মুগ্ধ করল পর্তুগাল ব্রাজিলও কম করেনি by গোলাম সারোয়ার টিপু
এর চেয়ে চোখকাড়া ফুটবল আর হয় না! পর্তুগাল মুগ্ধ করে দিল। উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে কাল তারা যা করতে চেয়েছে, সবই করেছে। মনে রাখার মতো ফুটবল খেলল রোনালদোরা।
পেছন থেকে পর্তুগাল খেলোয়াড়দের দৌড়গুলো ছিল অসাধারণ। পাস ছিল নিখুঁত। ব্রাজিলের বিপক্ষে উত্তর কোরিয়া শামুকের ভেতর থেকে বের হতে চায়নি। এ ম্যাচে হয়তো তারা জয়ের কথা ভেবেছে। সে জন্য অলআউট খেলতে গিয়েছে এবং পর্তুগাল সেই সুযোগ নিতে পারায় গোটা দলটা ছত্রখান।
কোরিয়ানরা মারটা খেয়েছে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে। এমনিতে তাদের রানিং ভালো ছিল। কিন্তু পর্তুগাল খেলোয়াড়দের যে ব্যক্তিগত নৈপুণ্য আছে সেটা নেই কোরিয়ানদের। বড় পার্থক্যটা এই জায়গাতেই। তিন গোল খাওয়ার পরই কোরিয়া ম্যাচটা ছেড়ে দিয়েছে মনে হলো। এই সুযোগে ফাঁক-ফোকর বের করেছে পর্তুগাল। দুর্দান্ত সব পাস আর নিখুঁত লক্ষ্যভেদ করে কোরিয়ানদের একেবারে ছিঁড়ে-খুঁড়ে খেয়েছে ইউসেবিওর উত্তরসূরিরা।
এই উত্তর কোরিয়া অচেনা এক দল ছিল ব্রাজিলের সামনে। ওই ম্যাচে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের খুব উজ্জ্বল দেখা যায়নি। কিন্তু পরশু আইভরিকোস্টের বিপক্ষে দেখা দেওয়া দ্বিতীয়ার্ধের ব্রাজিল চিরচেনা সেই ব্রাজিলীয় ঝলক দেখিয়েছে। বল নিয়ন্ত্রণ, অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে বল নিয়ে কারিকুরি, ছন্দায়িত পাসের সমাহার—সব মিলিয়ে দুঙ্গার দল সমর্থকদের মনে আশা জাগাতে পারল।
এদিন ফ্লাংক বেশি ব্যবহার না করে মাঝখান দিয়ে বেশি ঢুকেছে ব্রাজিল। ৭০ মিনিটে প্রতিপক্ষের বক্সের সামনে চার ব্রাজিলিয়ান ৩০-৪০ সেকেন্ড বল নিয়ে দুর্দান্ত কিছু মুহূর্ত উপহার দিল আমাদের, যা অনেক দিন মনে থাকবে। আইভরিকোস্টের তিন-চারজন খেলোয়াড় পাত্তাই পেল না। এখানেই অন্যদের চেয়ে ব্রাজিলিয়ানদের এগিয়ে থাকার প্রমাণ।
ফ্যাবিয়ানো অসাধারণ খেলল। তুলনায় রবিনহো একটু অনুজ্জ্বল। প্রথম ম্যাচের ঠিক উল্টো। সেদিন ফ্যাবিয়ানো সুবিধা করতে পারেনি। পরের ম্যাচেই সে জ্বলে উঠে ব্রাজিলের ‘ফিনিশার কই’ উদ্বেগটা কমিয়ে দিয়েছে।
কাকার প্রশংসা করতেই হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরেই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছিল না এই প্লে-মেকার। অবশেষে কাকা ফর্মে ফিরল কাকার মতো। দুটো গোলে রেখেছে বড় অবদান। তবে লাল কার্ডটা ওর প্রাপ্য ছিল না। প্রথম হলুদ কার্ডটা ঠিক ছিল, দ্বিতীয়টি দিয়ে রেফারি ওর প্রতি অবিচার করেছেন।
‘ব্রাজিল-মুগ্ধতা’র অন্য পিঠে ‘ব্রাজিল-দুর্বলতা’ও আছে। এমনিতে এবার ব্রাজিলের রক্ষণভাগ বেশ ভালো। কিন্তু এই রক্ষণ কেমন যেন গা ছেড়ে দিচ্ছে শেষ দিকে। তিন গোলে এগিয়ে থাকা ম্যাচে ওরা হয়তো ভাবল, ‘দ্রগবা আর কী করবে!’ ওকে মার্কিংই করল না। ফলটা হাতে হাতে ধরিয়ে দিয়ে দ্রগবা দেখাল, তাকে একা ছাড়লে বিপদ আছে।
ব্রাজিল-পর্তুগালের পাশে ইতালি একেবারেই ম্রিয়মাণ। চ্যাম্পিয়নরা ধুঁকছে এবং তাদের খেলায় কোনো উন্নতি নেই। প্রথম ম্যাচ ড্র করার পর আশা ছিল দ্বিতীয় ম্যাচে ফিরে আসবে মার্সেলো লিপ্পির দল। কিন্তু কোথায় কী! মাঠে তাদের শতভাগ চেষ্টা দেখলাম না।
