৩ গ্রেড সমন্বয় করে বেতন কাঠামো হচ্ছে
পোশাক
খাতের শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরির আলোচিত তিন গ্রেড ৩, ৪ ও ৫ নম্বর
গ্রেড সমন্বয় করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মজুরি নিয়ে শ্রমিকদের অব্যাহত আন্দোলন
চলাকালে গতকাল শ্রম মন্ত্রণালয়ে পোশাক শ্রমিকদের বেতন বৈষম্য নিরসনে গঠিত
পর্যালোচনা কমিটির জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে ব্যবসায়ীদের
শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, পোশাক কারখানার
মালিক, শ্রমিক ও সরকার, ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে শনাক্ত করা সমস্যাগুলো নিরসনে
গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।
আজ রোববার কমিটির নির্ধারিত বৈঠক আছে। সেখানে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কমিটির আহ্বায়ক আফরোজা খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে এফবিসিসিআই’র সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী, বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম, বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিনসহ কমিটির ১২ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। পোশাক শ্রমিকদের মজুরি কাঠামো পর্যালোচনার জন্য গঠিত ১২ সদস্যের কমিটির দ্বিতীয় সভা এটি। এর আগে ১০ই জানুয়ারি পোশাক শ্রমিকদের বেতন বৈষম্য নিরসনে পর্যালোচনা কমিটির প্রথম সভা হয়।
বৈঠক থেকে বের হয়ে এফবিসিসিআই’র সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, এই সভাটি ছিল জনগুরুত্বপূর্ণ।
সভায় মালিক ও শ্রমিক দুই পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে। বিশষে করে ৩, ৪ ও ৫ নং গ্রেডে যে সমস্যা ছিল সেটা নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। এগুলো নিয়ে সমন্বয় করা হবে। এর মধ্যে বেশকিছু সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে দুই পক্ষই। আশা করছি রোববার নির্ধারিত বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এ ছাড়া সভায় শ্রমিকরা যেন রাস্তায় আবারো না নেমে কাজে যোগ দেয় এর জন্য বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে তিনি বলেন।
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক বলেন, জরুরি বৈঠকে শ্রমিকদের ‘পর্যালোচনা কমিটি’র ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন কমিটির আহ্বায়ক আফরোজা খান। বৈঠকে সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছেন। দ্রুত সমাধান করার লক্ষ্যেই এই মিটিং ডাকা হয়েছে বলেও জানান এই শ্রমিক নেতা। তিনি বলেন, আজ কমিটির নির্ধারিত বৈঠক আছে। সেখানে একটা ভালো ফল পাওয়া যাবে। আমিরুল হক বলেন, শ্রমিকদের অন্যান্য সুযোগ বাড়াতে গিয়ে মূল বেতন কমে গেছে। ফলে বেসিক বেতন বাড়ানোর বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন। তবে কত টাকা বাড়বে সে ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ ছাড়া মজুরি কাঠামোর ৭টা গ্রেডের মধ্যে ৩, ৪ ও ৫ নম্বর গ্রেডে গ্রস বেতন আরো বাড়ানোর বিষয়ে কথা হয়েছে।
জানা গেছে, বৈঠকে আগের মিটিংয়ের সূত্র ধরেই এ মিটিংয়েও পোশাক শ্রমিকদের কাজে যোগ দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন শ্রম সচিব আফরোজা খান। তিনি বলেছেন, যেহেতু মজুরি কাঠামোর মূল সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে, সেহেতু খুব দ্রুত এর সমাধান করা হবে। আপনারা (পোশাক শ্রমিক) সরকারের প্রতি আস্থা রাখুন, কমিটির প্রতি আস্থা রাখুন, প্রত্যেকে কাজে যোগ দিন।
এর আগে ১০ই জানুয়ারি কমিটি প্রথম সভা করে শ্রম মন্ত্রণালয়ে। কমিটির প্রথম বৈঠকেই মজুরি কাঠামোর মূল সমস্যা চিহ্নিত করা হয়। সেখানে মজুরি কাঠামোর সাতটা গ্রেডের মধ্যে ৩, ৪ ও ৫ নম্বর গ্রেডে মূল সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বেতন কাঠামোতে বৈষম্য দূর করাসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ৬ই জানুয়ারি থেকে আন্দোলন করছেন পোশাক শ্রমিকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১২ সদস্যের পোশাক শ্রমিকদের মজুরি কাঠামো পর্যালোচনার জন্য কমিটি গঠন করা হয়।
মজুরি কাঠামোর গ্রেড পর্যালোচনায় দেখা গেছে, পোশাক খাতের মজুরি কাঠামোর মোট ৭টি গ্রেডের চারটিতে (৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর গ্রেড) মূল মজুরি বেড়েছে। তবে ৩ নং গ্রেডে মূল মজুরি না বেড়ে ৪০ টাকা কমেছে। ২ নং গ্রেডে কমেছে ৪১২ ও ১ নং গ্রেডে ৪০৫ টাকা। নতুন মজুরি কাঠামো নিয়ে অসন্তোষ মূলত ৩, ৪ ও ৫ নং গ্রেডের শ্রমিকদের। এর মধ্যে ৩ নম্বর গ্রেডের শ্রমিকদের অসন্তোষ মূল মজুরি কমে যাওয়ায়। আর ৪ ও ৫ নম্বর গ্রেডের শ্রমিকরা অসন্তোষ প্রকাশ করছেন মূল মজুরি তুলনামূলক কম বাড়ায়। প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি হওয়ায় ৩, ৪ ও ৫ নম্বর গ্রেডের পুরনো অনেক শ্রমিক ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামোর সমপরিমাণ মূল মজুরি এখনই পাচ্ছেন। প্রায় প্রতিটি কারখানায় এই তিন গ্রেডেই সবচেয়ে বেশি শ্রমিক কাজ করেন।
