দণ্ডপ্রাপ্ত মেগরাহিকে ছাড়াতে কলকাঠি নেড়েছিল বিপি
লকারবি বিমানে বোমা বিস্ফোরণ মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত লিবিয়ার নাগরিক আবদেল বাসেত আল-মেগরাহির মুক্তির নেপথ্যে ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম (বিপি) কোনো প্রভাব খাটিয়েছিল কি না, তা তদন্ত করার অনুরোধ জানিয়েছেন চারজন মার্কিন সিনেটর। তাঁদের অনুরোধ বিবেচনা করে দেখছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। গত মঙ্গলবার নিউইয়র্ক ও নিউজার্সির চারজন প্রভাবশালী সিনেটর বিষয়টি তদন্তের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত নাইজেল শেইনওয়াল্ড বলেছেন, তাঁদের বর্তমান সরকার মনে করে, মেগরাহিকে ছেড়ে দিয়ে স্কটল্যান্ড ভুল করেছিল।
১৯৮৮ সালে ব্রিটেন থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী একটি বিমান স্কটল্যান্ডের লকারবি বিমানবন্দরে অবতরণের আগমুহূর্তে বিস্ফোরিত হয়। এতে মার্কিন ও ব্রিটিশ নাগরিকসহ মোট ২৭০ জন নিহত হয়। তদন্তে নাশকতার সঙ্গে লিবিয়ার নাগরিক আবদেল বাসেত আল-মেগরাহি জড়িত বলে প্রমাণিত হয়। আদালতে তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলেও গত বছরের আগস্টে স্কটল্যান্ডের বিচারমন্ত্রী কেনি ম্যাক আস্কিল অনুকম্পা প্রদর্শন করে মেগরাহিকে ছেড়ে দেন। ক্যানসারে আক্রান্ত মেগরাহি বড়জোর এক-দুই মাস বাঁচবেন বলে চিকিৎসকেরা জানানোর পর স্কটল্যান্ড সরকার তাঁকে অনুকম্পাবশত ছেড়ে দেয়। তবে বর্তমানে লিবিয়ায় বসবাসরত মেগরাহিকে পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা বলছেন, তিনি আরও ১০ বছর বাঁচতে পারেন।
গত মঙ্গলবার সিনেটর চার্লস স্কুমার, ফ্রাংক লুটেনবার্গ, রবার্ট মেনেন্দেজ ও কিস্টেন ই গিলিব্রান্ড এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত সেপ্টেম্বরে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে লকারবির ঘটনায় বিপির জড়িত থাকার অভিযোগ এসেছে। তাঁরা বলেন, এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০০৭ সালে তেল অনুসন্ধানের জন্য লিবিয়ার সঙ্গে বিপির ৯০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী লিবিয়ার উপকূলীয় এলাকায় বিপি তেল অনুসন্ধান করবে বলে ঠিক হয়।
সিনেটররা অভিযোগ করেন, ওই সময় বিপির পক্ষ থেকে ব্রিটিশ সরকারের ওপর চাপ দিয়ে বলা হয়, মেগরাহি মুক্তি না দিলে লিবিয়া চুক্তি বাস্তবায়নের সময়সীমা পিছিয়ে দিতে পারে। বিপি ব্রিটিশ সরকারের মাধ্যমে স্কটল্যান্ডকে মেগরাহিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য করে। তবে ব্রিটেন, স্কটল্যান্ড ও বিপি—এ তিন পক্ষই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিপি ও ব্রিটেন বলেছে, স্কটল্যান্ড তাদের নির্বাহী ক্ষমতায় মেগরাহিকে ছেড়ে দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাদের কোনো হাত ছিল না। অন্যদিকে স্কটল্যান্ড বলেছে, চিকিৎসকদের মতামতের ভিত্তিতে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে মার্কিন সিনেটররা বলেছেন, সম্প্রতি মেক্সিকো উপসাগরে তেল দুর্ঘটনায় বিপির উদাসীনতা মেগরাহিকে ছাড়িয়ে আনার ব্যাপারে তাদের জড়িত থাকার সন্দেহকে আরও ঘনীভূত করেছে। মেক্সিকো উপসাগরের দুর্ঘটনা এড়াতে বিপি যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। মানুষের জীবনের চেয়ে তাঁরা তাঁদের বাণিজ্যিক সাফল্যকেই বড় করে দেখেছেন। এ কারণে তাঁরা সন্দেহ করছেন নিজেদের স্বার্থে তাঁরা মেগরাহিকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। আর সত্যিই যদি তা-ই হয়, তাহলে সেটিকে ‘ব্লাড মানি’ ছাড়া আর কিছুই বলা যাবে না।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত নাইজেল শেইনওয়াল্ড বলেছেন, তাঁদের বর্তমান সরকার মনে করে, মেগরাহিকে ছেড়ে দিয়ে স্কটল্যান্ড ভুল করেছিল।