পেছন থেকে পর্তুগাল খেলোয়াড়দের দৌড়গুলো ছিল অসাধারণ। পাস ছিল নিখুঁত। ব্রাজিলের বিপক্ষে উত্তর কোরিয়া শামুকের ভেতর থেকে বের হতে চায়নি। এ ম্যাচে হয়তো তারা জয়ের কথা ভেবেছে। সে জন্য অলআউট খেলতে গিয়েছে এবং পর্তুগাল সেই সুযোগ নিতে পারায় গোটা দলটা ছত্রখান।
কোরিয়ানরা মারটা খেয়েছে ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে। এমনিতে তাদের রানিং ভালো ছিল। কিন্তু পর্তুগাল খেলোয়াড়দের যে ব্যক্তিগত নৈপুণ্য আছে সেটা নেই কোরিয়ানদের। বড় পার্থক্যটা এই জায়গাতেই। তিন গোল খাওয়ার পরই কোরিয়া ম্যাচটা ছেড়ে দিয়েছে মনে হলো। এই সুযোগে ফাঁক-ফোকর বের করেছে পর্তুগাল। দুর্দান্ত সব পাস আর নিখুঁত লক্ষ্যভেদ করে কোরিয়ানদের একেবারে ছিঁড়ে-খুঁড়ে খেয়েছে ইউসেবিওর উত্তরসূরিরা।
এই উত্তর কোরিয়া অচেনা এক দল ছিল ব্রাজিলের সামনে। ওই ম্যাচে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের খুব উজ্জ্বল দেখা যায়নি। কিন্তু পরশু আইভরিকোস্টের বিপক্ষে দেখা দেওয়া দ্বিতীয়ার্ধের ব্রাজিল চিরচেনা সেই ব্রাজিলীয় ঝলক দেখিয়েছে। বল নিয়ন্ত্রণ, অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে বল নিয়ে কারিকুরি, ছন্দায়িত পাসের সমাহার—সব মিলিয়ে দুঙ্গার দল সমর্থকদের মনে আশা জাগাতে পারল।
এদিন ফ্লাংক বেশি ব্যবহার না করে মাঝখান দিয়ে বেশি ঢুকেছে ব্রাজিল। ৭০ মিনিটে প্রতিপক্ষের বক্সের সামনে চার ব্রাজিলিয়ান ৩০-৪০ সেকেন্ড বল নিয়ে দুর্দান্ত কিছু মুহূর্ত উপহার দিল আমাদের, যা অনেক দিন মনে থাকবে। আইভরিকোস্টের তিন-চারজন খেলোয়াড় পাত্তাই পেল না। এখানেই অন্যদের চেয়ে ব্রাজিলিয়ানদের এগিয়ে থাকার প্রমাণ।
ফ্যাবিয়ানো অসাধারণ খেলল। তুলনায় রবিনহো একটু অনুজ্জ্বল। প্রথম ম্যাচের ঠিক উল্টো। সেদিন ফ্যাবিয়ানো সুবিধা করতে পারেনি। পরের ম্যাচেই সে জ্বলে উঠে ব্রাজিলের ‘ফিনিশার কই’ উদ্বেগটা কমিয়ে দিয়েছে।
কাকার প্রশংসা করতেই হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরেই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছিল না এই প্লে-মেকার। অবশেষে কাকা ফর্মে ফিরল কাকার মতো। দুটো গোলে রেখেছে বড় অবদান। তবে লাল কার্ডটা ওর প্রাপ্য ছিল না। প্রথম হলুদ কার্ডটা ঠিক ছিল, দ্বিতীয়টি দিয়ে রেফারি ওর প্রতি অবিচার করেছেন।
‘ব্রাজিল-মুগ্ধতা’র অন্য পিঠে ‘ব্রাজিল-দুর্বলতা’ও আছে। এমনিতে এবার ব্রাজিলের রক্ষণভাগ বেশ ভালো। কিন্তু এই রক্ষণ কেমন যেন গা ছেড়ে দিচ্ছে শেষ দিকে। তিন গোলে এগিয়ে থাকা ম্যাচে ওরা হয়তো ভাবল, ‘দ্রগবা আর কী করবে!’ ওকে মার্কিংই করল না। ফলটা হাতে হাতে ধরিয়ে দিয়ে দ্রগবা দেখাল, তাকে একা ছাড়লে বিপদ আছে।
ব্রাজিল-পর্তুগালের পাশে ইতালি একেবারেই ম্রিয়মাণ। চ্যাম্পিয়নরা ধুঁকছে এবং তাদের খেলায় কোনো উন্নতি নেই। প্রথম ম্যাচ ড্র করার পর আশা ছিল দ্বিতীয় ম্যাচে ফিরে আসবে মার্সেলো লিপ্পির দল। কিন্তু কোথায় কী! মাঠে তাদের শতভাগ চেষ্টা দেখলাম না।
No comments