বাফুফের মাঠ কমিটিই তো নেই! by মাসুদ আলম
সবাই শুধু বলছেন, ফুটবলের জন্য মাঠ দরকার। মাঠের অভাবে নিচের দিকের লিগগুলো বন্ধ হয়ে আছে। এটা ঠিক, ঢাকা নগরের সব মাঠের মালিক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অথবা ঢাকা সিটি করপোরেশন। ফুটবল খেলার জন্য এই দুই কর্তৃপক্ষেরই উচিত ফুটবলকে মাঠের ব্যবস্থা করে দেওয়া। তার পরও ফুটবল পরিচালনা করছে যে প্রতিষ্ঠান, সেই বাফুফের কি কোনো দায় নেই? কী করছে তারা?
প্রথম প্রশ্নের উত্তর, বাফুফে কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারে না। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরটা শেষ করা যায় একবাক্যে—নতুন মাঠ পাওয়া বা মাঠ খোঁজার ব্যাপারে বাফুফের কোনো উদ্যোগই দৃশ্যমান নয়।
অবাক করা ব্যাপার, সালাউদ্দিন জমানায় অনেক কিছু হলেও বাফুফের কোনো মাঠ কমিটিই গঠন করা হয়নি গত দেড় বছরে! এনএসসির দায় তো আছেই, তার ওপর মাঠ কমিটি করার ব্যাপারে বাফুফের আশ্চর্য নীরবতা সংকট বাড়িয়ে তুলছে। বাফুফের গঠনতন্ত্রে মাঠ কমিটি করার কথা নেই, কিন্তু গঠনতন্ত্রের বাইরেও প্রয়োজনের তাগিদে অনেক কমিটিই করা হয়েছে। শুধু মাঠ কমিটিটাই তাহলে গুরত্ব হারাল?
এ কারণেই মাঠের ব্যাপারে বাফুফেতে কেউ দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেন না। বাফুফের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই কাজী সালাউদ্দিন বলেছিলেন, ঢাকা শহরে ঘুরে ঘুরে মাঠ খোঁজা হবে। প্রয়োজনে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কথা বলে মাঠ নেওয়া হবে। দরকার হলে সেই মাঠ বাফুফে সংস্কার করে খেলা চালাবে। সেই পরিকল্পনা থেকে একদিন সাংবাদিকদের সামনেই বাফুফের এক সদস্যকে মাঠের দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সালাউদ্দিন। সেই সদস্য নানা রকম সমস্যা দেখিয়ে দায়িত্ব নিতে অপারগতা জানান তত্ক্ষণাত্। তারপর আর এ ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
কাল সালাউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মাঠের ব্যাপারে কিছুই বলতে রাজি হননি তিনি। গত দেড় বছরে বাফুফে কী উদ্যোগ নিয়েছে সে প্রশ্নে শুধু বললেন, ‘কাল (আজ) বলব।’ তবে বাফুফের অন্য কর্মকর্তারা বলছেন, বাফুফের উচিত আরও সক্রিয় হয়ে ঢাকা শহরে মাঠ খুঁজে অচিরেই জুনিয়র ডিভিশন লিগগুলো শুরু করা। নইলে সালাউদ্দিনের লক্ষ্য পূরণ হবে না।
কথা বলার লোক আছে বাফুফেতে, কাজের লোকের অভাব। সালাউদ্দিন একা কী করবেন, সেটাও যুক্তিসংগত প্রশ্ন। তার চেয়ে বড় প্রশ্ন, মাঠ কমিটি নেই কেন? এটা করতে সমস্যা কোথায়? বাফুফের সহসভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ বললেন, ‘বাফুফের মাঠ কমিটি বলে কিছু নেই। এটা হওয়া দরকার অচিরেই। এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা কারণে বেশি দূর এগোনো যায়নি।’
বাফুফের হাতে এখন আছে শুধু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। কমলাপুর স্টেডিয়াম ছয় মাস আগে সংস্কারের জন্য নেওয়া হলেও সেটি কবে নাগাদ পাওয়া যাবে ঠিক নেই। কাজের গতি খুবই ধীর। কাজ দ্রুত করার জন্য বাফুফে চিঠি দিয়েছে এনএসসিকে। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কী কাজ করছে, কী মাটি ফেলছে, এসব কখনো দেখতেও যাননি বাফুফের কর্তারা!
