ক্রেতার অভাবে পাটের দাম পড়ে গেছে by সফি খান,
কুড়িগ্রামে কৃষকদের ঘরে ঘরে প্রচুর পরিমাণ পাট পড়ে আছে। বাজারে দাম ও ক্রেতা কম থাকায় কৃষকেরা কাঙ্ক্ষিত দামে পাট বিক্রি করতে পারছেন না। মৌসুমের শুরুতে মানভেদে প্রতি মণ পাট এক হাজার ৩০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন তা কমে এক হাজার ১০০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় নেমে এসেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, কুড়িগ্রাম জেলায় লাইসেন্সধারী পাটের ফড়িয়া-মহাজন রয়েছে ৮৫২ জন। এর মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন মহাজন দাম বাড়ার আশায় কম দামের সুযোগে পাট কিনছেন।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বড় মোকামগুলোয় পাটের চাহিদা না থাকায় স্থানীয় মহাজনদের অধিকাংশই পাট কিনছেন না।
পাট ব্যবসায়ী বাবলা ব্যানার্জি ও জিয়াউল হক প্রথম আলোকে জানান, বিভিন্ন জুট মিলের কাছে জেলার শতাধিক ফড়িয়া-মহাজনের প্রায় দুই কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। এই পাওনা টাকার জন্য বহু তদবির করেও কাজ হয়নি। যে কারণে তাঁরা এখন পাট কিনতে পারছেন না।
এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, চারটি পাটকল কুড়িগ্রাম জেলা শহর, ভূরুঙ্গামারী ও উলিপুরে ক্রয়কেন্দ্র খুলে বাকিতে পাট কিনতে চাইছে। এতে স্থানীয় মহাজন-ফড়িয়ারা সাড়া দিচ্ছেন না। এ ছাড়া অন্যান্য বছর বেড়া, খুলনা, সরিষাবাড়ী, পাবনা, কাশীনাথপুর, দৌলতপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে বড় ব্যবসায়ীরা পাট কিনতে কুড়িগ্রাম এলেও এবার আসেননি।
এ অবস্থায় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী সম্প্রতি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সফরকালে বিভিন্ন জুট মিলের কাছে ফড়িয়া-মহাজনদের পাওনা টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামে এবার ১৬ হাজার ৭২৭ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। উত্পাদন হয়েছে প্রায় সাড়ে আট লাখ মণ পাট।
পাওয়া হিসাবে দেখা গেছে, কুড়িগ্রামের ক্রিসেন্ট জুট মিলস ১৩ হাজার মণ, প্লাটিনাম জুবলী জুট মিলস ৫০০ মণ, উলিপুরের ইস্টার্ন জুট মিলস চার হাজার মণ এবং ভূরুঙ্গামারী লতিফ বাওয়ানী জুট মিলস ১২ হাজার মণ পাট বাকিতে কিনেছে। এ ছাড়া ফড়িয়া-মহাজনেরা দুই লাখ মণ পাট কিনেছে। এতে অন্তত ছয় লাখ মণেরও বেশি পাট এখন চাষিদের ঘরে পড়ে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের মুখ্য পাট পরিদর্শকের কার্যালয় সূত্র জানায়, স্থানীয় ফড়িয়া-মহাজনদের লতিফ বাওয়ানী জুট মিলসের কাছে প্রায় ৭৬ লাখ টাকা, আদমজী জুট মিলসের কাছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা, পিপলস জুট মিলসের কাছে ১৯ লাখ টাকা, প্লাটিনাম জুবলী জুট মিলসের কাছে ২২ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন জুট মিলের কাছে প্রায় দুই কোটি টাকা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া পড়ে আছে।
