ঢাকায় মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি নিষিদ্ধ -অনিয়মমুক্ত পরিবহনের জন্য নিয়মিত ও কৌশলী হতে হবে
ঢাকার অভ্যন্তরীণ যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে কী রকম হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজ করছে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের প্রথম দিনের অভিযানেই তার কিছুটা চিত্র প্রকাশিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকায় মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন নিষিদ্ধ করায় অভিযান চলছে। আদালত বসছেন, পরিবহন ও তার কাগজ-পত্র পরীক্ষা হচ্ছে, কিছু কিছু আটকও হচ্ছে, কিন্তু কঠিন হচ্ছে পরিবহন-মালিকদের কৌশলের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া।
মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপটি ইতিবাচক। কেননা, এতে ঢাকার অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ কমবে, ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বাস-ট্রাকের প্রাদুর্ভাব থেকেও মুক্ত হওয়া যাবে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা জেলা প্রশাসন ও ঢাকা মহানগর পুলিশ যৌথভাবে এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কিন্তু এই পদক্ষেপ সফল করায় কর্তৃপক্ষের আরও কৌশলী ও তৎপর হওয়া প্রয়োজন। প্রথমত, পূর্বঘোষিত অভিযান হওয়ায় অনেক মেয়াদোত্তীর্ণ বাস-ট্রাক রাস্তায় বের হয়নি। দ্বিতীয়ত, কারচুপির মাধ্যমে পুরোনো গাড়ির নতুন ফিটনেস সার্টিফিকেট হাজির করে পারও পেয়ে যাচ্ছে অনেকে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে গাড়ির নিবন্ধন সার্টিফিকেট না থাকায় বোঝার উপায় নেই, গাড়ির প্রকৃত বয়স কত?
অভিযানটিকে নিয়মিতভাবে চালানো গেলে এ ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়িগুলো কখনো না কখনো ধরা পড়বে। অন্যদিকে ঢাকার জেলা প্রশাসকের পরামর্শ অনুযায়ী, মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি যেখানেই পাওয়া যাবে, সেখানেই আটক করার নির্দেশ দেওয়া প্রয়োজন। তাহলে গ্যারেজে অভিযান চালিয়েও মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেস না থাকা গাড়িগুলোকে সড়ক থেকে দূরে রাখায় অগ্রগতি আসবে। সবচেয়ে বড় কথা গাড়ির নিবন্ধন, লাইসেন্স, চালকের লাইসেন্স, রুট পারমিটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকা গাড়িগুলো চিহ্নিত ও আটক করা গেলেই এ ক্ষেত্রে নিয়মের শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে। ঢাকার সড়কে গণপরিবহনের নৈরাজ্য কমাতে এটা করা জরুরি। তবে ঘোষণা দিয়ে এই ধরনের অভিযান চালানোর বেলায় যাত্রীদের হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হওয়ার বিষয়টিও ভ্রাম্যমাণ আদালত ও প্রশাসনের বিবেচনায় থাকা উচিত। গত বৃহস্পতিবার অভিযান এড়াতে অনেকে রাস্তায় বাস নামায়নি। ফলে দিনের শুরু ও শেষে বিভিন্ন স্থানে অজস্র যাত্রীকে চলাচলের অসুবিধায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। যাত্রীসাধারণের এই ভোগান্তি এড়িয়ে কীভাবে পুলিশ ও আদালত কাজ করতে পারেন, সেটি দেখা প্রয়োজন।
মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপটি ইতিবাচক। কেননা, এতে ঢাকার অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ কমবে, ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বাস-ট্রাকের প্রাদুর্ভাব থেকেও মুক্ত হওয়া যাবে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা জেলা প্রশাসন ও ঢাকা মহানগর পুলিশ যৌথভাবে এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কিন্তু এই পদক্ষেপ সফল করায় কর্তৃপক্ষের আরও কৌশলী ও তৎপর হওয়া প্রয়োজন। প্রথমত, পূর্বঘোষিত অভিযান হওয়ায় অনেক মেয়াদোত্তীর্ণ বাস-ট্রাক রাস্তায় বের হয়নি। দ্বিতীয়ত, কারচুপির মাধ্যমে পুরোনো গাড়ির নতুন ফিটনেস সার্টিফিকেট হাজির করে পারও পেয়ে যাচ্ছে অনেকে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে গাড়ির নিবন্ধন সার্টিফিকেট না থাকায় বোঝার উপায় নেই, গাড়ির প্রকৃত বয়স কত?
অভিযানটিকে নিয়মিতভাবে চালানো গেলে এ ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়িগুলো কখনো না কখনো ধরা পড়বে। অন্যদিকে ঢাকার জেলা প্রশাসকের পরামর্শ অনুযায়ী, মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি যেখানেই পাওয়া যাবে, সেখানেই আটক করার নির্দেশ দেওয়া প্রয়োজন। তাহলে গ্যারেজে অভিযান চালিয়েও মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেস না থাকা গাড়িগুলোকে সড়ক থেকে দূরে রাখায় অগ্রগতি আসবে। সবচেয়ে বড় কথা গাড়ির নিবন্ধন, লাইসেন্স, চালকের লাইসেন্স, রুট পারমিটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকা গাড়িগুলো চিহ্নিত ও আটক করা গেলেই এ ক্ষেত্রে নিয়মের শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে। ঢাকার সড়কে গণপরিবহনের নৈরাজ্য কমাতে এটা করা জরুরি। তবে ঘোষণা দিয়ে এই ধরনের অভিযান চালানোর বেলায় যাত্রীদের হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হওয়ার বিষয়টিও ভ্রাম্যমাণ আদালত ও প্রশাসনের বিবেচনায় থাকা উচিত। গত বৃহস্পতিবার অভিযান এড়াতে অনেকে রাস্তায় বাস নামায়নি। ফলে দিনের শুরু ও শেষে বিভিন্ন স্থানে অজস্র যাত্রীকে চলাচলের অসুবিধায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। যাত্রীসাধারণের এই ভোগান্তি এড়িয়ে কীভাবে পুলিশ ও আদালত কাজ করতে পারেন, সেটি দেখা প্রয়োজন।
No comments