আজ রোববার কমিটির নির্ধারিত বৈঠক আছে। সেখানে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কমিটির আহ্বায়ক আফরোজা খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে এফবিসিসিআই’র সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী, বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম, বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিনসহ কমিটির ১২ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। পোশাক শ্রমিকদের মজুরি কাঠামো পর্যালোচনার জন্য গঠিত ১২ সদস্যের কমিটির দ্বিতীয় সভা এটি। এর আগে ১০ই জানুয়ারি পোশাক শ্রমিকদের বেতন বৈষম্য নিরসনে পর্যালোচনা কমিটির প্রথম সভা হয়।
বৈঠক থেকে বের হয়ে এফবিসিসিআই’র সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, এই সভাটি ছিল জনগুরুত্বপূর্ণ।
সভায় মালিক ও শ্রমিক দুই পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে। বিশষে করে ৩, ৪ ও ৫ নং গ্রেডে যে সমস্যা ছিল সেটা নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। এগুলো নিয়ে সমন্বয় করা হবে। এর মধ্যে বেশকিছু সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে দুই পক্ষই। আশা করছি রোববার নির্ধারিত বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এ ছাড়া সভায় শ্রমিকরা যেন রাস্তায় আবারো না নেমে কাজে যোগ দেয় এর জন্য বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে তিনি বলেন।
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক বলেন, জরুরি বৈঠকে শ্রমিকদের ‘পর্যালোচনা কমিটি’র ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন কমিটির আহ্বায়ক আফরোজা খান। বৈঠকে সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছেন। দ্রুত সমাধান করার লক্ষ্যেই এই মিটিং ডাকা হয়েছে বলেও জানান এই শ্রমিক নেতা। তিনি বলেন, আজ কমিটির নির্ধারিত বৈঠক আছে। সেখানে একটা ভালো ফল পাওয়া যাবে। আমিরুল হক বলেন, শ্রমিকদের অন্যান্য সুযোগ বাড়াতে গিয়ে মূল বেতন কমে গেছে। ফলে বেসিক বেতন বাড়ানোর বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন। তবে কত টাকা বাড়বে সে ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ ছাড়া মজুরি কাঠামোর ৭টা গ্রেডের মধ্যে ৩, ৪ ও ৫ নম্বর গ্রেডে গ্রস বেতন আরো বাড়ানোর বিষয়ে কথা হয়েছে।
জানা গেছে, বৈঠকে আগের মিটিংয়ের সূত্র ধরেই এ মিটিংয়েও পোশাক শ্রমিকদের কাজে যোগ দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন শ্রম সচিব আফরোজা খান। তিনি বলেছেন, যেহেতু মজুরি কাঠামোর মূল সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে, সেহেতু খুব দ্রুত এর সমাধান করা হবে। আপনারা (পোশাক শ্রমিক) সরকারের প্রতি আস্থা রাখুন, কমিটির প্রতি আস্থা রাখুন, প্রত্যেকে কাজে যোগ দিন।
এর আগে ১০ই জানুয়ারি কমিটি প্রথম সভা করে শ্রম মন্ত্রণালয়ে। কমিটির প্রথম বৈঠকেই মজুরি কাঠামোর মূল সমস্যা চিহ্নিত করা হয়। সেখানে মজুরি কাঠামোর সাতটা গ্রেডের মধ্যে ৩, ৪ ও ৫ নম্বর গ্রেডে মূল সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বেতন কাঠামোতে বৈষম্য দূর করাসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ৬ই জানুয়ারি থেকে আন্দোলন করছেন পোশাক শ্রমিকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১২ সদস্যের পোশাক শ্রমিকদের মজুরি কাঠামো পর্যালোচনার জন্য কমিটি গঠন করা হয়।
মজুরি কাঠামোর গ্রেড পর্যালোচনায় দেখা গেছে, পোশাক খাতের মজুরি কাঠামোর মোট ৭টি গ্রেডের চারটিতে (৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর গ্রেড) মূল মজুরি বেড়েছে। তবে ৩ নং গ্রেডে মূল মজুরি না বেড়ে ৪০ টাকা কমেছে। ২ নং গ্রেডে কমেছে ৪১২ ও ১ নং গ্রেডে ৪০৫ টাকা। নতুন মজুরি কাঠামো নিয়ে অসন্তোষ মূলত ৩, ৪ ও ৫ নং গ্রেডের শ্রমিকদের। এর মধ্যে ৩ নম্বর গ্রেডের শ্রমিকদের অসন্তোষ মূল মজুরি কমে যাওয়ায়। আর ৪ ও ৫ নম্বর গ্রেডের শ্রমিকরা অসন্তোষ প্রকাশ করছেন মূল মজুরি তুলনামূলক কম বাড়ায়। প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি হওয়ায় ৩, ৪ ও ৫ নম্বর গ্রেডের পুরনো অনেক শ্রমিক ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামোর সমপরিমাণ মূল মজুরি এখনই পাচ্ছেন। প্রায় প্রতিটি কারখানায় এই তিন গ্রেডেই সবচেয়ে বেশি শ্রমিক কাজ করেন।
No comments