সিআইয়ের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করেছেন ইরানের বিজ্ঞানী আমিরি: প্রতিবেদন
ইরানের পরমাণুবিজ্ঞানী শাহরাম আমিরিসহ সে দেশের আরও কয়েকজন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইয়ের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করেছেন। ইরান সরকার এই গুপ্তচরবৃত্তির খবর জেনে যাওয়ায় গত বছর শাহরাম আমিরিসহ দেশটির আরও এক কর্মকর্তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়। মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে গতকাল শনিবার এ কথা বলা হয়েছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউইয়র্ক টাইমস ও এপি বলেছে, পরমাণুবিজ্ঞানী শাহরাম আমিরিসহ আরও বেশ কয়েকজন ইরানি কর্মকর্তা বিভিন্ন গোপন তথ্য সিআইয়ের কাছে পাচার করেছেন। পরবর্তীকালে তাঁরা সবাই যুক্তরাষ্ট্রে বসতি স্থাপন করেন।
সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গণমাধ্যমগুলো আরও জানিয়েছে, বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে ইরানের কর্মকর্তারা সিআইয়ের কাছে তথ্য পাচার করতে রাজি হন। তাঁদের মধ্যে শুধু আমিরির সঙ্গে সিআইয়ের ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের সমঝোতা হয়। ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি সিআইয়ের নিয়ন্ত্রণমুক্ত বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেখাশোনা করে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য আদায় করাই ছিল সিআইয়ের প্রধান উদ্দেশ্য।
গণমাধ্যমগুলো বলেছে, সিআইয়ের কাছে তথ্য পাচারের বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর ইরানি কর্মকর্তাদের কয়েকজনকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। সেসব কর্মকর্তা নিরাপত্তার জন্য দেশ ছাড়তে আগ্রহ প্রকাশ করায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
পত্রিকাগুলো আরও বলেছে, আমিরি ও দ্বিতীয় আরেক তথ্য পাচারকারীর ব্যাপারে ইরানের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় সন্দেহ প্রকাশ করেছিল।
ইরানি কর্মকর্তাদের তথ্য পাচারের সঙ্গে জড়িত সাবেক এক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ইরান সরকারের সন্দেহের পর তথ্য পাচারের বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল। কেননা, ইরানের এক কর্মকর্তা সিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারেননি।
ওয়াশিংটন পোস্ট বলেছে, আমিরির ইরানে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে গোপনে কোনো ধরনের সমঝোতা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে সিআইএ। তবে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আমিরির দেওয়া আগের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখতে সময় লাগতে পারে। কেননা, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি নিয়ে ইতিমধ্যে ইরানের বেশ কয়েকটি ঘোষণা পিছিয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিবাস গড়ার পর আমিরি তাঁর পরিবারকে ইচ্ছা করেই সেখানে নিয়ে যাননি। এ ব্যাপারে ওয়াশিংটন পোস্ট বলেছে, সম্ভবত পরিবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো ছিল না।
আমিরি গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইরানে পৌঁছান। ওয়াশিংটনে তিনি পাকিস্তানের দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সিআইএ তাঁকে অপহরণ করে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি জানান, সিআইয়ের হেফাজত থেকে তিনি পালিয়ে এসেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তাঁকে নির্যাতন করা হয়নি।
ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউইয়র্ক টাইমস ও এপি বলেছে, পরমাণুবিজ্ঞানী শাহরাম আমিরিসহ আরও বেশ কয়েকজন ইরানি কর্মকর্তা বিভিন্ন গোপন তথ্য সিআইয়ের কাছে পাচার করেছেন। পরবর্তীকালে তাঁরা সবাই যুক্তরাষ্ট্রে বসতি স্থাপন করেন।
সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গণমাধ্যমগুলো আরও জানিয়েছে, বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে ইরানের কর্মকর্তারা সিআইয়ের কাছে তথ্য পাচার করতে রাজি হন। তাঁদের মধ্যে শুধু আমিরির সঙ্গে সিআইয়ের ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের সমঝোতা হয়। ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অর্থ লেনদেনের বিষয়টি সিআইয়ের নিয়ন্ত্রণমুক্ত বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেখাশোনা করে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য আদায় করাই ছিল সিআইয়ের প্রধান উদ্দেশ্য।
গণমাধ্যমগুলো বলেছে, সিআইয়ের কাছে তথ্য পাচারের বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর ইরানি কর্মকর্তাদের কয়েকজনকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। সেসব কর্মকর্তা নিরাপত্তার জন্য দেশ ছাড়তে আগ্রহ প্রকাশ করায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
পত্রিকাগুলো আরও বলেছে, আমিরি ও দ্বিতীয় আরেক তথ্য পাচারকারীর ব্যাপারে ইরানের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় সন্দেহ প্রকাশ করেছিল।
ইরানি কর্মকর্তাদের তথ্য পাচারের সঙ্গে জড়িত সাবেক এক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ইরান সরকারের সন্দেহের পর তথ্য পাচারের বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল। কেননা, ইরানের এক কর্মকর্তা সিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারেননি।
ওয়াশিংটন পোস্ট বলেছে, আমিরির ইরানে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে গোপনে কোনো ধরনের সমঝোতা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখবে সিআইএ। তবে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আমিরির দেওয়া আগের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখতে সময় লাগতে পারে। কেননা, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি নিয়ে ইতিমধ্যে ইরানের বেশ কয়েকটি ঘোষণা পিছিয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিবাস গড়ার পর আমিরি তাঁর পরিবারকে ইচ্ছা করেই সেখানে নিয়ে যাননি। এ ব্যাপারে ওয়াশিংটন পোস্ট বলেছে, সম্ভবত পরিবারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো ছিল না।
আমিরি গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইরানে পৌঁছান। ওয়াশিংটনে তিনি পাকিস্তানের দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সিআইএ তাঁকে অপহরণ করে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি জানান, সিআইয়ের হেফাজত থেকে তিনি পালিয়ে এসেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তাঁকে নির্যাতন করা হয়নি।
No comments