এ প্রসঙ্গে মুখ্য পাট পরিদর্শক আবদুল কাদের সরকার প্রথম আলোকে বলেন, মৌসুমের শুরুতে পাটের বাজার কিছুটা চাঙা থাকলেও এখন চাষিরা ক্রেতার অভাবে পাট বিক্রি করতে পারছেন না। এ জন্য ক্রয়কেন্দ্রগুলোতে নগদ টাকায় পাট কেনার পাশাপাশি ফড়িয়া-মহাজনদের পাওনা পরিশোধ করাও জরুরি হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, কুড়িগ্রাম জেলায় লাইসেন্সধারী পাটের ফড়িয়া-মহাজন রয়েছে ৮৫২ জন। এর মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন মহাজন দাম বাড়ার আশায় কম দামের সুযোগে পাট কিনছেন।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বড় মোকামগুলোয় পাটের চাহিদা না থাকায় স্থানীয় মহাজনদের অধিকাংশই পাট কিনছেন না।
পাট ব্যবসায়ী বাবলা ব্যানার্জি ও জিয়াউল হক প্রথম আলোকে জানান, বিভিন্ন জুট মিলের কাছে জেলার শতাধিক ফড়িয়া-মহাজনের প্রায় দুই কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। এই পাওনা টাকার জন্য বহু তদবির করেও কাজ হয়নি। যে কারণে তাঁরা এখন পাট কিনতে পারছেন না।
এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, চারটি পাটকল কুড়িগ্রাম জেলা শহর, ভূরুঙ্গামারী ও উলিপুরে ক্রয়কেন্দ্র খুলে বাকিতে পাট কিনতে চাইছে। এতে স্থানীয় মহাজন-ফড়িয়ারা সাড়া দিচ্ছেন না। এ ছাড়া অন্যান্য বছর বেড়া, খুলনা, সরিষাবাড়ী, পাবনা, কাশীনাথপুর, দৌলতপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে বড় ব্যবসায়ীরা পাট কিনতে কুড়িগ্রাম এলেও এবার আসেননি।
এ অবস্থায় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী সম্প্রতি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলা সফরকালে বিভিন্ন জুট মিলের কাছে ফড়িয়া-মহাজনদের পাওনা টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রামে এবার ১৬ হাজার ৭২৭ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। উত্পাদন হয়েছে প্রায় সাড়ে আট লাখ মণ পাট।
পাওয়া হিসাবে দেখা গেছে, কুড়িগ্রামের ক্রিসেন্ট জুট মিলস ১৩ হাজার মণ, প্লাটিনাম জুবলী জুট মিলস ৫০০ মণ, উলিপুরের ইস্টার্ন জুট মিলস চার হাজার মণ এবং ভূরুঙ্গামারী লতিফ বাওয়ানী জুট মিলস ১২ হাজার মণ পাট বাকিতে কিনেছে। এ ছাড়া ফড়িয়া-মহাজনেরা দুই লাখ মণ পাট কিনেছে। এতে অন্তত ছয় লাখ মণেরও বেশি পাট এখন চাষিদের ঘরে পড়ে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের মুখ্য পাট পরিদর্শকের কার্যালয় সূত্র জানায়, স্থানীয় ফড়িয়া-মহাজনদের লতিফ বাওয়ানী জুট মিলসের কাছে প্রায় ৭৬ লাখ টাকা, আদমজী জুট মিলসের কাছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা, পিপলস জুট মিলসের কাছে ১৯ লাখ টাকা, প্লাটিনাম জুবলী জুট মিলসের কাছে ২২ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন জুট মিলের কাছে প্রায় দুই কোটি টাকা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া পড়ে আছে।
এ প্রসঙ্গে মুখ্য পাট পরিদর্শক আবদুল কাদের সরকার প্রথম আলোকে বলেন, মৌসুমের শুরুতে পাটের বাজার কিছুটা চাঙা থাকলেও এখন চাষিরা ক্রেতার অভাবে পাট বিক্রি করতে পারছেন না। এ জন্য ক্রয়কেন্দ্রগুলোতে নগদ টাকায় পাট কেনার পাশাপাশি ফড়িয়া-মহাজনদের পাওনা পরিশোধ করাও জরুরি হয়ে পড়েছে।
No comments