হাকালুকি হাওরের গরু-মহিষের বাথান by ইমাদ উদ দীন
শুষ্ক মৌসুমে হাওরের ঐতিহ্য বাথান। হাকালুকি হাওরের বিশাল এলাকায় গড়ে উঠে একাধিক বাথান বা রাখালি ব্যবসা। ওই সময় মাছ আর পরিযায়ী পাখির সঙ্গে দেখা মেলে গরু-মহিষেরও। একদল লোক হাওরজুড়ে চরায় হাজার হাজার গরু ও মহিষের দল। সবুজ ঘাসের রাজ্যে তাদের নিরাপদ খাদ্য ও বাসস্থান। এমন দৃশ্য যেন গ্রামবাংলার এক অন্যরকম রূপ। খাদ্য সংকটের এসময়টায় গরু-মহিষ ওইসব বাথানে দিয়ে অনেকটা নিরাপদ হন মালিকরা।
নানা সংকট ও সমস্যায় এই রেওয়াজি ঐতিহ্য এখনো ধরে রাখার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন হাওর পাড়ের বাসিন্দারা। কিন্তু নানা কারণে দুর্দশায় পড়েছে হাওরের চিরচেনা এই ঐতিহ্য। এমনটি অভিযোগ স্থানীয় বাথান আয়োজকদের।
জানা গেল রাখালির টাকা, দুধ আর গোবর সংগ্রহে জমে উঠে বাথান ব্যবসা। হাওরের বুকে শুষ্ক মৌসুমের উৎকৃষ্ট সেবামূলক ব্যবসা এটি। পুঁজিহীন কায়িক পরিশ্রমের অনেকটাই লাভজনক এই ব্যবসার নামই বাথান। শুষ্ক মৌসুমে হাওর অঞ্চলের এই বাথান বা রাখালি ব্যবসার সুনাম কিংবা কদর রয়েছে গো-মহিষের মালিকদের কাছে। সংশ্লিষ্টরা জানালেন এখন পুরো হাকালুকি হাওরে ছোট বড় মিলে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক বাথান। যাতে আশ্রয় হয়েছে কয়েক হাজার দেশীয় জাতের গরু ও মহিষের। দেশের বিখ্যাত হাকালুকি হাওরে এখন ঠাঁই নিয়েছে অতিথি পাখি আর গরু ও মহিষ।
খাদ্য সংকটে থাকা এসকল ক্ষণস্থায়ী অতিথিরা জীবনের তাগিদে হাওরে ঠাঁই নেওয়ায় বেড়েছে হাওরের সৌন্দর্য। একেক বাতানে জমায়েত গরু কিংবা মহিষ একশ কিংবা ২০০ মালিকের। হাওরের বুকে ঠাঁই নিয়েছে বিভিন্ন এলাকার নানা রং ও আকৃতির গরু কিংবা মহিষ। খাদ্য সংকট এলাকার এসকল গরু ও মহিষের ৪ থেকে ৫ মাস ওখানেই হয় নিরাপদ আশ্রয়। হাওরের সবুজ ঘাস খেয়েই তারা হৃষ্ট পুষ্ট হবে। ৪০০-৫০০ কিংবা তারো অধিক গরু কিংবা মহিষ বিশাল দলের দেখভাল করছেন ১০-১৫ জন লোক। কেউবা দুধ দোহন করেন কেউবা রাখালি করছেন আর কেউ কেউ পানি খাওয়াচ্ছেন বা তাদের গোসল দিচ্ছেন। হঠাৎ এক সঙ্গে এতসব গরু মহিষ অবাক করে যে কাউকে। প্রশ্নও জাগে এতগুলো গরু মহিষ দেখভাল করেন কিভাবে। আর কার দেওয়া কোনো গরু কিংবা মহিষ কোনটি তা চিনেন কিভাবে। সব কৌতূহল নিবারণ হয় পাশ থেকে তাদের কাজ দেখলে। এ কাজে অভ্যস্থ মানুষগুলো শৃঙ্খলিতভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত রাত দিন।
বিস্তৃত হাকালুকি হাওর এখন শুধু সবুজ ঘাসের মাঠে গরু আর মহিষের অবাধ বিচরণ। হাওরজুড়ে ২৩৮ বিলের অনেক বিলেই এখন নেই পানি। হাওরের মাঝখান অনেকটা মরুভূমির মতো। বিলের পাড়গুলোতে সবুজ ঘাস জীবন বাচ্চাছে গরু-মহিষদের। এখন ভর শুস্ক মৌসুম তাই হাওর ছাড়া অন্য এলাকায় গুরু মহিষের খাদ্য সংকট। এমনিতে এসময়টায় হাল চাষ না থাকায় অনেকটা কাজ ছাড়াই অলস সময় কাঠে চাষিদের গরু মহিষের। একদিকে কাজ নেই অন্যদিকে গো-মহিষের খাদ্য সংকট। সব মিলে গো-মহিষের খাদ্যের দুঃসময় চলছে এখন। বর্ষা মৌসুম শুরু না হলে নতুন ঘাসও গজাবে না। হাওর