এইচএসসি পরীক্ষার ফল -শিক্ষার মান ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির খবর নিশ্চয়ই আশাব্যঞ্জক। আটটি শিক্ষা বোর্ডে এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন পাঁচ লাখ ৮০ হাজার ৬২৩ জন; উত্তীর্ণ হয়েছেন চার লাখ ১৬ হাজার ৯৮৭ জন। উত্তীর্ণের হার গড়ে ৭১ দশমিক ৮২ শতাংশ। সেই সঙ্গে বেড়েছে শতভাগ উত্তীর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও। এর পাশাপাশি কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার যথাক্রমে ৮২ দশমিক ৪৮ ও ৮৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এ বছর ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা ভালো করেছেন। প্রতিষ্ঠান হিসেবে এগিয়ে আছে ক্যাডেট কলেজগুলো। অন্যান্য কলেজের পিছিয়ে পড়ার একটা কারণ হতে পারে নিয়ম-শৃঙ্খলার অভাব। ঠিকমতো ক্লাস-পরীক্ষা না হওয়া। ভালো ফল করতে হলে এই ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে হবে।
এইচএসসি পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করলে যে সত্যটি বেরিয়ে আসে তা হলো, শিক্ষাঙ্গনে মোটামুটি ইতিবাচক ধারা ফিরে এসেছে। এ ধারা অক্ষুণ্ন রাখতে পারলে ভবিষ্যতে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ শিক্ষার্থীর উত্তীর্ণ হওয়াও অসম্ভব নয়। পরীক্ষায় ভালো ফল করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর পাশাপাশি শিক্ষকের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ক্লাস ও সাময়িক পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন হলে কোনো শিক্ষার্থীর ফেল করার কথা নয়। এইচএসসিতে যাঁরা পরীক্ষা দেন, তাঁরা সবাই এসএসসি পাস করে দুই বছর পড়াশোনা করেন। তার পরও পাস না করার কী কারণ, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। একজন শিক্ষার্থীর পেছনে শিক্ষক ও অভিভাবকের পাশাপাশি জাতির বিনিয়োগের বিষয়টিও বিবেচনায় আনতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ যথার্থই বলেছেন, শ্রেণীকক্ষের প্রতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আগ্রহ বেড়েছে। এ কথা সত্য, কিন্তু তার চেয়েও কঠিন সত্য হলো, কর্মজীবনে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। ভালো ফল না করলে ভালো চাকরি পাওয়া যাবে না—এই বিবেচনা হয়তো শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আগ্রহী করে তুলেছে। এখন সরকার ও শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্ব সেই আগ্রহকে সঠিক পথে চালিত করা। শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য দক্ষ ও মেধাবী শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা সবাই স্বীকার করবেন। উপযুক্ত বেতন-ভাতা না দিলে কিংবা সুযোগ-সুবিধা না বাড়ালে মেধাবীরা এ পেশায় আকৃষ্ট হবেন না।
বর্তমান ও আগের সরকারের আন্তরিক চেষ্টায় পাবলিক পরীক্ষাকে নকলের মহামারি থেকে অনেকটাই মুক্ত রাখা গেছে। শিক্ষার্থীরা তো বটেই, দেশও এর সুফল পেতে শুরু করেছে। এ ধারা অক্ষুণ্ন থাকলে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি পড়াশোনায় মনোযোগী হবে। এইচএসসি পরীক্ষার এই ইতিবাচক ধারা উচ্চশিক্ষায়ও অব্যাহত থাকুক, উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মেধা অনুযায়ী ভর্তির সুযোগ পান, এটাই প্রত্যাশিত। উচ্চমাধ্যমিকের সাফল্যের এই ধারা উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে তখনই বজায় থাকবে, যখন উচ্চ শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত হবে। সেখানে শিক্ষার্থীদের কল্যাণকামী ছাত্ররাজনীতি থাকবে, কিন্তু পেশিশক্তির দৌরাত্ম্য থাকবে না। কোনো ছাত্রসংগঠনের কর্মীরা প্রতিপক্ষ সংগঠনের কর্মীদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেবেন না। এই নিশ্চয়তা থাকলে কেবল পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হারই বাড়বে না, শিক্ষার সার্বিক মানও বাড়বে। দেশ পাবে সুশিক্ষিত, সমৃদ্ধ ও মেধাবী প্রজন্ম।
এইচএসসি পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করলে যে সত্যটি বেরিয়ে আসে তা হলো, শিক্ষাঙ্গনে মোটামুটি ইতিবাচক ধারা ফিরে এসেছে। এ ধারা অক্ষুণ্ন রাখতে পারলে ভবিষ্যতে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ শিক্ষার্থীর উত্তীর্ণ হওয়াও অসম্ভব নয়। পরীক্ষায় ভালো ফল করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর পাশাপাশি শিক্ষকের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ক্লাস ও সাময়িক পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন হলে কোনো শিক্ষার্থীর ফেল করার কথা নয়। এইচএসসিতে যাঁরা পরীক্ষা দেন, তাঁরা সবাই এসএসসি পাস করে দুই বছর পড়াশোনা করেন। তার পরও পাস না করার কী কারণ, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। একজন শিক্ষার্থীর পেছনে শিক্ষক ও অভিভাবকের পাশাপাশি জাতির বিনিয়োগের বিষয়টিও বিবেচনায় আনতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ যথার্থই বলেছেন, শ্রেণীকক্ষের প্রতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আগ্রহ বেড়েছে। এ কথা সত্য, কিন্তু তার চেয়েও কঠিন সত্য হলো, কর্মজীবনে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। ভালো ফল না করলে ভালো চাকরি পাওয়া যাবে না—এই বিবেচনা হয়তো শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আগ্রহী করে তুলেছে। এখন সরকার ও শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্ব সেই আগ্রহকে সঠিক পথে চালিত করা। শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য দক্ষ ও মেধাবী শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা সবাই স্বীকার করবেন। উপযুক্ত বেতন-ভাতা না দিলে কিংবা সুযোগ-সুবিধা না বাড়ালে মেধাবীরা এ পেশায় আকৃষ্ট হবেন না।
বর্তমান ও আগের সরকারের আন্তরিক চেষ্টায় পাবলিক পরীক্ষাকে নকলের মহামারি থেকে অনেকটাই মুক্ত রাখা গেছে। শিক্ষার্থীরা তো বটেই, দেশও এর সুফল পেতে শুরু করেছে। এ ধারা অক্ষুণ্ন থাকলে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি পড়াশোনায় মনোযোগী হবে। এইচএসসি পরীক্ষার এই ইতিবাচক ধারা উচ্চশিক্ষায়ও অব্যাহত থাকুক, উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মেধা অনুযায়ী ভর্তির সুযোগ পান, এটাই প্রত্যাশিত। উচ্চমাধ্যমিকের সাফল্যের এই ধারা উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে তখনই বজায় থাকবে, যখন উচ্চ শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত হবে। সেখানে শিক্ষার্থীদের কল্যাণকামী ছাত্ররাজনীতি থাকবে, কিন্তু পেশিশক্তির দৌরাত্ম্য থাকবে না। কোনো ছাত্রসংগঠনের কর্মীরা প্রতিপক্ষ সংগঠনের কর্মীদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেবেন না। এই নিশ্চয়তা থাকলে কেবল পাবলিক পরীক্ষায় পাসের হারই বাড়বে না, শিক্ষার সার্বিক মানও বাড়বে। দেশ পাবে সুশিক্ষিত, সমৃদ্ধ ও মেধাবী প্রজন্ম।
No comments