আজ আবার মেসি-জাদু দেখার সুযোগ
কাগজে-কলমে হয়তো নন, কিন্তু আর্জেন্টিনা দলটার অলিখিত অধিনায়ক তিনিই। তাঁর নেতৃত্বেই আক্রমণ চালাচ্ছে আর্জেন্টিনা। আক্রমণভাগের সেই সেনানী লিওনেল মেসির হাতে আজ পুরো রাজ্যটাই লিখে দিতে চান ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে কোচ আভাস দিয়েছেন, আজকের ম্যাচে সিনিয়র খেলোয়াড়দের বিশ্রামে রাখা হবে। বিশ্রামে রাখা হবে হলুদ কার্ডের খাঁড়ায় আছেন যাঁরা। তাঁদেরও। দ্বিতীয় রাউন্ডে এক পা দিয়ে রাখা দলটার আজকের ম্যাচের নেতৃত্ব তাই থাকতে পারে লিওনেল মেসির বাহুতেই।
অধিনায়কত্ব কি আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকরকে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে? মেসি কি আজ জ্বলে উঠবেন আরও বেশি? প্রথম দুই ম্যাচে যে খামতিটুকু ছিল, সেটি পুষিয়ে দেবেন কড়ায় গণ্ডায়?
ভয়ংকর কোনো ওলটপালট না হলে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় রাউন্ডে না যাওয়ার কোনো কারণ নেই। হিসাব পাল্টে ফেলার এই বিশ্বকাপেও আজকের ম্যাচে তাই ফুটবলীয় অনিশ্চয়তার কোনো শঙ্কা নেই আর্জেন্টাইন সমর্থকদের। নেই অনিশ্চয়তার কোনো রোমাঞ্চও। প্রতিপক্ষও গ্রিস বলে ম্যারাডোনার দলের হেসেখেলেই জেতার কথা। তার পরও আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা দুরু দুরু বুকেই এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকবে। স্কোরলাইনে নয়, একজনের পায়ের দিকে। ম্যাচের ফলাফল নয়, আজ তাদের পরম প্রার্থনা হবে, মেসি এবার বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোলটি যেন পান! ওদিকে তাঁর প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যে এগিয়ে গেলেন কাল গোলবন্যার ম্যাচে নিজেও একটি গোল করে।
আর্জেন্টিনাকে নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তার রোমাঞ্চ না থাকতে পারে, এমনিতে ‘বি’ গ্রুপটায় কিন্তু জট পাকানো পরিস্থিতি। বাকি তিন দল গ্রিস, নাইজেরিয়া আর দক্ষিণ কোরিয়া সবারই যে সুযোগ আছে শেষ ষোলোতে নাম লেখানোর! নাইজেরিয়া এখনো একটা পয়েন্ট পায়নি বলে অনেকেই এরই মধ্যে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছে তাদের। আর্জেন্টিনার কাছে গ্রিস হারলে, দক্ষিণ কোরিয়াকে হারালেই নাইজেরিয়া চলে যাবে পরের রাউন্ডে।
ফুটবল-দেবতা প্রথম রাউন্ডের শেষবেলায় কোন নাটক জমিয়ে রেখেছে, কে-ই বা জানে। আর তাই অটো রেহাগেলের কোনো জাদু, লার্স লেজারব্যাকের কোনো চমক, নাকি হু জুং-মুর আরও একটা চোয়ালবাঁধা লড়াই—কার জয় হয় শেষ পর্যন্ত এটাই এখন দেখার।
ম্যারাডোনাকেও এখন খরচ করতে হবে হাত টিপে। হলুদ কার্ড, চোট, বিশ্রাম—এসবও এখন মাথায় রাখতে হবে তাঁকে। দ্বিতীয় রাউন্ডেই তো আসল পরীক্ষা শুরু। এক ম্যাচের অপ্রত্যাশিত ফল মানেই অর্থহীন হয়ে যাওয়া সবকিছুই। সহজ অনুমান, এই ম্যাচে ম্যারাডোনা নিয়মিত একাদশের বেশির ভাগ ফুটবলারকে বসিয়ে রাখবেন। সংখ্যাটা ম্যারাডোনা নিজেই জানিয়েছেন—সাতজন। বিশ্রামের তালিকা থাকতে পারতেন মেসিও। বার্সেলোনা তারকা নিজেই রাজি হননি। এই বিশ্বকাপে ‘বার্সেলোনার খেলোয়াড়’ অপবাদটা যে চিরতরে কবর দেওয়ার প্রতিজ্ঞা নিয়েই এসেছেন!
হিগুয়েইনেরও থাকার কথা দলে। মাথায় বন্দুকের নল ঠেকালেও তো হিগুয়েইনকে কেউ মাঠের বাইরে রাখতে পারবে বলে মনে হয় না। গোল্ডেন বুটের হাতছানি যে তাঁর সামনে।
গ্রিস আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হয়েছিল একবারই, ১৯৯৪ বিশ্বকাপে। সেবার ৪-০ গোলে হেরে যাওয়ার লজ্জাই সইতে হয়েছিল। বাতিস্তুতার হ্যাটট্রিকের পাশে ম্যারাডোনা নিজেও একটি গোল করেছিলেন। ফুটবলার ম্যারাডোনার শেষ গোল!