এলাকা ছাড়া অন্য (উজান) এলাকাতে পানি অভাবে আগের ঘাসগুলোও মরে গেছে। তাই এলাকার গো-মহিষের মালিকরা আগের জমিয়ে রাখা আউশ কিংবা আমন ধানের শুকনো খড়কুট খাইয়ে কোনোরকম ওদের প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন। এমন খাদ্যহীনতায় আর এই দুর্যোগপূর্ণ সময় কাঠিয়ে উঠতে মালিকদের তাই বিকল্প চিন্তা। আর এনিয়ে চিন্তিত মালিকদের গো-মহিষের খাদ্যসংকট দূর করে তাদের বাঁচিয়ে রাখতে হাওর এলাকায় খোলা হয়ে অভিনব এই রাখালি ব্যবসা।
পন্থাটা অনেক পুরনো হলেও এখনো নতুনের মতো করে এ ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রেখেছেন স্থানীয় কিছু মানুষ। গতকাল হাকালুকি হাওরের নাগুয়া, হাওর খাল ও চৌকিয়া বিল এলাকায় কথা হয় বাথান মালিক কামলা মিয়া, সাইফ মিয়া, মন্তাজ উল্লাহ, নানু মিয়া, আনজিব মিয়া, ফারুক মিয়াসহ অনেকের সঙ্গে। তারা জানালেন বাথান ব্যবসার আদ্যোপান্ত। তারা কয়েকজন মিলে আলাদাভাবে গরু ও মহিষের বাথান করেছেন। তারা ৫ জন প্রায় সাড়ে ছয় শতাধিক গরু-মহিষের দেখভাল করছেন। অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাসে এসব গরু-মহিষের মালিকরা তাদের গরু-মহিষ দেখভাল করা জন্য তাদের কাছে রেখে যান আর বৈশাখ মাসে নিতে আসেন। তারা জানালেন টাকা-পয়সার জন্য নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম না থাকলেও এটা অনেকটা আন্তরিকতা বিবেক থেকেই চলে।
প্রতিটি গরু কিংবা মহিষ তাদের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় মালিকরা খুশি হয়ে ৫০০ থেকে হাজার পনের শত টাকা দিয়ে যান এ নিয়ে নির্দিষ্ট করে চাওয়া পাওয়া নেই তাদের। আর দুধের গাভী (মহিষ কিংবা গরু) থাকলে মালিকরা টাকা দেনওনা আর তারাও চাননা। মূলত তাদের ব্যবসা হলো প্রতিদিনের দুধ ও গোবর। একেকটি বাথান থেকে কয়েক শ’ লিটার দুধ পাওয়া য়ায় এদিয়েই তাদের বাথান ব্যবসার মূল আয়। দুধ আর গোবর বিক্রি করে প্রতিদিনই নগদ আয় হয়। দুধের পাইকাররা তাদের বাথান থেকেই দুধ কিনে নেন। এছাড়া মালিকরা তাদের গরু মহিষ নেওয়ার সময় দিয়ে যান নগদ টাকা। সব মিলিয়ে প্রতিদিনের খরচ পরে বাথান শেষ হলে লাখ টাকার উপরে তাদের ভাগে ঠিকে। খাওয়া দাওয়া আর ঘুমানোর কষ্ট ছাড়া অন্য কোনো সমস্যা না থাকলেও পানি সংকট প্রকট। গরু মহিষের গোসল আর পানি খাওয়াতে তাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। যে সকল বিলে পানি আছে সেগুলো ইজারা নেওয়া।
এসব বিল থেকে পানি নিতে বাধা দেন ইজারাদাররা। যে সমস্যাটি কয়েক বছর আগে খুব কম ছিল এখন তা বড় সমস্যা হয়ে তাদের দুর্ভোগে ফেলেছে। গরু মহিষের নানা রোগবালাইয়ে হাওর এলাকায় ডাক্তার পাওয়া কষ্টকর। স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগের লোকজনকে ডাকলেও তারা হাওর আসতে চান না। রোগাক্রান্ত হয়ে অনেক গরু মহিষ মারা যায় সঠিক চিকিৎসার অভাবে। তাছাড়া নাব্যহ্রাসে এখন হাওরেরও বেহাল। এখন নানা কারণে অস্থিত সংকটে হাকালুকি হাওর। তাই আগের মতো নেই বাথান বা রাখালি ব্যবসা। আর এমন সংকটে পড়ে অনেকটাই কমে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির গরু মহিষের লালন পালন। তাদের দাবি এই হাওরের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সরকার উদ্যোগী হলে বাথান ব্যবসাসহ ঠিকবে সকল উদ্ভিদ ও জলজ প্রাণীর ঐতিহ্য।
