ক্ষুধার্ত আর্জেন্টিনার সামনে সাহসী গ্রিস
অঙ্কটাই এমন, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়েই আছে। দ্বিতীয় স্থানটির জন্য লড়ছে দক্ষিণ কোরিয়া, গ্রিস, নাইজেরিয়া—তিন দলই! গ্রিস খেলবে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিপক্ষ নাইজেরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার সম্ভাবনাই তাই সবচেয়ে উজ্জ্বল। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে গ্রিসের ফল যা হবে, তার চেয়ে ভালো করলেই দক্ষিণ কোরিয়া চলে যাবে। তা ছাড়া গ্রিস যেখানে মুখোমুখি হচ্ছে মহাশক্তিধর আর্জেন্টিনার, কোরীয়দের প্রতিপক্ষ সেখানে দুটো ম্যাচেই হেরে মানসিকভাবে নুয়ে পড়া নাইজেরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার কোচ হু জুং-মুকে নিশ্চিত করতে হবে, আর্জেন্টিনার কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার যন্ত্রণা যেন পুরোপুরি ভুলেই আজ মাঠে নামে তাঁর দল। দুই পার্কই ওদের মূল ভরসা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পার্ক জি-সুং আর মনাকোর পার্ক চু-ইয়ং। বিশ্বকাপের পর নাইজেরিয়ার উচিত হবে দলটাকে নতুন করে গড়ে তোলা। এমন একজন কোচ খুঁজে বের করতে হবে, দলটাকে যিনি ঢেলে সাজাবেন। এই বিশ্বকাপে ‘সুপার ইগল’দের খেলা একদমই চোখে লাগেনি।
প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে হেরে শুরু করার পর মনে হয়েছিল, গ্রিস বুঝি দেশের টিকিট কেটে রেখেছে। সেই দলটাই নাইজেরিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের আশা বাঁচিয়ে রাখল। অবশ্য প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা এমন একটা দল, যাকে কেউ নিমন্ত্রণ দিয়ে ডেকে আনবে না। কিন্তু কী আর করা! নাইজেরিয়ার বিপক্ষে গ্রিস অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে। সালপিংগিদিস আর তোরোসিদিস তো দারুণ খেলেছে। গত ম্যাচে এই দুজন গোলও পেয়েছে। কারাগুনিস আর কাতসুনারিস মাঝমাঠে ব্যবধান গড়ে দিচ্ছে।
আজ তাদের প্রতিপক্ষের নাম আর্জেন্টিনা, প্রথম দুই ম্যাচেই যারা প্রতিপক্ষের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে। এই ম্যাচে ওয়াল্টার স্যামুয়েলকে বিশ্রামে রাখা হতে পারে। দলের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়ে কোচ ম্যারাডোনা তাঁর বেঞ্চের শক্তিটা পরখ করে দেখতে চাইবেন। তবে যে দলটাই খেলুক না কেন, গ্রিসের রক্ষণভাগের জন্য সেটি শেষ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে দুঃস্বপ্নের। তবে সাগরে শয্যা পেতেছেন গ্রিস কোচ অটো রেহাগেল। আজ সর্বস্ব বাজি ধরে হলেও জয়ের জন্যই মরিয়া হয়ে মাঠে নামবে তাঁর দল। ফলে তাদের রক্ষণটাও দুয়ার খোলা প্রলোভন জানাবে আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ডদের। ম্যাচটা বেশ কৌতূহল জাগানিয়া হবে বলেই মনে হচ্ছে!
স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিদায় নিশ্চিত। ফ্রান্সের, এমনকি রেমন্ড ডমেনেখেরও। দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে চাইলে অলৌকিক কিছু ঘটতে হবে। অলৌকিক ব্যাপার প্রতিদিন ঘটেও না। বাস্তবতা মেনে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা আর ফ্রান্স দুই দলই চাইবে মাথা উঁচু করে বিদায় নেওয়ার মতো খেলতে। ফ্রান্স দলটায় তো রীতিমতো বিপ্লব চলছে। আনেলকাকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। গোভুরও সম্ভবত আজ খেলা হচ্ছে না। গিগনাসের সঙ্গে আজ জুটি বাঁধতে দেখা যাবে থিয়েরি অঁরিকে। আক্রমণে তাদের সঙ্গী হবে রিবেরি আর মালুদা। এটাই এখন দেখার, অঁরি দলে ফিরে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলতে পারে কি না।
দলটাকে হতশ্রী দেখাচ্ছে। যদিও এই একটা ম্যাচের জন্য দলে বড় ধরনের ওলটপালট আনা ঠিক হবে না। রক্ষণে তাই সানিয়া, গালাস, আবিদাল আর এভরাদেরই দেখা যাবে। অনেকেই শোরগোল করছেন, কিন্তু ফ্রান্স দলের এই ভরাডুবি আমার কাছে অপ্রত্যাশিত কিছু ছিল না। দুই বছর ধরেই তো ওরা খোঁড়াচ্ছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা কোচ আলবার্তো পাহেইরার জন্যও সম্ভবত এটা শেষ ম্যাচ হতে চলেছে। ভালো মানের ডিফেন্ডার না পাওয়ার খেসারত তাঁকে দিতে হলো। গোলরক্ষক খুনে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাঁর সামনে বর্ম তৈরি করার কথা ছিল যাদের, সেই ডিফেন্ডাররাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিয়েছে দলকে।
