতভাবে। এটা বেদনাদায়ক। যাঁরা মারা গেছেন অথবা আহত হয়েছেন, তাঁদের এবং তাঁদের পরিবারকে আমরা কখনো ভুলতে পারব না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সংঘাতময় ইতিহাসের কারণে যারা দুর্দশা ভোগ করেছে, তাদের জন্য গভীর সমবেদনা জানাই। তাদের জন্য সহানুভূতি প্রকাশ করছি আমি।’
রানি এলিজাবেথের এই বক্তব্যকে ব্রিটিশ গণমাধ্যম প্রশংসা করেছে। দ্য টাইমস বলেছে, এর ফলে অ্যাংলো-আইরিশ সম্পর্ক অনেক দূর এগিয়ে গেল। অন্যদিকে আইরিশ গণমাধ্যমে রানির এই সফরের ব্যাপক প্রশংসা করে বলা হয়েছে, স্বাধীনতাযুদ্ধে নিহত আইরিশদের স্মৃতিস্তম্ভে রানির শ্রদ্ধা নিবেদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। অথচ কদিন আগেও এটা কল্পনা করা যেত না।
আয়ারল্যান্ড স্বাধীনতা লাভ করলেও এখনো উত্তর আয়ারল্যান্ডের কিছু অংশ ব্রিটেন নিয়ন্ত্রণ করছে। এ নিয়ে সেখানকার ভিন্নমতাবলম্বীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ১৯৯৮ সালে উত্তর আয়ারল্যান্ড শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আইরিশ প্রেসিডেন্ট ম্যাকআলিস বলেন, ১৯২২ সালে স্বাধীনতা লাভের পর এই প্রথম কোনো ব্রিটিশ অধিরাজের আয়ারল্যান্ড সফর হলো ওই শান্তি চুক্তির চূড়ান্ত সফলতা।
No comments