পার্বত্য ভূমি কমিশন নিয়ে বিতর্ক - নগরবাসীর জানমালের প্রশ্নে কোনো গাফিলতির সুযোগ নেই
পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য গঠিত ভূমি কমিশনের কার্যক্রম নিয়েই বিরোধ উপস্থিত হয়েছে। সম্প্রতি কমিশনের সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন রাজা ভূমি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির আগে পার্বত্য ভূমি জরিপ না করার জন্য কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সহায়তাও চেয়েছেন। অন্যদিকে ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির আগেই জরিপের কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছেন। ভূমি কমিশনের সদস্য পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের আপত্তি এবং ভূমি কমিশনের দেওয়া গণবিজ্ঞপ্তিকে সাধারণ পাহাড়িদের বয়কট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির পথে প্রধান বাধা বাঙালি অধিবাসীদের সঙ্গে স্থানীয় পাহাড়িদের ভূমি নিয়ে বিরোধ। পার্বত্য চুক্তির শর্ত অনুযায়ী গঠিত ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের কাজ হলো, জমির প্রকৃত মালিককে জমি ফিরিয়ে দেওয়া। তার জন্য জরিপ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পাহাড়িদের আঞ্চলিক পরিষদের সঙ্গে পরামর্শ করে যাচাই-বাছাই ও অনুসন্ধানের মাধ্যমে বিরোধপূর্ণ জমির মালিকানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া। সেই অর্থে ভূমি জরিপ বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যেই হওয়া উচিত। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান জরিপ ও জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তিকে আলাদা করে ফেলেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশনে আঞ্চলিক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা, সার্কেল চিফ বা রাজারা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার সদস্যভুক্ত আছেন। বিধি মোতাবেক এই কমিশন দেওয়ানি আদালতের ক্ষমতাপ্রাপ্ত এবং পার্বত্য অঞ্চলে প্রচলিত আইন, রীতি ও পদ্ধতি অনুসারে এর বিচারকাজ পরিচালনা করার কথা।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সনাতন ভূমি-ব্যবস্থায় পাহাড়িদের ব্যক্তিগত মালিকানা তথা দলিল ছিল না। তাদের ছিল বংশানুক্রমিক ঐতিহ্যগত মালিকানা। এরই সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন সময় সরকারি ব্যবস্থায় এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগেও পাহাড়িদের জমিতে বাঙালিদের বসিয়ে দেওয়া হয়। অনেক জমিকে সংরক্ষিত বনাঞ্চলও ঘোষণা করা হয়। ভূমিদস্যুরাও এ সুযোগে পাহাড়িদের জমি হাতিয়ে নেয়। এই বঞ্চনাই পাহাড়িদের মধ্যে অসন্তোষের কারণ। ভূমি কমিশনের কাজ হলো জমির ইতিহাস, ঐতিহ্যগত অধিকার, বর্তমান দখলদারের ইতিহাস ইত্যাদি পর্যালোচনা করে বলা যে বিরোধপূর্ণ জমিটির আসল স্বত্বাধিকারী কি বর্তমান দখলদার, না স্থানীয় আদিবাসীরা? এটা করা ছাড়া জরিপ হলে তা মালিকানা নিয়ে বিবাদের কোনো মীমাংসা তো দেবেই না, উল্টো বিরোধকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
মনে রাখা দরকার, ভূমি কমিশনের প্রধান উদ্দেশ্য পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের হারানো জমি ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে ভূমি বিরোধের ন্যায্য মীমাংসা করা। কোন প্রক্রিয়ায় তা সঠিকভাবে সম্পন্ন হবে, তার জন্য আইন রয়েছে। কিন্তু তা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হলে ভূমি কমিশনের পাহাড়ি প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ আবশ্যক। একতরফা কোনো সিদ্ধান্ত যে ফলপ্রসূ হবে না, তা পার্বত্য সমস্যার ইতিহাসই তার প্রমাণ।
পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির পথে প্রধান বাধা বাঙালি অধিবাসীদের সঙ্গে স্থানীয় পাহাড়িদের ভূমি নিয়ে বিরোধ। পার্বত্য চুক্তির শর্ত অনুযায়ী গঠিত ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের কাজ হলো, জমির প্রকৃত মালিককে জমি ফিরিয়ে দেওয়া। তার জন্য জরিপ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পাহাড়িদের আঞ্চলিক পরিষদের সঙ্গে পরামর্শ করে যাচাই-বাছাই ও অনুসন্ধানের মাধ্যমে বিরোধপূর্ণ জমির মালিকানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া। সেই অর্থে ভূমি জরিপ বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যেই হওয়া উচিত। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যান জরিপ ও জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তিকে আলাদা করে ফেলেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশনে আঞ্চলিক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা, সার্কেল চিফ বা রাজারা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার সদস্যভুক্ত আছেন। বিধি মোতাবেক এই কমিশন দেওয়ানি আদালতের ক্ষমতাপ্রাপ্ত এবং পার্বত্য অঞ্চলে প্রচলিত আইন, রীতি ও পদ্ধতি অনুসারে এর বিচারকাজ পরিচালনা করার কথা।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সনাতন ভূমি-ব্যবস্থায় পাহাড়িদের ব্যক্তিগত মালিকানা তথা দলিল ছিল না। তাদের ছিল বংশানুক্রমিক ঐতিহ্যগত মালিকানা। এরই সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন সময় সরকারি ব্যবস্থায় এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগেও পাহাড়িদের জমিতে বাঙালিদের বসিয়ে দেওয়া হয়। অনেক জমিকে সংরক্ষিত বনাঞ্চলও ঘোষণা করা হয়। ভূমিদস্যুরাও এ সুযোগে পাহাড়িদের জমি হাতিয়ে নেয়। এই বঞ্চনাই পাহাড়িদের মধ্যে অসন্তোষের কারণ। ভূমি কমিশনের কাজ হলো জমির ইতিহাস, ঐতিহ্যগত অধিকার, বর্তমান দখলদারের ইতিহাস ইত্যাদি পর্যালোচনা করে বলা যে বিরোধপূর্ণ জমিটির আসল স্বত্বাধিকারী কি বর্তমান দখলদার, না স্থানীয় আদিবাসীরা? এটা করা ছাড়া জরিপ হলে তা মালিকানা নিয়ে বিবাদের কোনো মীমাংসা তো দেবেই না, উল্টো বিরোধকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
মনে রাখা দরকার, ভূমি কমিশনের প্রধান উদ্দেশ্য পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের হারানো জমি ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে ভূমি বিরোধের ন্যায্য মীমাংসা করা। কোন প্রক্রিয়ায় তা সঠিকভাবে সম্পন্ন হবে, তার জন্য আইন রয়েছে। কিন্তু তা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হলে ভূমি কমিশনের পাহাড়ি প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ আবশ্যক। একতরফা কোনো সিদ্ধান্ত যে ফলপ্রসূ হবে না, তা পার্বত্য সমস্যার ইতিহাসই তার প্রমাণ।
No comments