নানা সংকট ও সমস্যায় এই রেওয়াজি ঐতিহ্য এখনো ধরে রাখার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন হাওর পাড়ের বাসিন্দারা। কিন্তু নানা কারণে দুর্দশায় পড়েছে হাওরের চিরচেনা এই ঐতিহ্য। এমনটি অভিযোগ স্থানীয় বাথান আয়োজকদের।
জানা গেল রাখালির টাকা, দুধ আর গোবর সংগ্রহে জমে উঠে বাথান ব্যবসা। হাওরের বুকে শুষ্ক মৌসুমের উৎকৃষ্ট সেবামূলক ব্যবসা এটি। পুঁজিহীন কায়িক পরিশ্রমের অনেকটাই লাভজনক এই ব্যবসার নামই বাথান। শুষ্ক মৌসুমে হাওর অঞ্চলের এই বাথান বা রাখালি ব্যবসার সুনাম কিংবা কদর রয়েছে গো-মহিষের মালিকদের কাছে। সংশ্লিষ্টরা জানালেন এখন পুরো হাকালুকি হাওরে ছোট বড় মিলে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক বাথান। যাতে আশ্রয় হয়েছে কয়েক হাজার দেশীয় জাতের গরু ও মহিষের। দেশের বিখ্যাত হাকালুকি হাওরে এখন ঠাঁই নিয়েছে অতিথি পাখি আর গরু ও মহিষ।
খাদ্য সংকটে থাকা এসকল ক্ষণস্থায়ী অতিথিরা জীবনের তাগিদে হাওরে ঠাঁই নেওয়ায় বেড়েছে হাওরের সৌন্দর্য। একেক বাতানে জমায়েত গরু কিংবা মহিষ একশ কিংবা ২০০ মালিকের। হাওরের বুকে ঠাঁই নিয়েছে বিভিন্ন এলাকার নানা রং ও আকৃতির গরু কিংবা মহিষ। খাদ্য সংকট এলাকার এসকল গরু ও মহিষের ৪ থেকে ৫ মাস ওখানেই হয় নিরাপদ আশ্রয়। হাওরের সবুজ ঘাস খেয়েই তারা হৃষ্ট পুষ্ট হবে। ৪০০-৫০০ কিংবা তারো অধিক গরু কিংবা মহিষ বিশাল দলের দেখভাল করছেন ১০-১৫ জন লোক। কেউবা দুধ দোহন করেন কেউবা রাখালি করছেন আর কেউ কেউ পানি খাওয়াচ্ছেন বা তাদের গোসল দিচ্ছেন। হঠাৎ এক সঙ্গে এতসব গরু মহিষ অবাক করে যে কাউকে। প্রশ্নও জাগে এতগুলো গরু মহিষ দেখভাল করেন কিভাবে। আর কার দেওয়া কোনো গরু কিংবা মহিষ কোনটি তা চিনেন কিভাবে। সব কৌতূহল নিবারণ হয় পাশ থেকে তাদের কাজ দেখলে। এ কাজে অভ্যস্থ মানুষগুলো শৃঙ্খলিতভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত রাত দিন।
বিস্তৃত হাকালুকি হাওর এখন শুধু সবুজ ঘাসের মাঠে গরু আর মহিষের অবাধ বিচরণ। হাওরজুড়ে ২৩৮ বিলের অনেক বিলেই এখন নেই পানি। হাওরের মাঝখান অনেকটা মরুভূমির মতো। বিলের পাড়গুলোতে সবুজ ঘাস জীবন বাচ্চাছে গরু-মহিষদের। এখন ভর শুস্ক মৌসুম তাই হাওর ছাড়া অন্য এলাকায় গুরু মহিষের খাদ্য সংকট। এমনিতে এসময়টায় হাল চাষ না থাকায় অনেকটা কাজ ছাড়াই অলস সময় কাঠে চাষিদের গরু মহিষের। একদিকে কাজ নেই অন্যদিকে গো-মহিষের খাদ্য সংকট। সব মিলে গো-মহিষের খাদ্যের দুঃসময় চলছে এখন। বর্ষা মৌসুম শুরু না হলে নতুন ঘাসও গজাবে না। হাওর এলাকা ছাড়া অন্য (উজান) এলাকাতে পানি অভাবে আগের ঘাসগুলোও মরে গেছে। তাই এলাকার গো-মহিষের মালিকরা আগের জমিয়ে রাখা আউশ কিংবা আমন ধানের শুকনো খড়কুট খাইয়ে কোনোরকম ওদের প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন। এমন খাদ্যহীনতায় আর এই দুর্যোগপূর্ণ সময় কাঠিয়ে উঠতে মালিকদের তাই বিকল্প চিন্তা। আর এনিয়ে চিন্তিত মালিকদের গো-মহিষের খাদ্যসংকট দূর করে তাদের বাঁচিয়ে রাখতে হাওর এলাকায় খোলা হয়ে অভিনব এই রাখালি ব্যবসা।
