দুই মাসে এডিপির মাত্র ৪ শতাংশ বাস্তবায়িত
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে সরকার কোনো গতি আনতে পারেনি। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে মোট বরাদ্দের মাত্র ৪ শতাংশ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়কালে এডিপি বাবদ এক হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
অবশ্য গত অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় করা হয়েছিল এক হাজার ৬৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে এডিপির টাকা খরচ বাড়লেও প্রকৃতপক্ষে তা অপরিবর্তিত রয়েছে। কারণ, ২০০৮-০৯ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসেও এডিপির মোট বরাদ্দের ৪ শতাংশ ব্যয় হয়েছিল।
অবশ্য চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে এডিপি বরাদ্দের ১৯ শতাংশ অর্থ ছাড় করা হয়েছে, যার পরিমাণ তিন হাজার ২৯৩ কোটি টাকা।
চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের জন্য এডিপির মোট বরাদ্দ ৩০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ প্রসঙ্গে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, ‘আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন হার আশাব্যঞ্জক নয়।...আমি নিশ্চিত যে, পরিবীক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করা হলে বাস্তবায়ন হার আরও বৃদ্ধি পেত। প্রস্তাবিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি যথেষ্ট উচ্চাভিলাষী হলেও আমরা মনে করি যথাযথ পরিবীক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে তা বাস্তবায়ন করতে পারব।’
বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, অর্থবছরের প্রথম দিকে এডিপি বাস্তবায়নের হার গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। ২০০৬-০৭ ও ২০০৭-০৮ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল যথাক্রমে ৪ শতাংশ ও ৩ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বিশ্বমন্দা মোকাবিলায় অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছিলেন। আর অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়াতে সরকারের ব্যয় বাড়ানোর বিষয়টি অনিবার্যভাবে চলে আসে।
বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সরকার ব্যয় বাড়ানো তো দূরের কথা ঠিকমতো অর্থ ব্যয় করতে পারছে না। ফলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকার কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, দুই মাসে মাত্র ২৮টি প্রকল্পের পেছনে ছাড়কৃত অর্থ থেকে ব্যয় শুরু হয়েছে। তবে কোনো প্রকল্পই শেষ হয়নি।
চলতি অর্থবছর এডিপিতে মোট ৮৮৯টি উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে নতুন প্রকল্পের সংখ্যা ৩৫।
আর গত অর্থবছরে মোট উন্নয়ন প্রকল্পের সংখ্যা ছিল ৯০৪টি, যার মধ্যে আবার নতুন প্রকল্প ছিল ১০৪টি।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯-১০ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়কালে এডিপি বাবদ এক হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
অবশ্য গত অর্থবছরের একই সময়ে ব্যয় করা হয়েছিল এক হাজার ৬৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে এডিপির টাকা খরচ বাড়লেও প্রকৃতপক্ষে তা অপরিবর্তিত রয়েছে। কারণ, ২০০৮-০৯ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসেও এডিপির মোট বরাদ্দের ৪ শতাংশ ব্যয় হয়েছিল।
অবশ্য চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে এডিপি বরাদ্দের ১৯ শতাংশ অর্থ ছাড় করা হয়েছে, যার পরিমাণ তিন হাজার ২৯৩ কোটি টাকা।
চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের জন্য এডিপির মোট বরাদ্দ ৩০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ প্রসঙ্গে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছিলেন, ‘আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন হার আশাব্যঞ্জক নয়।...আমি নিশ্চিত যে, পরিবীক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করা হলে বাস্তবায়ন হার আরও বৃদ্ধি পেত। প্রস্তাবিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি যথেষ্ট উচ্চাভিলাষী হলেও আমরা মনে করি যথাযথ পরিবীক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে তা বাস্তবায়ন করতে পারব।’
বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, অর্থবছরের প্রথম দিকে এডিপি বাস্তবায়নের হার গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। ২০০৬-০৭ ও ২০০৭-০৮ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল যথাক্রমে ৪ শতাংশ ও ৩ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বিশ্বমন্দা মোকাবিলায় অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছিলেন। আর অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়াতে সরকারের ব্যয় বাড়ানোর বিষয়টি অনিবার্যভাবে চলে আসে।
বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সরকার ব্যয় বাড়ানো তো দূরের কথা ঠিকমতো অর্থ ব্যয় করতে পারছে না। ফলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকার কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, দুই মাসে মাত্র ২৮টি প্রকল্পের পেছনে ছাড়কৃত অর্থ থেকে ব্যয় শুরু হয়েছে। তবে কোনো প্রকল্পই শেষ হয়নি।
চলতি অর্থবছর এডিপিতে মোট ৮৮৯টি উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে নতুন প্রকল্পের সংখ্যা ৩৫।
আর গত অর্থবছরে মোট উন্নয়ন প্রকল্পের সংখ্যা ছিল ৯০৪টি, যার মধ্যে আবার নতুন প্রকল্প ছিল ১০৪টি।
No comments