নোবেল না পাওয়া এক ‘নোবেলজয়ী’র গল্প
ভারতের অহিংস আন্দোলনের জনক মহাত্মা গান্ধী নোবেল শান্তি পুরস্কার পাননি। যদিও তিনি পাঁচ-পাঁচবার এ সম্মানজনক পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন, তবে তাঁর অনুসারীরা ঠিকই এ পুরস্কার পেয়েছেন। সর্বশেষ পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এর আগে গান্ধী-দর্শনে বিশ্বাসী মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র, নেলসন ম্যান্ডেলা, অং সান সু চি ও দালাই লামা শান্তিতে নোবেল পান।
প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর রাজনৈতিক জীবনে গান্ধীজির আদর্শ থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজেছেন। কিছুদিন আগে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার সিনেট অফিসে মহাত্মা গান্ধীর একটি ছবি রয়েছে। এই ছবি দেখে আমি সব সময় বলি, ওয়াশিংটন থেকে চূড়ান্ত বিজয় আসবে না, বিজয় আসবে মানুষের কাছ থেকে।’
নোবেল কমিটির ওয়েবসাইটে ‘মহাত্মা গান্ধী: দ্য মিসিং লরিয়েট’ শীর্ষক এক লেখায় বলা হয়েছে, ১৯৩৭, ১৯৩৮, ১৯৩৯, ১৯৪৭ ও ১৯৪৮ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মহাত্মা গান্ধী মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে দেওয়া হয়নি। পরে নোবেল কমিটির অন্য সদস্যরা অবশ্য এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ১৯৮৯ সালে দালাই লামাকে যখন পুরস্কৃত করা হয়, তখন নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বলেছিলেন, ‘মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে দালাই লামাকে এই পুরস্কার দেওয়া হলো।’
গান্ধীর একনিষ্ঠ ভক্ত ত্রিদিব সুরাদ বলেন, কোনো সন্দেহ নেই যে গান্ধীর জীবদ্দশায় নোবেল কমিটি সাম্রাজ্যবাদীদের প্রভাবের কারণে তাঁকে শান্তিতে নোবেল দেয়নি। কারণ, গান্ধী ছিলেন সাম্রাজ্যবাদীদের জন্য হুমকি। তবে বাপুজি নোবেল পুরস্কার না পেলেও বড় নোবেল মানুষের ভালোবাসাপেয়েছিলেন।
১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি মহাত্মা গান্ধী নথুরাম গডসে নামের এক উগ্রপন্থীর গুলিতে নিহত হন। এর দুই দিন পরই ১৯৪৮ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের দিন শেষ হয়। ওই বছর নোবেল কমিটি গান্ধীর পক্ষে ছয়টি চিঠি পেয়েছিল। ১৯৪৮ সালের ১৮ নভেম্বর নোবেল কমিটি ঘোষণা করে, এ বছর শান্তিতে নোবেল দেওয়া হবে না। কারণ, ওই পদকের জন্য যথাযোগ্য কোনো প্রার্থী জীবিত নেই।
প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর রাজনৈতিক জীবনে গান্ধীজির আদর্শ থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজেছেন। কিছুদিন আগে তিনি বলেছিলেন, ‘আমার সিনেট অফিসে মহাত্মা গান্ধীর একটি ছবি রয়েছে। এই ছবি দেখে আমি সব সময় বলি, ওয়াশিংটন থেকে চূড়ান্ত বিজয় আসবে না, বিজয় আসবে মানুষের কাছ থেকে।’
নোবেল কমিটির ওয়েবসাইটে ‘মহাত্মা গান্ধী: দ্য মিসিং লরিয়েট’ শীর্ষক এক লেখায় বলা হয়েছে, ১৯৩৭, ১৯৩৮, ১৯৩৯, ১৯৪৭ ও ১৯৪৮ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মহাত্মা গান্ধী মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে দেওয়া হয়নি। পরে নোবেল কমিটির অন্য সদস্যরা অবশ্য এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ১৯৮৯ সালে দালাই লামাকে যখন পুরস্কৃত করা হয়, তখন নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান বলেছিলেন, ‘মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে দালাই লামাকে এই পুরস্কার দেওয়া হলো।’
গান্ধীর একনিষ্ঠ ভক্ত ত্রিদিব সুরাদ বলেন, কোনো সন্দেহ নেই যে গান্ধীর জীবদ্দশায় নোবেল কমিটি সাম্রাজ্যবাদীদের প্রভাবের কারণে তাঁকে শান্তিতে নোবেল দেয়নি। কারণ, গান্ধী ছিলেন সাম্রাজ্যবাদীদের জন্য হুমকি। তবে বাপুজি নোবেল পুরস্কার না পেলেও বড় নোবেল মানুষের ভালোবাসাপেয়েছিলেন।
১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি মহাত্মা গান্ধী নথুরাম গডসে নামের এক উগ্রপন্থীর গুলিতে নিহত হন। এর দুই দিন পরই ১৯৪৮ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের দিন শেষ হয়। ওই বছর নোবেল কমিটি গান্ধীর পক্ষে ছয়টি চিঠি পেয়েছিল। ১৯৪৮ সালের ১৮ নভেম্বর নোবেল কমিটি ঘোষণা করে, এ বছর শান্তিতে নোবেল দেওয়া হবে না। কারণ, ওই পদকের জন্য যথাযোগ্য কোনো প্রার্থী জীবিত নেই।
No comments