যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে রাজি পিয়ংইয়ং- তিন জাতির বৈঠক শেষে ওয়েন জিয়াবাও
উত্তর কোরিয়া অবস্থান পাল্টাতে শুরু করেছে। দেশটি এখন শুধু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই নয়, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গেও সম্পর্কোন্নয়নে রাজি। এ কথা জানিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও। বেইজিংয়ে তিন জাতির শীর্ষ বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে ফিরিয়ে আনা ও পূর্ব এশীয় প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা বাড়াতে করণীয় ঠিক করতে গতকাল শনিবার বেইজিংয়ে বৈঠক করেন চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও, জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউকি হাতোইয়ামা ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মাইয়ুং।
বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত রাখতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আলোচনার মাধ্যমে আমরা এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই। আমরা সমঝোতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে চাই।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও শান্তি নিশ্চিত করতে ছয় জাতির আলোচনা ফের শিগগির শুরু করার চেষ্টা চালানো হবে।
ওয়েন জিয়াবাও গত সপ্তাহের রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া সফর করেন। তিনি গতকাল বলেন, পিয়ংইয়ং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে রাজি। সেই সঙ্গে জাপান ও প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গেও দূরত্ব ঘোচাতে চায়। তিনি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে বিরত রাখার এখনই সময়। এই সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেলে আবারও আমাদের গলদঘর্ম হতে হবে। সব চেষ্টাই বৃথা যাবে।’
বৈঠকে তিন নেতা আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অবস্থা আরও উন্নত করার লক্ষ্যে যৌথভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তাঁরা এমনকি ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন’ ধরনের ব্লক গড়ে তোলারও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। চলমান বৈশ্বিক মন্দা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্যান্য সমস্যা মোকাবিলায় চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথভাবে উদ্যোগ নেওয়ারও শপথ নেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, পূর্ব এশিয়ার এই তিন দেশই দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নে দৃঢ়প্রত্যয়ী।
উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা দেওয়া হবে কি না, এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, এশিয়ার এই তিন দেশের শক্তিশালী জোট উত্তর কোরিয়াকে ছয় জাতির আলোচনা টেবিলে ফিরিয়ে আনতে চাপ সৃষ্টি করবে।
গত মে মাসে উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্রের ও দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পর কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর পর যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে পিয়ংইয়ং। তারা দাবি করে আসছিল, ছয় জাতির আলোচনায় নয়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় রাজি। তবে দেশটি অবশেষে ছয় জাতির সঙ্গে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আভাস দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে ফিরিয়ে আনা ও পূর্ব এশীয় প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা বাড়াতে করণীয় ঠিক করতে গতকাল শনিবার বেইজিংয়ে বৈঠক করেন চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও, জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইউকি হাতোইয়ামা ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মাইয়ুং।
বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত রাখতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আলোচনার মাধ্যমে আমরা এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই। আমরা সমঝোতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ উপায়ে পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে চাই।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও শান্তি নিশ্চিত করতে ছয় জাতির আলোচনা ফের শিগগির শুরু করার চেষ্টা চালানো হবে।
ওয়েন জিয়াবাও গত সপ্তাহের রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া সফর করেন। তিনি গতকাল বলেন, পিয়ংইয়ং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে রাজি। সেই সঙ্গে জাপান ও প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গেও দূরত্ব ঘোচাতে চায়। তিনি বলেন, ‘উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে বিরত রাখার এখনই সময়। এই সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেলে আবারও আমাদের গলদঘর্ম হতে হবে। সব চেষ্টাই বৃথা যাবে।’
বৈঠকে তিন নেতা আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অবস্থা আরও উন্নত করার লক্ষ্যে যৌথভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তাঁরা এমনকি ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন’ ধরনের ব্লক গড়ে তোলারও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। চলমান বৈশ্বিক মন্দা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ অন্যান্য সমস্যা মোকাবিলায় চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথভাবে উদ্যোগ নেওয়ারও শপথ নেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, পূর্ব এশিয়ার এই তিন দেশই দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নে দৃঢ়প্রত্যয়ী।
উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা দেওয়া হবে কি না, এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, এশিয়ার এই তিন দেশের শক্তিশালী জোট উত্তর কোরিয়াকে ছয় জাতির আলোচনা টেবিলে ফিরিয়ে আনতে চাপ সৃষ্টি করবে।
গত মে মাসে উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্রের ও দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পর কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর পর যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে পিয়ংইয়ং। তারা দাবি করে আসছিল, ছয় জাতির আলোচনায় নয়, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় রাজি। তবে দেশটি অবশেষে ছয় জাতির সঙ্গে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আভাস দিয়েছে।
No comments