দুই দিনে ডিএসইতে সূচক কমেছে ২০০ পয়েন্ট
অব্যাহত উত্থানের বিপরীতে হঠাৎ করেই দরপতনের ধারায় ফিরেছে দেশের শেয়ারবাজার। টানা দুই দিন ধরে মূল্যসূচক ও লেনদেনের পরিমাণ কমছে। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই মূল্যসূচকে বড় ধরনের পতন ঘটেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এদিন সাধারণ মূল্যসূচক ১১৬ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ১০১ পয়েন্টে নেমে এসেছে। এ নিয়ে গত দুই দিনে স্টক এক্সচেঞ্জটিতে সূচক কমেছে ২০০ পয়েন্টের মতো। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক আগের দিনের তুলনায় ৩১৯ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ১৩ পয়েন্টে নেমে এসেছে। লেনদেন হয়েছে ৯৬ কোটি টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ২৪৫ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা কম।
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাজারের অধিকাংশ শেয়ার অতিমূল্যায়িত হয়ে গিয়েছিল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অনেক বিনিয়োগকারীর মধ্যে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়ায় মূল্যসূচকে প্রভাব পড়েছে।
যোগাযোগ করা হলে ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, সাধারণত জুনের শেষে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের হিসাব সমন্বয় করার জন্য মুনাফা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এর সঙ্গে আবার যুক্ত হয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মূলধনী মুনাফার ওপর করের বিষয়টি। জুনের মধ্যে মুনাফা তুলে নিলে ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে না। ফলে তাদের দিক থেকে বিক্রির চাপটা এবার একটু বেশিই রয়েছে।
তবে শাকিল রিজভী বলেন, বিক্রির চাপ বাড়লেও শেয়ারের মৌলভিত্তিতে তো কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। তাই অযথা আতঙ্কিত না হয়ে বিনিয়োগকারীদের উচিত অপেক্ষা করা।
ডিএসই আজ মঙ্গলবার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিচালিত ব্রোকারেজ হাউসের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে এক জরুরি বৈঠকে বসছে। শাকিল রিজভী আরও জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার বাজারে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, সে বিষয়ে ধারণা পেতেই তাদের সঙ্গে বসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আইডিএলসি ৫০: এদিকে দেশের শীর্ষস্থানীয় অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স গতকাল থেকে আইডিএলসি ৫০ নামে একটি নতুন সূচক চালু করেছে। বাজার মূলধনের ভিত্তিতে বিভিন্ন খাতের ৫০টি কোম্পানি নিয়ে এ সূচক গঠন করা হয়েছে।
প্রথম দিনই সামগ্রিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সূচকটি প্রায় দুই শতাংশ কমে ছয় হাজার ৪৬৩ পয়েন্ট হয়েছে। যেসব কোম্পানি নিয়ে সূচকটি গঠন করা হয়েছে সেগুলো হলো: এবি ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, শাহজাহাল ইসলামী ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, কনফিডেন্স সিমেন্ট, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, উত্তরা ফাইন্যান্স, বিওসি বাংলাদেশ, ডেসকো, পাওয়ার গ্রিড, তিতাস গ্যাস, অ্যাপেক্স ট্যানারি, অ্যাটলাস বাংলাদেশ, বেক্সিমকো লিমিটেড, বাটা সু, বিএটিবিসি, বিএসআরএম স্টিল, ডিবিএইচ, জিকিউ বলপেন, বিজিআইসি, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এসিআই ফরমুলেশন, এসিআই লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ম্যারিকো বাংলাদেশ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, গ্রামীণফোন, বেক্সটেক্স ও স্কয়ার টেক্সটাইল লিমিটেড।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এদিন সাধারণ মূল্যসূচক ১১৬ পয়েন্ট কমে ছয় হাজার ১০১ পয়েন্টে নেমে এসেছে। এ নিয়ে গত দুই দিনে স্টক এক্সচেঞ্জটিতে সূচক কমেছে ২০০ পয়েন্টের মতো। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক আগের দিনের তুলনায় ৩১৯ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ১৩ পয়েন্টে নেমে এসেছে। লেনদেন হয়েছে ৯৬ কোটি টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ২৪৫ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা কম।
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাজারের অধিকাংশ শেয়ার অতিমূল্যায়িত হয়ে গিয়েছিল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অনেক বিনিয়োগকারীর মধ্যে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়ায় মূল্যসূচকে প্রভাব পড়েছে।
যোগাযোগ করা হলে ডিএসইর সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, সাধারণত জুনের শেষে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের হিসাব সমন্বয় করার জন্য মুনাফা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এর সঙ্গে আবার যুক্ত হয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মূলধনী মুনাফার ওপর করের বিষয়টি। জুনের মধ্যে মুনাফা তুলে নিলে ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে না। ফলে তাদের দিক থেকে বিক্রির চাপটা এবার একটু বেশিই রয়েছে।
তবে শাকিল রিজভী বলেন, বিক্রির চাপ বাড়লেও শেয়ারের মৌলভিত্তিতে তো কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। তাই অযথা আতঙ্কিত না হয়ে বিনিয়োগকারীদের উচিত অপেক্ষা করা।
ডিএসই আজ মঙ্গলবার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিচালিত ব্রোকারেজ হাউসের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে এক জরুরি বৈঠকে বসছে। শাকিল রিজভী আরও জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার বাজারে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, সে বিষয়ে ধারণা পেতেই তাদের সঙ্গে বসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আইডিএলসি ৫০: এদিকে দেশের শীর্ষস্থানীয় অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স গতকাল থেকে আইডিএলসি ৫০ নামে একটি নতুন সূচক চালু করেছে। বাজার মূলধনের ভিত্তিতে বিভিন্ন খাতের ৫০টি কোম্পানি নিয়ে এ সূচক গঠন করা হয়েছে।
প্রথম দিনই সামগ্রিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সূচকটি প্রায় দুই শতাংশ কমে ছয় হাজার ৪৬৩ পয়েন্ট হয়েছে। যেসব কোম্পানি নিয়ে সূচকটি গঠন করা হয়েছে সেগুলো হলো: এবি ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, শাহজাহাল ইসলামী ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, কনফিডেন্স সিমেন্ট, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, উত্তরা ফাইন্যান্স, বিওসি বাংলাদেশ, ডেসকো, পাওয়ার গ্রিড, তিতাস গ্যাস, অ্যাপেক্স ট্যানারি, অ্যাটলাস বাংলাদেশ, বেক্সিমকো লিমিটেড, বাটা সু, বিএটিবিসি, বিএসআরএম স্টিল, ডিবিএইচ, জিকিউ বলপেন, বিজিআইসি, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, ফারইস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এসিআই ফরমুলেশন, এসিআই লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ম্যারিকো বাংলাদেশ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, গ্রামীণফোন, বেক্সটেক্স ও স্কয়ার টেক্সটাইল লিমিটেড।
No comments