পন্থাটা অনেক পুরনো হলেও এখনো নতুনের মতো করে এ ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রেখেছেন স্থানীয় কিছু মানুষ। গতকাল হাকালুকি হাওরের নাগুয়া, হাওর খাল ও চৌকিয়া বিল এলাকায় কথা হয় বাথান মালিক কামলা মিয়া, সাইফ মিয়া, মন্তাজ উল্লাহ, নানু মিয়া, আনজিব মিয়া, ফারুক মিয়াসহ অনেকের সঙ্গে। তারা জানালেন বাথান ব্যবসার আদ্যোপান্ত। তারা কয়েকজন মিলে আলাদাভাবে গরু ও মহিষের বাথান করেছেন। তারা ৫ জন প্রায় সাড়ে ছয় শতাধিক গরু-মহিষের দেখভাল করছেন। অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাসে এসব গরু-মহিষের মালিকরা তাদের গরু-মহিষ দেখভাল করা জন্য তাদের কাছে রেখে যান আর বৈশাখ মাসে নিতে আসেন। তারা জানালেন টাকা-পয়সার জন্য নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম না থাকলেও এটা অনেকটা আন্তরিকতা বিবেক থেকেই চলে।
প্রতিটি গরু কিংবা মহিষ তাদের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় মালিকরা খুশি হয়ে ৫০০ থেকে হাজার পনের শত টাকা দিয়ে যান এ নিয়ে নির্দিষ্ট করে চাওয়া পাওয়া নেই তাদের। আর দুধের গাভী (মহিষ কিংবা গরু) থাকলে মালিকরা টাকা দেনওনা আর তারাও চাননা। মূলত তাদের ব্যবসা হলো প্রতিদিনের দুধ ও গোবর। একেকটি বাথান থেকে কয়েক শ’ লিটার দুধ পাওয়া য়ায় এদিয়েই তাদের বাথান ব্যবসার মূল আয়। দুধ আর গোবর বিক্রি করে প্রতিদিনই নগদ আয় হয়। দুধের পাইকাররা তাদের বাথান থেকেই দুধ কিনে নেন। এছাড়া মালিকরা তাদের গরু মহিষ নেওয়ার সময় দিয়ে যান নগদ টাকা। সব মিলিয়ে প্রতিদিনের খরচ পরে বাথান শেষ হলে লাখ টাকার উপরে তাদের ভাগে ঠিকে। খাওয়া দাওয়া আর ঘুমানোর কষ্ট ছাড়া অন্য কোনো সমস্যা না থাকলেও পানি সংকট প্রকট। গরু মহিষের গোসল আর পানি খাওয়াতে তাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। যে সকল বিলে পানি আছে সেগুলো ইজারা নেওয়া।
এসব বিল থেকে পানি নিতে বাধা দেন ইজারাদাররা। যে সমস্যাটি কয়েক বছর আগে খুব কম ছিল এখন তা বড় সমস্যা হয়ে তাদের দুর্ভোগে ফেলেছে। গরু মহিষের নানা রোগবালাইয়ে হাওর এলাকায় ডাক্তার পাওয়া কষ্টকর। স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগের লোকজনকে ডাকলেও তারা হাওর আসতে চান না। রোগাক্রান্ত হয়ে অনেক গরু মহিষ মারা যায় সঠিক চিকিৎসার অভাবে। তাছাড়া নাব্যহ্রাসে এখন হাওরেরও বেহাল। এখন নানা কারণে অস্থিত সংকটে হাকালুকি হাওর। তাই আগের মতো নেই বাথান বা রাখালি ব্যবসা। আর এমন সংকটে পড়ে অনেকটাই কমে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির গরু মহিষের লালন পালন। তাদের দাবি এই হাওরের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সরকার উদ্যোগী হলে বাথান ব্যবসাসহ ঠিকবে সকল উদ্ভিদ ও জলজ প্রাণীর ঐতিহ্য।
No comments