দলের লোকের কাছে দেশের লোকের হার - সার বিতরণে ‘অসারপনা’
সার পাওয়ার নিশ্চয়তা অসার হতে বসেছে ডিলার নিয়োগে দলবাজিতে। বোরো মৌসুম আসতে আর ২০-২১ দিন বাকি, অথচ এখনো সাব-ডিলার নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি। আবার সেই নিয়োগের টিকচিহ্ন পাচ্ছেন তাঁরাই, যাঁরা দলের লোক। দলের লোকের কাছে দেশের লোকের হার যেন শেষ হওয়ার নয়।
পাঁচ হাজার পাইকারি ডিলারের পরের স্তরে নিয়োজিত হচ্ছেন ৪০ হাজার ১৯৪ জন সাব-ডিলার তথা খুচরা বিক্রেতা। এ নিয়োগ শেষ হওয়ার কথা ৩০ সেপ্টেম্বর। এখন করা হয়েছে ১৫ অক্টোবর। দায়িত্বটি জেলা প্রশাসকের, কিন্তু স্থানীয় সাংসদেরা বানাচ্ছেন তালিকা, দিচ্ছেন চাপ। প্রথমে ইউনিয়নপ্রতি পাঁচজন করে ঠিক হয়েছিল। এখন সেটা সাত থেকে নয়জনে উঠি-উঠি করছে। বেশি বিক্রেতা মানে যেমন বেশি সহজলভ্যতা, তেমনি বিক্রেতার সংখ্যা বাড়লে সুবিধাভোগীর সংখ্যাও বাড়ে। এবং তাঁরা যে সরকারি দলেরই লোক, তা জানাচ্ছে বৃহস্পতিবারের প্রথম আলো। এভাবে পাকে-চক্রে সাব-ডিলার নিয়োগ পেছাচ্ছে ও ফন্দিবাজির ফিকির পাচ্ছে।
কৃষকের চাহিদা নয়, চারা রোপণের মৌসুম ধরা নয়, ঝোঁকটি যেন সরকারি দলের কর্মীদের আর্থিক সুবিধা দেওয়ার দিকে। আগেও হয়েছে, এখনো হচ্ছে। যেখানে দলবাজদের আর্থিক লাভ, সেখানে জনগণের সার্বিক ক্ষতি। দলীয় ক্যাডারদের ‘চাঁদাবাজি’, ‘টেন্ডারবাজি’র প্রকোপ বাড়ার পর এসেছে চাল সংগ্রহে ‘চালবাজি’। সার নিয়ে ‘অসারপনা’ কি এরই নতুন সংযোজন?
শিল্পমন্ত্রী বলেছেন সারের অভাব নেই (৮ অক্টোবর, প্রথম আলো)। এ ধরনের আশ্বাস সরকারের তরফ থেকে সব সময়ই দেওয়া হয়, কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখেছি যে সরবরাহ নির্বিঘ্ন হয়নি। সার থাকলেই হবে না, কৃষক পর্যায়ে তা সঠিক সময়ে ও দরকারমতো পৌঁছাতে হবে। তার জন্য ডিলার ও সাব-ডিলার নিয়োগ হতে হবে স্বচ্ছ ও কার্যকর। আগে ডিলারের পাশাপাশি খুচরা বিক্রেতারা হাটবাজারে কিংবা বাস ও রেলস্টেশনেও সার বিক্রি করতেন। কৃষকেরা তাঁদের কাছ থেকে বাকিতেও সার নিতে পারতেন। বর্তমান ব্যবস্থায় এসব খুচরা বিক্রেতার স্থান নেই। সারের মজুদ ও বিতরণের সমস্যা চিহ্নিত করায় সরকার-নিযুক্ত তদারকি কমিটি আছে। তাদের সর্বাত্মক তত্পরতা ও নজরদারিতে এবার সুরাহা হোক। কাজির গরু কেতাবে আছে, গোয়ালে নেই; এমন পরিহাস আর কাম্য নয়।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সার নিয়ে ‘অসারপনা’ চরমে ওঠে। এমনকি এ নিয়ে কৃষকের প্রাণ দেওয়ার মতো মর্মান্তিক ঘটনাও ঘটেছে। বিষয়টি স্বতন্ত্র গুরুত্বের দাবিদার। কারণ এখনো দেশ কৃষিভিত্তিক এবং আগের খাদ্যসংকটের ধাক্কার পাশাপাশি নতুন সংকটের আশঙ্কা জাগ্রত। কৃষক ও কৃষিকে অগ্রাধিকার না দিলে তার ক্ষতি হবে বহুমাত্রিক।