১৯৮৮ সালে ব্রিটেন থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী একটি বিমান স্কটল্যান্ডের লকারবি বিমানবন্দরে অবতরণের আগমুহূর্তে বিস্ফোরিত হয়। এতে মার্কিন ও ব্রিটিশ নাগরিকসহ মোট ২৭০ জন নিহত হয়। তদন্তে নাশকতার সঙ্গে লিবিয়ার নাগরিক আবদেল বাসেত আল-মেগরাহি জড়িত বলে প্রমাণিত হয়। আদালতে তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলেও গত বছরের আগস্টে স্কটল্যান্ডের বিচারমন্ত্রী কেনি ম্যাক আস্কিল অনুকম্পা প্রদর্শন করে মেগরাহিকে ছেড়ে দেন। ক্যানসারে আক্রান্ত মেগরাহি বড়জোর এক-দুই মাস বাঁচবেন বলে চিকিৎসকেরা জানানোর পর স্কটল্যান্ড সরকার তাঁকে অনুকম্পাবশত ছেড়ে দেয়। তবে বর্তমানে লিবিয়ায় বসবাসরত মেগরাহিকে পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা বলছেন, তিনি আরও ১০ বছর বাঁচতে পারেন।
গত মঙ্গলবার সিনেটর চার্লস স্কুমার, ফ্রাংক লুটেনবার্গ, রবার্ট মেনেন্দেজ ও কিস্টেন ই গিলিব্রান্ড এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত সেপ্টেম্বরে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে লকারবির ঘটনায় বিপির জড়িত থাকার অভিযোগ এসেছে। তাঁরা বলেন, এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০০৭ সালে তেল অনুসন্ধানের জন্য লিবিয়ার সঙ্গে বিপির ৯০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী লিবিয়ার উপকূলীয় এলাকায় বিপি তেল অনুসন্ধান করবে বলে ঠিক হয়।
সিনেটররা অভিযোগ করেন, ওই সময় বিপির পক্ষ থেকে ব্রিটিশ সরকারের ওপর চাপ দিয়ে বলা হয়, মেগরাহি মুক্তি না দিলে লিবিয়া চুক্তি বাস্তবায়নের সময়সীমা পিছিয়ে দিতে পারে। বিপি ব্রিটিশ সরকারের মাধ্যমে স্কটল্যান্ডকে মেগরাহিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য করে। তবে ব্রিটেন, স্কটল্যান্ড ও বিপি—এ তিন পক্ষই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিপি ও ব্রিটেন বলেছে, স্কটল্যান্ড তাদের নির্বাহী ক্ষমতায় মেগরাহিকে ছেড়ে দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাদের কোনো হাত ছিল না। অন্যদিকে স্কটল্যান্ড বলেছে, চিকিৎসকদের মতামতের ভিত্তিতে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে মার্কিন সিনেটররা বলেছেন, সম্প্রতি মেক্সিকো উপসাগরে তেল দুর্ঘটনায় বিপির উদাসীনতা মেগরাহিকে ছাড়িয়ে আনার ব্যাপারে তাদের জড়িত থাকার সন্দেহকে আরও ঘনীভূত করেছে। মেক্সিকো উপসাগরের দুর্ঘটনা এড়াতে বিপি যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। মানুষের জীবনের চেয়ে তাঁরা তাঁদের বাণিজ্যিক সাফল্যকেই বড় করে দেখেছেন। এ কারণে তাঁরা সন্দেহ করছেন নিজেদের স্বার্থে তাঁরা মেগরাহিকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। আর সত্যিই যদি তা-ই হয়, তাহলে সেটিকে ‘ব্লাড মানি’ ছাড়া আর কিছুই বলা যাবে না।
No comments