জুনিয়র ডিভিশন লিগগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছে ঢাকা মহানগরী লিগ কমিটি। এই কমিটির সমন্বয়কারী আজফার-উজ জামান সোহরাব এ জন্য বাফুফের দায়টাকে বড় করে দেখছেন, ‘মাঠ নিয়ে বাফুফে কোনো চিন্তাভাবনা করে বলে মনেই হয় না। শুধু এনএসসিকে চিঠি দেয়। এনএসসি সেই চিঠির গুরুত্ব দেয় না। নিচের দিকে সব লিগ বন্ধ হয়ে আছে। ফুটবল এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছি আমরা, কিন্তু এভাবে এগোবে? অসম্ভব।’
সাবেক ফুটবলার মোহাম্মদ মহসিনকে একবার মৌখিকভাবে বলা হয়েছিল ঢাকা শহরে মাঠ দেখার জন্য। এর পর কী হয়েছে? কাল মহসিনের কাছে জানতে চাইলে বললেন, ‘আমাকে চিঠি দিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। দায়িত্ব না পেলে তো আর আমি কাজ করতে পারি না।’
গত বছর গাজীপুরে ফেডারেশন কাপ আর নরসিংদীতে বি-লিগের কয়েকটি খেলা চালিয়েছে বি-লিগ কমিটি। চাইলে ঢাকার আশপাশেও মাঠ পাওয়া অসম্ভব কিছু নয়, এটা প্রমাণিত। বাফুফে একটা মাঠ কমিটি করে দিলে তারা নিশ্চয়ই এত দিনে বিকল্প কিছু মাঠ খুঁজে খেলার জন্য তৈরি করতে পারত। ঢাকার বাইরের ক্লাবগুলো ফেডারেশন কাপে খেলতে এসে মাঠ পাচ্ছে না অনুশীলনের জন্য। তাদের অনুশীলনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বাফুফেরই। সেটা দূরে থাক, মাঠ কমিটিই নেই যে ফেডারেশনের, তাদের কাছে ‘মাঠ সমস্যা’ তো প্রকট হয়ে উঠবেই!
প্রথম প্রশ্নের উত্তর, বাফুফে কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারে না। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরটা শেষ করা যায় একবাক্যে—নতুন মাঠ পাওয়া বা মাঠ খোঁজার ব্যাপারে বাফুফের কোনো উদ্যোগই দৃশ্যমান নয়।
অবাক করা ব্যাপার, সালাউদ্দিন জমানায় অনেক কিছু হলেও বাফুফের কোনো মাঠ কমিটিই গঠন করা হয়নি গত দেড় বছরে! এনএসসির দায় তো আছেই, তার ওপর মাঠ কমিটি করার ব্যাপারে বাফুফের আশ্চর্য নীরবতা সংকট বাড়িয়ে তুলছে। বাফুফের গঠনতন্ত্রে মাঠ কমিটি করার কথা নেই, কিন্তু গঠনতন্ত্রের বাইরেও প্রয়োজনের তাগিদে অনেক কমিটিই করা হয়েছে। শুধু মাঠ কমিটিটাই তাহলে গুরত্ব হারাল?