তবে নিজেদের মাঠের দর্শকদের আনন্দে উদ্বেল করে তুলতে এটাই তাদের শেষ সুযোগ।
দক্ষিণ কোরিয়ার কোচ হু জুং-মুকে নিশ্চিত করতে হবে, আর্জেন্টিনার কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার যন্ত্রণা যেন পুরোপুরি ভুলেই আজ মাঠে নামে তাঁর দল। দুই পার্কই ওদের মূল ভরসা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পার্ক জি-সুং আর মনাকোর পার্ক চু-ইয়ং। বিশ্বকাপের পর নাইজেরিয়ার উচিত হবে দলটাকে নতুন করে গড়ে তোলা। এমন একজন কোচ খুঁজে বের করতে হবে, দলটাকে যিনি ঢেলে সাজাবেন। এই বিশ্বকাপে ‘সুপার ইগল’দের খেলা একদমই চোখে লাগেনি।
প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে হেরে শুরু করার পর মনে হয়েছিল, গ্রিস বুঝি দেশের টিকিট কেটে রেখেছে। সেই দলটাই নাইজেরিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের আশা বাঁচিয়ে রাখল। অবশ্য প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা এমন একটা দল, যাকে কেউ নিমন্ত্রণ দিয়ে ডেকে আনবে না। কিন্তু কী আর করা! নাইজেরিয়ার বিপক্ষে গ্রিস অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে। সালপিংগিদিস আর তোরোসিদিস তো দারুণ খেলেছে। গত ম্যাচে এই দুজন গোলও পেয়েছে। কারাগুনিস আর কাতসুনারিস মাঝমাঠে ব্যবধান গড়ে দিচ্ছে।
আজ তাদের প্রতিপক্ষের নাম আর্জেন্টিনা, প্রথম দুই ম্যাচেই যারা প্রতিপক্ষের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে। এই ম্যাচে ওয়াল্টার স্যামুয়েলকে বিশ্রামে রাখা হতে পারে। দলের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়ে কোচ ম্যারাডোনা তাঁর বেঞ্চের শক্তিটা পরখ করে দেখতে চাইবেন। তবে যে দলটাই খেলুক না কেন, গ্রিসের রক্ষণভাগের জন্য সেটি শেষ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে দুঃস্বপ্নের। তবে সাগরে শয্যা পেতেছেন গ্রিস কোচ অটো রেহাগেল। আজ সর্বস্ব বাজি ধরে হলেও জয়ের জন্যই মরিয়া হয়ে মাঠে নামবে তাঁর দল। ফলে তাদের রক্ষণটাও দুয়ার খোলা প্রলোভন জানাবে আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ডদের। ম্যাচটা বেশ কৌতূহল জাগানিয়া হবে বলেই মনে হচ্ছে!
স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিদায় নিশ্চিত। ফ্রান্সের, এমনকি রেমন্ড ডমেনেখেরও। দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে চাইলে অলৌকিক কিছু ঘটতে হবে। অলৌকিক ব্যাপার প্রতিদিন ঘটেও না। বাস্তবতা মেনে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা আর ফ্রান্স দুই দলই চাইবে মাথা উঁচু করে বিদায় নেওয়ার মতো খেলতে। ফ্রান্স দলটায় তো রীতিমতো বিপ্লব চলছে। আনেলকাকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। গোভুরও সম্ভবত আজ খেলা হচ্ছে না। গিগনাসের সঙ্গে আজ জুটি বাঁধতে দেখা যাবে থিয়েরি অঁরিকে। আক্রমণে তাদের সঙ্গী হবে রিবেরি আর মালুদা। এটাই এখন দেখার, অঁরি দলে ফিরে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলতে পারে কি না।
দলটাকে হতশ্রী দেখাচ্ছে। যদিও এই একটা ম্যাচের জন্য দলে বড় ধরনের ওলটপালট আনা ঠিক হবে না। রক্ষণে তাই সানিয়া, গালাস, আবিদাল আর এভরাদেরই দেখা যাবে। অনেকেই শোরগোল করছেন, কিন্তু ফ্রান্স দলের এই ভরাডুবি আমার কাছে অপ্রত্যাশিত কিছু ছিল না। দুই বছর ধরেই তো ওরা খোঁড়াচ্ছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা কোচ আলবার্তো পাহেইরার জন্যও সম্ভবত এটা শেষ ম্যাচ হতে চলেছে। ভালো মানের ডিফেন্ডার না পাওয়ার খেসারত তাঁকে দিতে হলো। গোলরক্ষক খুনে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাঁর সামনে বর্ম তৈরি করার কথা ছিল যাদের, সেই ডিফেন্ডাররাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিয়েছে দলকে।
তবে নিজেদের মাঠের দর্শকদের আনন্দে উদ্বেল করে তুলতে এটাই তাদের শেষ সুযোগ।
No comments