গ্রিসদের তাই দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে অঘটনই ঘটাতে হবে। তবে প্রথম দুই ম্যাচে ‘সুপার ফ্লপ’ সুপার ইগলরা রাতারাতি পরশপাথরের সন্ধান পাবে কি না, কে জানে। শক্তির বিচারে আর্জেন্টিনার সঙ্গী হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার কথা দক্ষিণ কোরিয়ারই। তবে এই বিশ্বকাপ পূর্বানুমানের জন্য সুবিধার নয় মোটেও।
আর্জেন্টিনার সঙ্গী কে হলো না হলো, এটা নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবনা নেই সমর্থকদের মনে। তাদের চাওয়া আজ একটাই—মেসির অনিন্দ্যসুন্দর গোল।
অধিনায়কত্ব কি আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকরকে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে? মেসি কি আজ জ্বলে উঠবেন আরও বেশি? প্রথম দুই ম্যাচে যে খামতিটুকু ছিল, সেটি পুষিয়ে দেবেন কড়ায় গণ্ডায়?
ভয়ংকর কোনো ওলটপালট না হলে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় রাউন্ডে না যাওয়ার কোনো কারণ নেই। হিসাব পাল্টে ফেলার এই বিশ্বকাপেও আজকের ম্যাচে তাই ফুটবলীয় অনিশ্চয়তার কোনো শঙ্কা নেই আর্জেন্টাইন সমর্থকদের। নেই অনিশ্চয়তার কোনো রোমাঞ্চও। প্রতিপক্ষও গ্রিস বলে ম্যারাডোনার দলের হেসেখেলেই জেতার কথা। তার পরও আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা দুরু দুরু বুকেই এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকবে। স্কোরলাইনে নয়, একজনের পায়ের দিকে। ম্যাচের ফলাফল নয়, আজ তাদের পরম প্রার্থনা হবে, মেসি এবার বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোলটি যেন পান! ওদিকে তাঁর প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যে এগিয়ে গেলেন কাল গোলবন্যার ম্যাচে নিজেও একটি গোল করে।
আর্জেন্টিনাকে নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তার রোমাঞ্চ না থাকতে পারে, এমনিতে ‘বি’ গ্রুপটায় কিন্তু জট পাকানো পরিস্থিতি। বাকি তিন দল গ্রিস, নাইজেরিয়া আর দক্ষিণ কোরিয়া সবারই যে সুযোগ আছে শেষ ষোলোতে নাম লেখানোর! নাইজেরিয়া এখনো একটা পয়েন্ট পায়নি বলে অনেকেই এরই মধ্যে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছে তাদের। আর্জেন্টিনার কাছে গ্রিস হারলে, দক্ষিণ কোরিয়াকে হারালেই নাইজেরিয়া চলে যাবে পরের রাউন্ডে।
ফুটবল-দেবতা প্রথম রাউন্ডের শেষবেলায় কোন নাটক জমিয়ে রেখেছে, কে-ই বা জানে। আর তাই অটো রেহাগেলের কোনো জাদু, লার্স লেজারব্যাকের কোনো চমক, নাকি হু জুং-মুর আরও একটা চোয়ালবাঁধা লড়াই—কার জয় হয় শেষ পর্যন্ত এটাই এখন দেখার।
ম্যারাডোনাকেও এখন খরচ করতে হবে হাত টিপে। হলুদ কার্ড, চোট, বিশ্রাম—এসবও এখন মাথায় রাখতে হবে তাঁকে। দ্বিতীয় রাউন্ডেই তো আসল পরীক্ষা শুরু। এক ম্যাচের অপ্রত্যাশিত ফল মানেই অর্থহীন হয়ে যাওয়া সবকিছুই। সহজ অনুমান, এই ম্যাচে ম্যারাডোনা নিয়মিত একাদশের বেশির ভাগ ফুটবলারকে বসিয়ে রাখবেন। সংখ্যাটা ম্যারাডোনা নিজেই জানিয়েছেন—সাতজন। বিশ্রামের তালিকা থাকতে পারতেন মেসিও। বার্সেলোনা তারকা নিজেই রাজি হননি। এই বিশ্বকাপে ‘বার্সেলোনার খেলোয়াড়’ অপবাদটা যে চিরতরে কবর দেওয়ার প্রতিজ্ঞা নিয়েই এসেছেন!
হিগুয়েইনেরও থাকার কথা দলে। মাথায় বন্দুকের নল ঠেকালেও তো হিগুয়েইনকে কেউ মাঠের বাইরে রাখতে পারবে বলে মনে হয় না। গোল্ডেন বুটের হাতছানি যে তাঁর সামনে।
গ্রিস আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হয়েছিল একবারই, ১৯৯৪ বিশ্বকাপে। সেবার ৪-০ গোলে হেরে যাওয়ার লজ্জাই সইতে হয়েছিল। বাতিস্তুতার হ্যাটট্রিকের পাশে ম্যারাডোনা নিজেও একটি গোল করেছিলেন। ফুটবলার ম্যারাডোনার শেষ গোল!
গ্রিসদের তাই দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে অঘটনই ঘটাতে হবে। তবে প্রথম দুই ম্যাচে ‘সুপার ফ্লপ’ সুপার ইগলরা রাতারাতি পরশপাথরের সন্ধান পাবে কি না, কে জানে। শক্তির বিচারে আর্জেন্টিনার সঙ্গী হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার কথা দক্ষিণ কোরিয়ারই। তবে এই বিশ্বকাপ পূর্বানুমানের জন্য সুবিধার নয় মোটেও।
আর্জেন্টিনার সঙ্গী কে হলো না হলো, এটা নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবনা নেই সমর্থকদের মনে। তাদের চাওয়া আজ একটাই—মেসির অনিন্দ্যসুন্দর গোল।
No comments