এ কারণেই মাঠের ব্যাপারে বাফুফেতে কেউ দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেন না। বাফুফের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই কাজী সালাউদ্দিন বলেছিলেন, ঢাকা শহরে ঘুরে ঘুরে মাঠ খোঁজা হবে। প্রয়োজনে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কথা বলে মাঠ নেওয়া হবে। দরকার হলে সেই মাঠ বাফুফে সংস্কার করে খেলা চালাবে। সেই পরিকল্পনা থেকে একদিন সাংবাদিকদের সামনেই বাফুফের এক সদস্যকে মাঠের দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সালাউদ্দিন। সেই সদস্য নানা রকম সমস্যা দেখিয়ে দায়িত্ব নিতে অপারগতা জানান তত্ক্ষণাত্। তারপর আর এ ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
কাল সালাউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মাঠের ব্যাপারে কিছুই বলতে রাজি হননি তিনি। গত দেড় বছরে বাফুফে কী উদ্যোগ নিয়েছে সে প্রশ্নে শুধু বললেন, ‘কাল (আজ) বলব।’ তবে বাফুফের অন্য কর্মকর্তারা বলছেন, বাফুফের উচিত আরও সক্রিয় হয়ে ঢাকা শহরে মাঠ খুঁজে অচিরেই জুনিয়র ডিভিশন লিগগুলো শুরু করা। নইলে সালাউদ্দিনের লক্ষ্য পূরণ হবে না।
কথা বলার লোক আছে বাফুফেতে, কাজের লোকের অভাব। সালাউদ্দিন একা কী করবেন, সেটাও যুক্তিসংগত প্রশ্ন। তার চেয়ে বড় প্রশ্ন, মাঠ কমিটি নেই কেন? এটা করতে সমস্যা কোথায়? বাফুফের সহসভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ বললেন, ‘বাফুফের মাঠ কমিটি বলে কিছু নেই। এটা হওয়া দরকার অচিরেই। এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা কারণে বেশি দূর এগোনো যায়নি।’
বাফুফের হাতে এখন আছে শুধু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। কমলাপুর স্টেডিয়াম ছয় মাস আগে সংস্কারের জন্য নেওয়া হলেও সেটি কবে নাগাদ পাওয়া যাবে ঠিক নেই। কাজের গতি খুবই ধীর। কাজ দ্রুত করার জন্য বাফুফে চিঠি দিয়েছে এনএসসিকে। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কী কাজ করছে, কী মাটি ফেলছে, এসব কখনো দেখতেও যাননি বাফুফের কর্তারা!
জুনিয়র ডিভিশন লিগগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছে ঢাকা মহানগরী লিগ কমিটি। এই কমিটির সমন্বয়কারী আজফার-উজ জামান সোহরাব এ জন্য বাফুফের দায়টাকে বড় করে দেখছেন, ‘মাঠ নিয়ে বাফুফে কোনো চিন্তাভাবনা করে বলে মনেই হয় না। শুধু এনএসসিকে চিঠি দেয়। এনএসসি সেই চিঠির গুরুত্ব দেয় না। নিচের দিকে সব লিগ বন্ধ হয়ে আছে। ফুটবল এগিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছি আমরা, কিন্তু এভাবে এগোবে? অসম্ভব।’
সাবেক ফুটবলার মোহাম্মদ মহসিনকে একবার মৌখিকভাবে বলা হয়েছিল ঢাকা শহরে মাঠ দেখার জন্য। এর পর কী হয়েছে? কাল মহসিনের কাছে জানতে চাইলে বললেন, ‘আমাকে চিঠি দিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। দায়িত্ব না পেলে তো আর আমি কাজ করতে পারি না।’
গত বছর গাজীপুরে ফেডারেশন কাপ আর নরসিংদীতে বি-লিগের কয়েকটি খেলা চালিয়েছে বি-লিগ কমিটি। চাইলে ঢাকার আশপাশেও মাঠ পাওয়া অসম্ভব কিছু নয়, এটা প্রমাণিত। বাফুফে একটা মাঠ কমিটি করে দিলে তারা নিশ্চয়ই এত দিনে বিকল্প কিছু মাঠ খুঁজে খেলার জন্য তৈরি করতে পারত। ঢাকার বাইরের ক্লাবগুলো ফেডারেশন কাপে খেলতে এসে মাঠ পাচ্ছে না অনুশীলনের জন্য। তাদের অনুশীলনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বাফুফেরই। সেটা দূরে থাক, মাঠ কমিটিই নেই যে ফেডারেশনের, তাদের কাছে ‘মাঠ সমস্যা’ তো প্রকট হয়ে উঠবেই!
No comments