রাজনীতি আয়করি পেশা হওয়ার কথা নয়, কিন্তু লাইসেন্স-পারমিট-টেন্ডারের মতো আয়করি কাজে রাজনীতির কর্তা-কর্ম-কারকদেরই প্রথম সারিতে দেখা যায়। যাঁদের জনসেবা করার কথা, তাঁরা যখন আত্মসেবায় নিয়োজিত হয়ে যান, তখন না থাকে রাজনীতি, না হয় জনসেবা। সার বিতরণে এই রোগ যেহেতু প্রকট, নিরাময় তাই ততই জরুরি।
পাঁচ হাজার পাইকারি ডিলারের পরের স্তরে নিয়োজিত হচ্ছেন ৪০ হাজার ১৯৪ জন সাব-ডিলার তথা খুচরা বিক্রেতা। এ নিয়োগ শেষ হওয়ার কথা ৩০ সেপ্টেম্বর। এখন করা হয়েছে ১৫ অক্টোবর। দায়িত্বটি জেলা প্রশাসকের, কিন্তু স্থানীয় সাংসদেরা বানাচ্ছেন তালিকা, দিচ্ছেন চাপ। প্রথমে ইউনিয়নপ্রতি পাঁচজন করে ঠিক হয়েছিল। এখন সেটা সাত থেকে নয়জনে উঠি-উঠি করছে। বেশি বিক্রেতা মানে যেমন বেশি সহজলভ্যতা, তেমনি বিক্রেতার সংখ্যা বাড়লে সুবিধাভোগীর সংখ্যাও বাড়ে। এবং তাঁরা যে সরকারি দলেরই লোক, তা জানাচ্ছে বৃহস্পতিবারের প্রথম আলো। এভাবে পাকে-চক্রে সাব-ডিলার নিয়োগ পেছাচ্ছে ও ফন্দিবাজির ফিকির পাচ্ছে।
কৃষকের চাহিদা নয়, চারা রোপণের মৌসুম ধরা নয়, ঝোঁকটি যেন সরকারি দলের কর্মীদের আর্থিক সুবিধা দেওয়ার দিকে। আগেও হয়েছে, এখনো হচ্ছে। যেখানে দলবাজদের আর্থিক লাভ, সেখানে জনগণের সার্বিক ক্ষতি। দলীয় ক্যাডারদের ‘চাঁদাবাজি’, ‘টেন্ডারবাজি’র প্রকোপ বাড়ার পর এসেছে চাল সংগ্রহে ‘চালবাজি’। সার নিয়ে ‘অসারপনা’ কি এরই নতুন সংযোজন?
শিল্পমন্ত্রী বলেছেন সারের অভাব নেই (৮ অক্টোবর, প্রথম আলো)। এ ধরনের আশ্বাস সরকারের তরফ থেকে সব সময়ই দেওয়া হয়, কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখেছি যে সরবরাহ নির্বিঘ্ন হয়নি। সার থাকলেই হবে না, কৃষক পর্যায়ে তা সঠিক সময়ে ও দরকারমতো পৌঁছাতে হবে। তার জন্য ডিলার ও সাব-ডিলার নিয়োগ হতে হবে স্বচ্ছ ও কার্যকর। আগে ডিলারের পাশাপাশি খুচরা বিক্রেতারা হাটবাজারে কিংবা বাস ও রেলস্টেশনেও সার বিক্রি করতেন। কৃষকেরা তাঁদের কাছ থেকে বাকিতেও সার নিতে পারতেন। বর্তমান ব্যবস্থায় এসব খুচরা বিক্রেতার স্থান নেই। সারের মজুদ ও বিতরণের সমস্যা চিহ্নিত করায় সরকার-নিযুক্ত তদারকি কমিটি আছে। তাদের সর্বাত্মক তত্পরতা ও নজরদারিতে এবার সুরাহা হোক। কাজির গরু কেতাবে আছে, গোয়ালে নেই; এমন পরিহাস আর কাম্য নয়।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে সার নিয়ে ‘অসারপনা’ চরমে ওঠে। এমনকি এ নিয়ে কৃষকের প্রাণ দেওয়ার মতো মর্মান্তিক ঘটনাও ঘটেছে। বিষয়টি স্বতন্ত্র গুরুত্বের দাবিদার। কারণ এখনো দেশ কৃষিভিত্তিক এবং আগের খাদ্যসংকটের ধাক্কার পাশাপাশি নতুন সংকটের আশঙ্কা জাগ্রত। কৃষক ও কৃষিকে অগ্রাধিকার না দিলে তার ক্ষতি হবে বহুমাত্রিক।
রাজনীতি আয়করি পেশা হওয়ার কথা নয়, কিন্তু লাইসেন্স-পারমিট-টেন্ডারের মতো আয়করি কাজে রাজনীতির কর্তা-কর্ম-কারকদেরই প্রথম সারিতে দেখা যায়। যাঁদের জনসেবা করার কথা, তাঁরা যখন আত্মসেবায় নিয়োজিত হয়ে যান, তখন না থাকে রাজনীতি, না হয় জনসেবা। সার বিতরণে এই রোগ যেহেতু প্রকট, নিরাময় তাই ততই জরুরি।
No comments